সাধারন বিজ্ঞান এর প্রশ্ন-উত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :


১. দার্জিলিং বেশ ( ঠান্ডা / গরম) জায়গা l

উত্তর— ঠান্ডা

২. দার্জিলিং-এ অনেকে হাতে তৈরি জিনিস (ম্যালের আশেপাশে রাস্তায় / টই ট্রেনে) বিক্রি করে l

উত্তর — ম্যালের আশেপাশে রাস্তায়

৩. পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ জায়গায়( পাহাড়ি / মালভূমি / সমভূমি বা নিচু জলা জায়গা ) l

উত্তর — সমভূমি বা নিচু জলা জায়গা

৪. রামায়ণ-মহাভারতের মতো গল্প দিয়ে তৈরী হয় ( গাজনের / ছৌ নাচের ) কাহিনী l

উত্তর — ছৌ নাচের

৫. মুর্শিদাবাদে সিল্কের শাড়ি তৈরী( হয় / হয় না )l

উত্তর— হয়

৬. সোনা রুপোর মতো পিতল কাঁসা ( ধাতু / ধাতু নয় ) l

উত্তর — ধাতু

৭. তাঁতিরা ঘরে বসে ( তাঁত চালিয়ে / ছুঁচ সুতো দিয়ে ) শাড়ি তৈরী করেন l

উত্তর — তাঁত চালিয়ে

৮. আমাদের রাজ্যের ( কলকাতা / মালদা / দার্জিলিং ) এ টই ট্রেন দেখা যায় l

উত্তর —দার্জিলিং

৯. আমাদের রাজ্যের( দার্জিলিং / জলপাইগুড়ি / দীঘা ) তে প্রচুর কাজুবাদাম পাওয়া যায় l

উত্তর— দীঘা

১০. বাড়িতে ধুপ বানানো হল ( ক্ষুদ্র / বড়ো / কুটির ) শিল্প l

উত্তর — কুটির

১১. ‘ খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ‘ গানটি ( লালন ফকিরের / রবীন্দ্রনাথ) l

উত্তর — লালন ফকিরের

১২. ( বৈশাখ / পৌষ / চৈত্র ) মাসে টুসু পরব হয় l

উত্তর — পৌষ


ANSWER


১. ঠান্ডা
২. ম্যালের আশেপাশে রাস্তায়
৩. সমভূমি বা নীচু জলা জায়গা
৪. ছৌ নাচের
৫. হয়
৬. ধাতু
৭. তাঁত চালিয়ে
৮. দার্জিলিং
৯. দিঘা
১০. কুটির
১১. লালন ফকিরের
১২. পৌষ

শূন্যস্থান পূরণ করো :

১. পশম এবং রেশম পাওয়া যায়______।

উত্তর — পালিত প্রাণী থেকে

২. পিতলের তৈরি মূর্তিকে বলা হয় ______।

উত্তর — ডোকরা

৩. পশ্চিমবঙ্গের ______ রেল ইঞ্জিন তৈরি হয় ।

উত্তর — চিত্তরঞ্জনে

৪. কোনাে – কোনাে জিনিস তৈরির উপাদানগুলি নানা ধাপে______ হয় l

উত্তর — বদলানো

৫. রােজ ব্যবহারের জামাকাপড়ের মতাে অনেক জিনিস______ তৈরি হয় ।

উত্তর — বড়ো কারখানায়

৬. তালপাতার পুতুল ______ পাওয়া
যেত ।

উত্তর — মেলাতে

৭. ছৌ নাচের জন্য______ পরতেই হয় ।

উত্তর— মুখোশ

৮. চাউমিন তৈরির মূল উপাদান হল ______ l

উত্তর — ময়দা

৯.______ গুহায় আদিম মানুষের আঁকা অনেক ছবি দেখা গেছে ।

উত্তর — অজন্তার

১০. পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ______ রাজ্যেও বেতের তৈরি জিনিস পাওয়া যায় ।

উত্তর — সিকিম

ANSWER


১. পালিত প্রাণী থেকে
২. ডােকরা
৩. চিত্তরঞ্জনে
৪. বদলানাে
৫. বড়াে কারখানায়
৬. মেলাতে
৭. মুখােশ
৮. ময়দা
৯. অজন্তার
১০. সিকিম ।



একটি বাক্যে উত্তর দাও :

১. আমাদের রাজ্যে কোথায় চা পাতা তৈরির কারখানা দেখা যায় ?

