বিদ্যালয়ভিত্তিক অ্যাসেসমেন্ট

📚 বিদ্যালয়ভিত্তিক অ্যাসেসমেন্ট :

📜 শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ভিত্তিক শিখন অ্যাসেসমেন্টে বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয় । যার মধ্যে অন্যতম হল শিক্ষককৃত পারদর্শিতা অভীক্ষা ( Teacher made test ) । এই অভীক্ষায় অতি সংক্ষিপ্ত , সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন থাকে ।

এটি শিক্ষকরাই নিজ নিজ পাঠদানের বিষয়ের উপর প্রস্তুত করেন এবং নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট শ্রেণিতে প্রয়ােগ করা হয় । শিক্ষককৃত পারদর্শিতার অভীক্ষা ছাড়াও মৌখিক পরীক্ষা , ব্যাবহারিক পরীক্ষা ( Practical Test ) বিশেষ করে বিজ্ঞান ও বৃত্তি শিক্ষা বিষয়সমূহে গ্রহণ করা হয় । ব্যাবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণের ক্ষমতাও পরিমাপ করা হয় ।

📚নিরবচ্ছিন্ন এবং সামগ্রিক মূল্যায়ন । ( Continuous and Comprehensive Evaluation – CCE ) :

📜 জাতীয় শিক্ষানীতি ( 1986 ) মূল্যায়নকে পাঠদানের অপরিহার্য অংশ হিসেবে তুলে ধরার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সামগ্রিক মূল্যায়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছিল । নিরবচ্ছিন্ন এবং সামগ্রিক মূল্যায়ন হল এক ধরনের বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা যা শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিকের বিকাশকে নিরবচ্ছিন্নভাবে মূল্যায়ন করে । এই ধরনের মূল্যায়নের প্রধানত দুটি উদ্দেশ্য থাকে — শিক্ষার্থীর শিখন পারদর্শিতার মূল্যায়ন এবং তার বিভিন্ন ধরনের আচরণের মূল্যায়ন ।

এখানে নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়ন বলতে বােঝায় বৎসরে একটি বা দুটি মূল্যায়নের পরিবর্তে একাধিক মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীর বৃদ্ধি ও বিকাশ সম্পর্কে একটি চিত্র তুলে ধরা । এই ধরনের মূল্যায়নে শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রয়ােজনীয় তথ্য পাওয়া যায় — যেমন , নিয়মিত অ্যাসেসমেন্ট হচ্ছে কিনা , প্রতিটি অধ্যায়ের ( unit ) উপর পরীক্ষা হচ্ছে কিনা , দুর্বলতা নির্ণয় , সংশােধনমূলক শিখনের প্রয়ােজনীয়তা , ফিডব্যাক সরবরাহ এবং তার সফলতা ইত্যাদি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর স্বমূল্যায়নে সাহায্য করে ।