স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি ও দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির মধ্যে পার্থক্য

📚 স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি ও দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির মধ্যে পার্থক্য ( Difference between Short Term Memory and Long Term Memory ) :

📜 ( 1 ) স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু মস্তিষ্কে দৃঢ়বদ্ধভাবে সঞ্চিত থাকে না । সহজেই বিস্মরণ ঘটে । দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য মস্তিষ্কে সঞ্জিত থাকে এবং বিষয়বস্তুর সংবদ্ধতা দেখা যায় ।

📜 ( 2 ) স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির ক্ষেত্রে খুব কম সংখ্যক বিষয়বস্তু মস্তিষ্কে সঞ্চিত থাকে । দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা অনেক বেশি ।

📜 ( 3 ) স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংযােগস্থাপন করে মনে রাখা হয় না। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির ক্ষেত্রে অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে সংযােগস্থাপন করে বিষয়বস্তু মনে রাখা হয় ।

🧾 স্মৃতির উন্নতি ( Development of Memory ) :

📜 যদিও স্মৃতির উন্নতি প্রায় সকলেরই কাম্য তবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্মৃতির উন্নতি সম্ভব কিনা তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে । আমাদের মধ্যে অনেকেই ইন্দ্রিয় এবং পেশির উন্নতি ঘটাতে সচেষ্ট এবং তা সম্ভব । ঠিক সেই অর্থে স্মৃতির উন্নতি সম্ভব নয় । এ সম্পর্কে Morgan এবং Gilliland- এর বক্তব্য উল্লেখ করা যায়।

📜 “” Memory training is not like muscle training , you can make muscle develop by any kind of use , memory is not helped by any kind of exercise . অর্থাৎ স্মৃতির প্রশিক্ষণ পেশি প্রশিক্ষণের মতাে নয় , বিভিন্ন রকম অনুশীলনের সাহায্যে পেশির বিকাশ সম্ভব কিন্তু যে – কোনাে ধরনের অনুশীলন স্মৃতির পক্ষে সহায়ক নয় ।

📜 স্মরণ প্রক্রিয়ার 4 টি উপাদানের কথা আমরা জানি — শিখন , ধারণ বা সংরক্ষণ , প্রত্যাভিজ্ঞা ও পুনরুদ্রেক । এই 4 টি উপাদানের মধ্যে এটি বা একাধিক উপাদানের উন্নতি সমগ্র স্মরণ প্রক্রিয়ার উন্নতিতে পরিণত হতে পারে । সুতরাং স্মরণ প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানাে যায় কিনা প্রশ্নের যুক্তিভিত্তিক উত্তর দিতে হলে এই 4 টি উপাদানকেই বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে । পৃথক প্রক্রিয়া হিসাবে শিখন , সংরক্ষণ , প্রত্যভিজ্ঞা এবং পুনরুদ্রেকের কি উন্নতি সম্ভব ? নিম্নোক্ত আলােচনার মধ্যে দিয়ে এর উত্তর দেওয়া যেতে পারে ।