উত্তর : আমাদের রাজ্যে দার্জিলিং – এ চা পাতা তৈরির কারখানা দেখা যায় ।

২. পাহাড়ে কী কী জিনিসের চাষ হয় ?

উত্তর : পাহাড়ে সাধারণত ধান , স্কোয়াশ , ফুল , কমলালেবু , নাসপাতি ইত্যাদির চাষ হয় ।

৩. দার্জিলিং – এর আশপাশে জঙ্গল থাকায় সেখানকার মানুষদের জীবিকার ক্ষেত্রে কী সুবিধা হয়েছে ?

উত্তর : দার্জিলিং – এর আশপাশে জঙ্গল থাকায় বহু স্থানীয় মানুষ জালের কাঠ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং প্যাকিং বাক্স তৈরির কাজ করেন ।

৪. পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ জেলার বহু মানুষ পাথরের খাদানে কাজ করেন ?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম , বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বহু মানুষ পাথরের খাদানে কাজ করেন ।

৫. পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কোথায় কয়লা পাওয়া যায় ?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গে রানিগঞ্জসহ বর্ধমান জেলার নানা জায়গায় কয়লা পাওয়া
যায় ৷

৬. বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোন্ খনিজ কাজে লাগে ?

উত্তর : বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা কাজে লাগে ।

৭. পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি বা নীচু জলা জায়গার মানুষদের জীবিকা কী ?

উত্তর : কৃষিকাজ , মাছ ধরা , ব্যাবসা করা , বিভিন্ন অফিসে চাকরি করা ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি বা নীচু জলা অঞ্চলের মানুষদের জীবিকা ।

৮ . জঙ্গল থেকে কী কী পাওয়া যায় ?

উত্তর : জঙ্গল থেকে সাধারণত কাঠ , মধু , পাতা ও ওষধি গাছ পাওয়া যায় ।

৯. কোন্ অঞ্চলের মানুষদের অফিসে চাকরি করা বা চাষের কাজ করার সুবিধা নেই ?

উত্তর : জঞ্জালের আশেপাশে যারা থাকে তাদের অফিসে চাকরি করা বা চাষের কাজ করার সুবিধাগুলি নেই ।

১০. পটুয়া কারা ?

উত্তর : যারা নানা ধরনের পুতুল তৈরি করেন তাদের পটুয়া বলে ।

১১. কুম্ভকার কারা ?

উত্তর : যাঁরা মাটি দিয়ে নানান জিনিস তৈরি করেন তাদের কুম্ভকার বলে ।

১২ . মালাকার কাদের বলা হয় ?

উত্তর : যাঁরা শােলার কাজ করেন তাদের মালাকার বলা হয় ।

১৩ . কোন্ কোন্ জেলায় ছৌ – নাচ দেখা যায় ?

উত্তর : পুরুলিয়া , বাঁকুড়া , মেদিনীপুর জেলায় ছৌ নাচ দেখা যায় ।

১৪ . ছৌ – নাচের মুখােশ কোন্ জেলায় তৈরি হয় ?

উত্তর : পুরুলিয়া জেলায় ছৌ – নাচের মুখােশ তৈরি হয় ।

১৫. ছৌ – নাচের মুখােশ তৈরির সময় গর্জন তেল ব্যবহার করা হয় কেন ?

উত্তর : ছৌ – নাচের মুখােশ চকচকে করার জন্য গর্জন তেল ব্যবহার করা হয় ।


১৬. তাঁতের শাড়ি তৈরি হয় এরকম একটি জায়গার নাম লেখাে ।

উত্তর : নদীয়া জেলার ফুলিয়ায় তাঁতের শাড়ি তৈরি হয় ।

১৭. বিষ্ণুপুর কোন্ জেলায় অবস্থিত ?

