স্বাস্থ্যকর পরিবেশ

📜 ( 3 ) স্বাস্থ্যকর পরিবেশ : শিক্ষার্থীদের পাঠে মনােযােগী করার জন্য বিদ্যালয়ের পরিবেশ যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর করে গড়ে তুলতে হবে । বাহ্যিক দিকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর মানসিক ও প্রাক্ষোভিক স্বাস্থ্যও এক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ ।

📜 ( 4 ) ডাক্তারি পরীক্ষা : শারীরিক কোনাে কারণে যদি শিক্ষার্থী শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে , তবে তা দূর করার জন্য বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিদ্যালয়ে নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে ।

📜 ( 5 ) প্রেষণা জাগরণ : কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী গৃহে বা বিদ্যালয়ে উপযুক্ত প্রেষণার অভাবে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । কাজেই ধীরগতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি প্রেষণা জাগরণের জন্য গৃহ বা বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্মুক্তভাবে রচনা করতে হবে । এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্ব – শিখন ও স্ব – মূল্যায়নে উৎসাহিত করতে পারেন ।

📜 ( 6 ) মনােযােগ বৃদ্ধি : শিক্ষার্থীদের ধীরগতি দূর করার জন্য তাদের প্রত্যেকের উপর ব্যক্তিগতভাবে মনােযােগ দিতে হবে । শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্রকে গুরুত্বদানের মাধ্যমে শিক্ষক এই কাজ করতে পারেন । শিক্ষক বিরক্ত বা উত্তেজিত না হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহানুভূতিমূলক আচরণ করবেন । এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত শৃঙ্খলা ও স্বাধীনতাকেও গুরুত্ব দেবেন ।

📜 ( 7 ) প্রগতিপত্র সংরক্ষণ : শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রগতিপত্র ( Progress Report ) সংরক্ষণ করা উচিত । এই প্রগতিপত্রে শিক্ষার্থীর সব ধরনের কাজের বিস্তারিত বিবরণ উল্লিখিত থাকবে।

📑 আলােচনার উপসংহারে বলা যায় , মনােবিজ্ঞানে ধীরগতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোনাে পদ্ধতি এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি । প্রচলিত বিভিন্ন পদ্ধতির পরিমার্জন , পাঠের প্রতি শিক্ষার্থীর আকর্ষণ ও মনােযােগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এবং সর্বোপরি শিক্ষকের ধৈর্য ও আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতিতে কিছু সাহায্য করা যায় মাত্র । তবে , এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পিতা – মাতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । শৈশবে শিশুর জন্য উপযুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য জোগান থেকে শুরু করে শিক্ষাগত নানা সু – অভ্যাস গঠনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারেন ।