শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রেণিবিভাগ

📚 শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রেণিবিভাগ ( Classification of Hearing Impaired Children ) :

🧾 প্রধানত কত ডেসিবেল প্রাবল্যের শব্দ শুনতে পায় , তার উপর ভিত্তি করে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রেণিবিভাগ করা হয় । সাধারণভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ।

🧾 শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাগত দিক দিয়ে তাদের কার্যগত ক্ষমতার মাত্রা অনুযায়ী নিম্নলিখিত কয়েকটি স্তরে ভাগ করা যায় ।

🔲 প্রথম স্তর : যে সমস্ত শিশু 55dB পর্যন্ত প্রাবল্যের শব্দ শুনতে পায় না , তাদের নিয়মিতভাবে বিশেষ বিদ্যালয়ে বা বিশেষ ক্লাসে যাওয়ার দরকার নেই । তবে এদের নিয়মিত বিশেষ ধরনের বাক্ এবং শুতি বিষয়ে সহায়তা দরকার । এরা 3 থেকে 5 ফুট দূরে থেকে সাধারণ কথা শুনতে পারে ।

🔲 দ্বিতীয় স্তর : যে সমস্ত শিশু 56dB থেকে 7OdB পর্যন্ত প্রাবল্যের শব্দ শুনতে পায় , তারা এই স্তরের অন্তর্গত । এই স্তরের শিশুদের বিশেষ বিদ্যালয় বা বিশেষ শ্রেণিতে মাঝে মাঝে যাওয়ার প্রয়ােজন । এদের নিয়মিত বিশেষ ধরনের বাক্ , শুতি ও ভাষা সহায়তা দান প্রয়ােজন । এই শিশুরা নিজেদের মধ্যে বিশেষ কিছু নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করে । সাধারণ শ্রেণিতে এরা অসুবিধা বােধ করে । এদের সাহায্যের জন্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের প্রয়ােজন ।

🔲 তৃতীয় স্তর : যে সমস্ত শিশু 71 ডেসিবেল হতে 90 ডেসিবেল পর্যন্ত প্রাবল্যের শব্দ শুনতে অক্ষম তারা এই স্তরের অন্তর্গত । এরা স্বরবর্ণের ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না । এদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয় / শ্রেণির ব্যবস্থা করা প্রয়ােজন এবং সেই সঙ্গে শুতি , ভাষা শিক্ষাদানের সহায়তা প্রয়ােজন ।

🔲 চতুর্থ স্তর : যে সমস্ত শিশু 91 dB বা তার অধিক প্রাবল্যের শব্দ শুনতে অক্ষম , তারা এই স্তরের অন্তর্গত । যদিও এই শিশুরা খুব সামান্য শুনতে পায় , কিন্তু তা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না । তাই বিশেষ বিদ্যালয় / শ্রেণির এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এদের শিক্ষা দিতে হয় ।