উত্তর :বিষ্ণুপুর বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত ।

১৮. কোন্ শাড়িতে বালুচরি কাজ করা থাকে ?

উত্তরঃ বিষ্ণুপুরী সিল্ক শাড়িতে বালুচরি কাজ করা থাকে ৷

১৯. সােনা ও রুপাে দিয়ে কী তৈরি করা হয় ?

উত্তর : সােনা ও রুপাে দিয়ে গয়না তৈরি করা হয় ।

২০. পশ্চিমবঙ্গে সােনা – রুপাে ছাড়া আর কী কী দিয়ে তৈরি গয়না পাওয়া যায় ?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গে সােনা রুপাে ছাড়া সুতাে , পােড়ামাটি ও কাঠ দিয়ে তৈরি গয়নাও পাওয়া যায় ।

২১. ডােকরা কাকে বলে ?

উত্তর : মৌ – মােম আর ধুনাের ছাঁচে গলানাে পিতল ঢেলে যে মূর্তি তৈরি করা হয় তাকে ডােকরা বলে ।

২২. যারা লােহার জিনিস তৈরি করেন তাদের কী বলা হয় ?

উত্তর : যারা লােহার জিনিস তৈরি করেন তাদের কর্মকার বলা হয় ।

২৩. ডােকরার কাজ হয় এরকম দুটি জেলার নাম বলাে ।

উত্তর : বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলায় ডােকরার কাজ হয় ।

২৪. ডােকরা শিল্পীদের যে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় সেগুলি কী কী ?

উত্তর : ডােকরা শিল্পীদের মালাহার , স্যাকরা ও ঢেপ্পো নামে ডাকা হয় l

২৫. কাগজ তৈরির উপাদান কী ?

উত্তর : কাঠ এবং বাশ হল কাগজ তৈরির উপাদান ।

২৬. বিভিন্ন খাদ্য তৈরির শিল্পের জন্য দুধ কোথা থেকে পাওয়া যায় ?

উত্তর : গােরু , মহিষ প্রভৃতি গৃহপালিত পশুদের থেকে খাদ্য তৈরির শিল্পের জন্য দুধ পাওয়া যায় ।

২৭. বিস্কুট তৈরি করতে কী কী উপাদান লাগে ?

উত্তর : বিস্কুট তৈরি করতে ময়দা আর চিনি লাগে l

৮.ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে ?

উত্তর : ছােটো কারখানায় অল্প লােকজন এবং অল্প যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করে যখন কোনাে জিনিস তৈরি করা হয় , তখন তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে ।

২৯ . বড়াে শিল্প কাকে বলে ?

উত্তর : বড়াে কারখানায় অনেক লােকজন যখন বড়াে বড়াে যন্ত্রপাতি নিয়ে দিনরাত কাজ করে কোনাে জিনিস । তৈরি করে , তখন তাকে বড়াে শিল্প বলে ।

৩০. কুটির শিল্প কাকে বলে ?

উত্তর : বাড়িতে বসে কম জায়গায় কোনাে জিনিস তৈরি করা হলে তাকে কুটির শিল্প বলে ।

৩১. কতকগুলি বড়াে শিল্পের উদাহরণ দাও ।

উত্তর : কতকগুলি বড়াে শিল্প হল জাহাজ তৈরি , মােটরগাড়ি তৈরি , রেল ইঞ্জিন তৈরি প্রভৃতি ।

৩২. কয়েকটি কুটির শিল্পের উদাহরণ দাও ।

উত্তর : কয়েকটি কুটির শিল্প হল ধূপ , চানাচুর , জ্যাম , ।

৩৩. পশ্চিমবঙ্গের কোন্ জেলা পােড়ামাটির জিনিস তৈরির জন্য বিখ্যাত ?

