সামাজিক অনগ্রসর শিশুর বৈশিষ্ট্য

📑 সামাজিক অনগ্রসর শিশুর বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of Socially Disadvanced Children ) :

🧾 সামাজিক অনগ্রসর শিশুদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা যায় —

📜 শিক্ষাক্ষেত্রে এরা দুর্বল পারদর্শিতা প্রদর্শন করে ।

📜 এদের মধ্যে অপচয়ের হার বেশি হয় ।

📜 এরা নানা শিখন সমস্যায় ভােগে ।

📜 এদের মধ্যে অভিযােজনগত সমস্যা থাকে ।

📜 স্বাস্থ্যের দিক থেকে এরা যথেষ্ট পিছিয়ে থাকে ।

📜 প্রচলিত নিয়ম – শৃঙ্খলার প্রতি এদের অনীহা দেখা যায় ।

📜 এদের আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে ।

📜 বৌদ্ধিক কাজের ক্ষেত্রেও এরা দুর্বল পারদর্শিতা প্রদর্শন করে ।

📜 যুক্তি প্রদর্শনে এদের ঘাটতি দেখা যায় ।

📜 বিভিন্ন কারণে হীনম্মন্যতায় এরা ভােগে

📜 সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভােগা এদের অপর একটি বৈশিষ্ট্য ।

📜 কখনও কখনও এরা অতি সক্রিয় হয় ।

📜 স্বভাবগত দিকে এরা হতােদ্যম হয়ে থাকে ।

📑 ভারতবর্যের মতাে নানা বৈচিত্র্যময় দেশে বিভিন্ন কারণে জনসাধারণের একটি বিরাট অংশ সামাজিকভাবে অনগ্রসর । ইতিহাসে বর্ণিত প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা বর্ণাশ্রম প্রথায় কিছু মানুষকে জন্মগতভাবেই পিছিয়ে পড়া হিসাবে তকমা দেওয়া হয়েছে । নানা ঘাত – প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে সমাজের নানা উত্তরণ ঘটলেও জাতপাতের সমস্যা আজও আমাদের দেশে কোনাে কোনাে অঞলে বিশেষ প্রকট । সেখানে সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থা অনগ্রসরতা বিচারের মাপকাঠি নয় , বরং বংশগত পরিচয়েই একজন মানুষ অনগ্রসর গােষ্ঠীভুক্ত । সামাজিক প্রয়ােজনে সংবিধানে , অনগ্রসর গােষ্ঠীর জন্য যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল , সেই ধারণাও কোথাও কোথাও তাদের বঞ্চিত করার মােক্ষম এক হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

📑 ভারতীয় জনগােষ্ঠীর আর – একটি অংশ হল দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে যুগে যুগে বসবাসকারী আদিবাসী জনগােষ্ঠী । স্বভাব – সরল এই গােষ্ঠী আদিমকাল থেকেই নানাভাবে বওনার শিকার । মূলত অর্থনৈতিক ও ভৌগােলিক কারণে নানা সুযােগ – সুবিধার অভাবে তাদের এই দুর্দশাগ্রস্ত পরিণতি । এই গােষ্ঠীভুক্ত মানুষজনের এমনই দুর্ভাগ্য যে , শারীরিক , মানসিক , প্রক্ষোভিক সমস্ত রকম স্বাভাবিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেও শুধুমাত্র পরিবেশগত কারণে এরা অনগ্রসরতার শিকার ।