( 5 ) বুদ্ধির শ্রেণিভেদ — থর্নডাইক বুদ্ধিকে 3 টি শ্রেণিতে বিভত্ত করেছেন ।
( ক ) মূর্ত বুদ্ধি ,
( খ ) বিমূর্ত বুদ্ধি
( গ ) সামাজিক বুদ্ধি ।
বর্তমানে প্রাক্ষোভিক বুদ্ধি নামে আর – একটি শ্রেণির উল্লেখ করা হয় ।
🔷 হাতেকলমে কাজ করার ক্ষেত্রে যে বুদ্ধির প্রয়ােজন হয় তাকে মূর্ত বুদ্ধি বলে ।
⭐️ যেমন — কোনাে কিছু নির্দিষ্টভাবে বিন্যস্ত করা , যন্ত্রের বিভিন্ন অংশগুলি জোড়া লাগানাে ইত্যাদি ।
🔷 ভাষার ব্যবহার , সংখ্যার ব্যবহার , চিন্তা , কল্পনা , যুক্তি নির্ণয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে বুদ্ধির প্রয়ােজন তাকে বলা হয় বিমূর্ত বুদ্ধি ।
⭐️ যেমন — গাণিতিক সমস্যাসমাধান করা ।
🔷 দৈনন্দিন জীবনের সামাজিক পরিবেশে সার্থক প্রতিক্রিয়া করতে যে বুদ্ধির প্রয়ােজন তাকে সামাজিক বুদ্ধি বলে ।
⭐️ যেমন — সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ
করা ।
🔷 আত্মসর্বস্ব বা লােভী না হওয়া । সামাজিক বুদ্ধির পরিমাপের জন্য একাধিক স্কেল বর্তমানে ব্যবহৃত হয় এবং সামাজিক বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয় করা
হয় ।
💠 প্রাক্ষোভিক অভিযােজনের ক্ষেত্রে যে বুদ্ধির প্রয়ােজন তাকে প্রাক্ষোভিক বুদ্ধি বলে । J. D. Mayor এবং Peter Salovey ( 1995 ) -র মতে , চারটি ক্ষেত্রে আবেগযুক্তভাবে কারণ দর্শানাের ক্ষমতাকেই প্রাক্ষোভিক বুদ্ধি বলে ।
🔷 এই চারটি ক্ষেত্র হল — প্রক্ষোভ , প্রত্যক্ষণ , চিন্তার সঙ্গে একে সমন্বিত করা ।
🔷 একে অনুধাবন করা এবং একে পরিচালন করা । আরও সুস্পষ্টভাবে বলা যায় , ব্যক্তির প্রাক্ষোভিক বুদ্ধি নির্ভর করে কী পরিমাণে নিম্নোক্ত ক্ষমতাগুলির সে অধিকারী ।
( ক ) অন্যদের মুখমণ্ডল , দেহের ভাষা , গলার স্বর ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করে বিভিন্ন ধরনের প্রক্ষোভ নির্দিষ্ট করা ।
( খ ) নিজের আনুভূমিক এবং প্রক্ষোভ সম্পর্কে সচেতন ।
( গ ) তার চিন্তাভাবনায় প্রক্ষোভকে যুক্ত করা ।
যেমন — সমস্যা বিশ্লেষণ , সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনুভূতি এবং প্রক্ষোভের ব্যবহার ।
( ঘ ) ব্যক্তি ও তার প্রক্ষোভের প্রকৃতি , তীব্রতা এবং পরিণতি সম্পর্কে সঠিক অনুধাবন করা ।
( ঙ ) প্রাক্ষোভিক বহিঃপ্রকাশের উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা এবং নিজের ও অন্যান্যদের সঙ্গে সংহতি , শান্তি ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার উদ্দেশে প্রক্ষোভের উপযুক্ত ব্যবহার ।
💠 প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য , প্রোক্ষোভিক বুদ্ধি পরিমাপের জন্য স্কেল আছে এবং তার দ্বারা ব্যক্তির প্রোক্ষোভিক বুদ্ধির সূচক প্রাক্ষোভিক বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয় করা হয় ।