উত্তর : বাঁকুড়া জেলা পােড়ামাটির জিনিস তৈরির জন্য বিখ্যাত ।

৩৪ . ডােকরার পুতুল বানানাের জন্য প্রয়ােজনীয় কোথা থেকে পাওয়া যায় ?


উত্তর : পিতলের বাতিল অংশ বা অন্য ধাতু গলিয়ে অথবা ব্রোঞ্জ ব্যবহার করে ডােকরার পুতুল তৈরি করা হয় ।

৩৫. বেতের তৈরি কয়েকটি জিনিসের নাম লেখাে ।

উত্তর : চেয়ার , টেবিল , আলাের স্ট্যান্ড ইত্যাদি বেত দিয়ে তৈরি করা যায় ।

৩৬. কোথায় বাড়ির দেয়ালে আলপনার মতাে বিভিন্ন ছবি দেখা যায় ?

উত্তর : লালমাটির দেশে অর্থাৎ বাঁকুড়া , বীরভূম জেলায় বাড়ির দেয়ালে আলপনার মতাে বিভিন্ন ছবি দেখা যায় ।

৩৭. হারিয়ে যেতে বসেছে এরকম একটি শিল্পকর্মের উদাহরণ দাও l

উত্তর : পশুর শিং – এর তৈরি শিল্পকর্ম হারিয়ে যেতে বসেছে ।

৩৮. পােড়ামাটির পুতুল বানাতে গিয়ে মাটির সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ সঠিকভাবে মেশাতে না পারলে কী হবে ?

উত্তর : পােড়ামাটির পুতুল বানাতে গিয়ে মাটির সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ সঠিক ভাবে না মিশাতে পারলে পােড়াবার সময় পুতুলটি ফেটে যাবে ।


৩৯. লােককথা কাকে বলে ?

উত্তর : যেসব উপদেশমূলক গল্প কোথাও লেখা নেই , লােকের মুখে মুখে বংশপরম্পরায় চলে আসছে , সেগুলিকে লােককথা বলে ।

৪০ . দাদু – ঠাকুমারা আমাদের লােককথা শােনান কেন ?

উত্তর : দাদু – ঠাকুমারা আমাদের লােককথার মাধ্যমে নানা উপদেশ দেন যা আমাদের ভালােভাবে বাঁচতে সাহায্য
করে ।

৪১. লােককথায় কী ধরনের চরিত্র দেখা যায় ?

উত্তর : লােককথার চরিত্রগুলি হল রাজপুত্র , কোটালপুর , রাজকন্যা , দৈত্যদানব , কথা বলতে পারে এমন পশুপাখি ইত্যাদি ।

৪২. রাখাল বালক আর বাঘের গল্প থেকে তােমরা কী শিখেছ ?

উত্তর : রাখাল বালক আর বাঘের গল্পটি থেকে শিখেছি যে মিথ্যা কথা বলা উচিত নয় ।

৪৩. রাজপুত্র ও রাজকন্যার গল্পে রাজপুত্ররা কাদের সঙ্গে লড়াই করে ? সেই লড়াইতে কারা জেতে ?

উত্তর : রাজপুত্ররা দৈত্যদানবের সঙ্গে লড়াই করে এবং শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইতে খুব কষ্ট করে হলেও রাজপুত্ররাই জেতে ।

৪৪ .বাংলার কয়েকটি লােকগানের উদাহরণ দাও ।

উত্তর : বাংলার কয়েকটি লােকগান হল বাউল গান , সারিগান , ভাদু-টুসুর গান , গম্ভীরা , ভাটিয়ালি ।

৪৫ .সারিগান কখন গাওয়া হয় ?

উত্তর : নৌকা চালানাে , ছাদ পেটা , মাছ ধরা এইসব কাজের সময় সারিগান গাওয়া হয় ।

৪৬. কোন্ মাসে ভাদু পুজো হয় ?

উত্তর : ভাদ্র মাসে ভাদু পুজো হয় ।

৪৭. ভাদু এবং টুসু পরব ছাড়া আর কোন্ কোনো উৎসবের সময় তুমি লােকগান শুনেছ ?

