বাংলা সাহিত্য – যতীন্দ্রমােহন বাগচী

“✳️ যতীন্দ্রমােহন বাগচী ✳️

🔵 যতীন্দ্রমােহন বাগচী (১৮৭৮-১৯৪৮) কবি, সম্পাদক । নদীয়া জেলার জমশেরপুর গ্রামে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস হুগলি জেলার বলাগড় গ্রামে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের সচিব, নাটোরের মহারাজার সচিব, কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স-ইন্সপেক্টর, এফ.এন গুপ্ত কোম্পানির ম্যানেজার প্রভৃতি পদে চাকরি করেন।

🔵 যতীন্দ্রমোহন অল্প বয়স থেকেই কাব্যচর্চা শুরু করেন। ভারতী, সাহিত্য প্রভৃতি বিখ্যাত পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি কবি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। যতীন্দ্রমোহন বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। পরবর্তীকালে তিনি মানসী পত্রিকার সম্পাদক (১৯০৯-১৯১৩), যমুনা পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক (১৯২১-১৯২২) এবং পূর্বাচল পত্রিকার সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী (১৯৪৭-১৯৪৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন। তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়।

🔵 যতীন্দ্রমোহন ছিলেন রবীন্দ্রোত্তর যুগের শক্তিমান কবিদের অন্যতম। পল্লিপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও পল্লিজীবনের সুখ-দুঃখের কথা তিনি দক্ষতার সঙ্গে প্রকাশ করেন। ভাগ্যবিড়ম্বিত ও নিপীড়িত নারীদের কথা তিনি বিশেষ দরদের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। ‘কাজলাদিদি’ ও ‘অন্ধবন্ধু’ তাঁর এ ধরনের দুটি বিখ্যাত কবিতা।

🔵 পল্লী-প্রীতি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। “”পথের পাঁচালী””র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবি জীবনানন্দ দাশের মত তার কাব্যবস্তু নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। গ্রাম বাঙলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনে তিনি প্রয়াসী হয়েছেন। গ্রাম জীবনের অতি সাধারণ বিষয় ও সুখ-দুঃখ তিনি সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সংগে তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।

🔵 তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো :
✅ লেখা (১৯০৬),
✅ রেখা (১৯১০),
✅ অপরাজিতা (১৯১৫),
✅ বন্ধুর দান (১৯১৮),
✅ জাগরণী (১৯২২),
✅ নীহারিকা (১৯২৭)
✅ মহাভারতী (১৯৩৬)[৬]
✅ কাব্যমালঞ্চ
✅ নাগকেশর,
✅ পাঞ্চজন্য,
✅ পথের সাথী প্রভৃতি।

🔵 কবিতা :
✅ কাজলাদিদি
✅ শ্রিকল
✅ অন্ধ বধু
✅ হাট

🔵 উপন্যাস :
✅ পথের সাথী

🔵 রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য তাঁর একটি বিশেষ গদ্যগ্রন্থ।

🔵 ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।”

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?
প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...
একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।
শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...
ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।
পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন
অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন
প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল
প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার
মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা
মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা
সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ
পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?
জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক
অনুসন্ধান পদ্ধতি
জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page