সমস্যা সমাধানে শিশুর ভূমিকা

আধুনিক জীবনযাপন নানা সমস্যায় দীর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এখন প্রতিক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব প্রয়োগ করা উচিত। দেখতে হবে, একজন ছাত্র বা ছাত্রী যেন তার উপর চাপিয়ে দেওয়া সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারছে। তা না হলে সে এই অত্যন্ত জটিল সমাজের বাসিন্দা হয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। শিশুরা কিভাবে সমস্যা সমাধান করবে ? সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও তাকে শিখন সাহায্য করবে।

(1) প্রথমেই তাকে ওই বিশেষ সমস্যাটিকে কেন্দ্রীভূত করতে হবে। দেখতে হবে কীভাবে এই সমস্যাটির সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যার উৎস কোথায় লুকিয়ে আছে।

(2) এবার ওই শিশুটি সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দেবে। এই ব্যাপারে প্রথমে একটি প্রকল্পনা তৈরি করবে। কিভাবে তার ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে মনে মনে আলাপ আলোচনা করবে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাবলী বিশ্লেষণ করবে। সে দেখবে, এই তথ্যাবলীকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

(3) সে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সমস্যাটি সমাধান করবে।

(4) অনেক ক্ষেত্রে মূল্যায়ন দরকার হয়ে পড়ে। অর্থাৎ প্রথমদিকের সে যেসব প্রয়োগ পদ্ধতির কথা ভেবেছিল, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে হয়তো সেখানে কিছু পরিবর্তন থাকা দরকার।

সমস্যা সমাধান করার সময় শিশু শিক্ষার্থীরা পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করে নেয়। আমরা কখনো কখনো একটি সমস্যার আংশিক সমাধানে ব্রতী হয়। এক্ষেত্রে সমস্যাটি কিন্তু একেবারে নির্মূল হয় না। তাই আমাদের উচিত পুরো সমস্যাটি বেছে নিয়ে তার সার্বিক সমাধান করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার সমস্যা হঠাৎ এসে যায় সেক্ষেত্রে সার্বিক সমাধান সহজ হয় না।

আমরা দোষ ত্রুটিকে সারিয়ে তুলব উদ্দীপনা ও প্রতিবর্ত প্রতিক্রিয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করে। অনেক শিক্ষাবিদ বলেছেন, একজন শিশু শিক্ষার্থীর বারবার অনুশীলন করতে করতে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যায়। Haslow-র মতো বিখ্যাত শিক্ষাবিজ্ঞানী এই ক্ষেত্রে কয়েকটি অনুসরণের কথা বলেছেন। তিনিও ‘ভুল ও ঠিক’ পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে বলেছেন। প্রথমদিকে শিশুরা এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবে। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে তার কৃত ভুলের সংখ্যা কমে আসবে। এইভাবে সে শিখনের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে।

শিখনের একটি সুনির্দিষ্ট ধারণা শিশুর মধ্যে চলে এলে, সে যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্রতী হবে।

যদি আমরা সমস্যা সংকীর্ণ শিখন এর অন্তর্গত হয়ে থাকি, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে একটি শিশুকে সমস্যার মুখে দাঁড়াতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলা হবে সে যেন অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?

প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...

একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।

শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...

ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।

পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন

অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন

প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল

প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার

মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা

মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা

সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য

পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার

পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার

উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ

পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?

জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক

অনুসন্ধান পদ্ধতি

জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page