উত্তর : ভাদু এবং টুসু পরব ছাড়া গাজন উৎসবে বােলান গান এবং রাধাকৃষ্ম পুজো উপলক্ষ্যে কীর্তন গান শুনেছি ।

৪৮ .ঝুমুর নাচ সাধারণত কারা নাচেন ?

উত্তর : ঝুমুর নাচ সাধারণত আদিবাসী সাঁওতাল মেয়েরা নাচেন ।

৪৯ .শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় শােনা যায় এরকম । একটি লােকগানের নাম লেখাে ।

উত্তর : শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় শােনা যায় এরকম একটি লােকগানের নাম বাউল গান ।

৫০. উত্তরবঙ্গে আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে প্রচলিত একটি নাচের উদাহরণ দাও ।

উত্তর : মেচ রাভাদের নাচ উত্তরবঙ্গে আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে প্রচলিত ।

৫১. পুরুলিয়ায় মুখোশ পরে যে নাচ পরিবেশন করা হয় , সেটির নাম কী ?

উত্তর : পুরুলিয়ায় মুখােশ পরে যে নাচ পরিবেশন করা হয় তার নাম ছৌ – নাচ ।

৫২. আদিম মানুষের আঁকা কোন্ কোন্ জন্তু জানােয়ারের ছবি গুহার দেয়ালে দেখতে পাওয়া যায় ?

উত্তর : আদিম মানুষের আঁকা বাইসন , বলগা হরিণ , ভালুক ইত্যাদির ছবি গুহার দেয়ালে দেখতে পাওয়া যায় ।

৫৩. আদিম মানুষের আঁকা ছবি কোথায় কোথায় দেখতে পাওয়া গেছে ।

উত্তর : পাহাড়ের গুহার দেয়ালে ও ছাদে এবং উটপাখির ডিমের খােলকে আদিম মানুষের আঁকা ছবি দেখা গেছে ।

৫৪ . অজন্তা গুহার দেয়ালে কী দেখতে পাওয়া যায় ?

উত্তর : অজন্তা গুহার দেয়ালে সাধারণ মানুষের রােজকার জীবনের নানা ছবি দেখতে পাওয়া যায় ।

৫৫. গুহার দেয়ালে ছবি আঁকার জন্য আদিম মানুষ ব্যবহার করত , এরকম দুটি জিনিসের নাম লেখাে ।

উত্তর : গুহার দেয়ালে ছবি আঁকার জন্য আদিম মানুষ কাঠকয়লার কালি এবং জন্তু জানােয়ারদের চর্বি মেশানাে মাটি ব্যবহার করত ।

৫৬. কাজ করার সময় অনেকসময় মানুষ গান গায় কেন ?

উত্তর : নানারকম কাজের কষ্ট কমানাের জন্য মানুষ একসঙ্গে কাজ করার সময় বা কাজের ফাঁকে ফাঁকে নানারকম গান
গায় ।

২-৩ টি বাক্যে উত্তর দাও :

১. দার্জিলিং পর্যটনকেন্দ্র হওয়ায় সেখানকার মানুষদের জীবিকার ক্ষেত্রে কী সুবিধা হয়েছে ?

উত্তর : দার্জিলিং পর্যটনকেন্দ্র হওয়ায় সেখানকার স্থানীয় মানুষরা পর্যটকদের খাবার , শীতের পােশাক , হাতে তৈরি জিনিস ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন । এ ছাড়া , পর্যটকদের নানা জায়গায় ঘােরানাের এবং হােটেলে থাকার ব্যবস্থা করেও তারা অর্থ উপার্জন করতে পারেন ৷

২. পশ্চিমবঙ্গের ভূ – ভাগ কেমন ?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের ভূ – ভাগ সব জায়গায় সমান নয় । কোথাও উঁচু পাহাড় , কোথাও মালভূমি । আবার কোথাও সমতল বা নীচু চাষের জমি । এ ছাড়া জঙ্গল , নদী , সমুদ্রও আছে
এখানে ।

৩. নকশি কাঁথা কীভাবে তৈরি করা হয় ?

উত্তর : প্রথমে সাধারণ শাড়ি , ছেঁড়া কাপড় ইত্যাদি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা
হয় । তারপর সেই কাঁথার গায়ে সুতাে দিয়ে নানারকমের নকশা ফুটিয়ে তুলে নকশি কাথা তৈরি করা হয় ।

8. কাঠ বা পাথর খােদাইয়ের কাজ শিল্পীরা কীভাবে করেন ?

উত্তর : কাঠ বা পাথর খােদাইয়ের কাজে শিল্পীরা সােজা , বাঁকা , তীক্ষ্ণ , চওড়া প্রভৃতি নানারকম যন্ত্রের সাহায্য নেন ৷ কখনও তাঁরা জোরে হাতুড়ি মারেন , আবার কখনও বা আস্তব
৫. ডােকরা শিল্পীরা কীভাবে কাজ শেখেন ?

উত্তর : ডােকরা শিল্পীরা বংশানুক্রমে শেখেন কীভাবে ছাঁচ বানাতে হয় এবং কীভাবে ধাতু গলাতে হয় । তারপর ওই ছাঁচে ধাতু ঢেলে তারা মূর্তি বানান এবং ছাঁচ ভেঙে ওই মূর্তি বের করেন ।

৬. বেতের জিনিস কীভাবে তৈরি করা হয় ?

উত্তর : বেতের জিনিস তৈরি করতে হলে প্রথমে বাত বাঁকাতে হয় , তারপর বেত জুড়তে হয় এবং সব শেষে পালিশ করতে হয় । অনেক সময় কাঁচা বেত বাঁকানাের জন্য সেটিকে আগুনে গরম করতে হয় ।

৭. ডােকরার পুতুলগুলি সব আলাদা আলাদা দেখতে হয় কেন ?

উত্তর : ডােকরার পুতুল বানানাের জন্য একটি ছাঁচ একবারই ব্যবহার করা হয় । আবার ওই ছাঁচগুলােও হাতে বানানাে হয় বলে একটা ছাঁচের সঙ্গে অন্য ছাঁচের মিল থাকে না । সেজন্য ডােকরার পুতুলগুলি সব আলাদা আলাদা দেখতে হয় ৷

৮. পটচিত্র সাধারণ ছবির থেকে একটু অন্যরকম হয় কেন ?

উত্তর : পটচিত্রের শিল্পীরা আঁকার জন্য যে রং ব্যবহার করেন তা সাধারণ রং নয় । এই রং কোথা থেকে পাওয়া যাবে এবং কোন্ জিনিস রং করতে কোন্ রং ব্যবহার করা হবে , তা শুধু তারাই জানেন । এজন্যই পটচিত্রগুলি সাধারণছবির থেকে আলাদা হয় ।

৯. ‘ খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ‘ গানটি কোন্ ধরনের লােকগান এবং এটি কার রচনা ?

উত্তর : ‘ খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ’ গানটি একপ্রকার বাউলগান এবং এই গানটি লালন ফকিরের রচনা ।

১০. গুহার অন্ধকার দূর করার জন্য আদিম মানুষ কী করত ?

উত্তর : গুহার অন্ধকার দূর করার জন্য আদিম মানুষরা প্রথমে কাঠ , খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালত । পরে জন্তুজানােয়ারদের চর্বি জ্বালিয়ে গুহা আলােকিত করত ।

১১. দার্জিলিং – এ পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে চাষবাস করতে হয় কেন ?

উত্তর : দার্জিলিং – এর ভূ – ভাগ উঁচুনীচু বলে জল ধরে রাখা যায় না । ফলে ভালােভাবে ফসল চাষ করা যায় না । তাই পাহাড়ের ধাপে ধাপে চাষবাস করা হয় ।

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?
প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...
একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।
শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...
ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।
পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন
অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন
প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল
প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার
মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা
মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা
সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ
পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?
জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক
অনুসন্ধান পদ্ধতি
জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page