বায়ুমণ্ডলের ধারণা ও উপাদানসমূহ

● বায়ুমণ্ডলের ধারণা ও উপাদানসমূহ :

🧘‍♂️🧘‍♂️ছোট প্রশ্ন এবং কনসেপ্ট তৈরি হওয়ার প্রশ্ন

1. কোন শক্তির বলে বায়ুমণ্ডল পৃথিবী কে বেষ্টন করে আছে?
➡️ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি

2. বায়ুমন্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
➡️নাইট্রোজেন 78.0 8%

3.বায়ুমন্ডলের কোন স্তর আবহমণ্ডল নামে পরিচিত?
➡️ট্রপোস্ফিয়ার

4.ট্রপোস্ফিয়ারের ল্যাপস রেট কত?
➡️ প্রতি হাজার মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে 6.4 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হারে উষ্ণতা হ্রাস পায়

5.ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব কোন এককে মাপা হয়
➡️ডবসন

6.কারা কত সালে ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন?
➡️চার্লস ফ্যাব্রি ও হেনরি বুশন 1913 সালে

7.কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা মাপা হয়?
➡️সিক্সের গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটার

8.দুই ক্রান্তীয়রেখার মধ্যবর্তী তাপমন্ডল কে কি বলে?
➡️ উষ্ণমন্ডল

9.এল নিনো কথার অর্থ কি?
➡️ শিশু খ্রিস্ট

10.বায়ুর চাপ মাপার একক কি?
➡️মিলিবার

11.Doctors wind কোন বায়ুকে বলা হয়?
➡️হারমাট্টান

12. কোন সূত্রানুসারে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের বাম দিকে বেঁকে যায়?
➡️ফেরেলের সূত্র

13.বায়ুর গতিবেগ এর একক এর নাম কি
➡️নট

13.সংঘর্ষ সম্মিলন তত্ত্বটি কার?
➡️ ই জি বোভেন

14.ভারতের দুটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের নাম লেখ?
➡️শিলং , পুনে

15. শীতকালে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে কোথায় বৃষ্টি হয়?
➡️করমন্ডল উপকূলে

16.পৃথিবীর কোন অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাতের প্রাধান্য দেখা যায়?
➡️নিরক্ষীয় অঞ্চলে

17.সাইক্রোমিটার কি?
➡️আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র




●সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

1.বায়ুমন্ডলে ধূলিকণা এর উৎস গুলি কি কি?
➡️ সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে জলের লবণ কনা, আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা ছাই, উল্কার ধ্বংসাবশেষ থেকে আসা ধূলিকণা, ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমন্ডলের অপসারণের ফলে আসা ধুলোবালি, কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আবর্জনা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া শুষ্ক কঠিন কার্বন কণা প্রভৃতি.।

2. হোমোস্ফিয়ার কাকে বলে?

➡️ হোমো অর্থাৎ সম এবং স্ফিয়ার বলতে মন্ডল বা অঞ্চলকে বোঝায় ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রধানত 90 কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত এবং রাসায়নিক গঠন একই রকম হওয়ায় এই স্তরকে সমমন্ডল বা হোমোস্ফিয়ার বলা হয়।

3. ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় কি?

➡️বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তর হলো ম্যাগনেটোস্ফিয়ার। প্রায় বায়ুশূন্য স্থানে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের ইলেকট্রন ও প্রোটন আয়ন গুলি বলয়াকারে অবস্থান করে। এর আবিষ্কর্তা জেমস ভ্যান অ্যালেন এর নামানুসারে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে। সৌরবাত থেকে আয়ন ও পৃথিবীর চৌম্বক কেন্দ্রের জন্য বিভিন্ন মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে এই বলয় সৃষ্টি হয়।
4. মেঘমুক্ত রাত্রি অপেক্ষা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি বেশি গরম কেন?

➡️ রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ যে তাপ বিকিরণ করে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে তা সহজেই বায়ুমন্ডলের উচ্চস্তরে বিকিরিত হতে পারে কিন্তু মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি তে ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত উত্তাপ ঐ মেঘের দ্বারা বাধা পেয়ে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে এবং ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর কে উত্তপ্ত করে তোলে, ফলে মেঘলা রাতে গুমোট গরম অনুভূত হয়।

5. কার্যকরী সৌর বিকিরণ কাকে বলে?

➡️ পৃথিবীতে আগত সৌর শক্তিকে 100% ধরলে তার মাত্র47% ভূপৃষ্ঠকে গরম করে তোলে এবং 19%বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাস জলীয়বাষ্প ধূলিকণা দ্বারা শোষিত হয়, এই মোট 66 %সৌর বিকিরণ কে কার্য্করি সৌর বিকিরণ বলে।

10. টর্নেডো কি ?

➡️ ভূপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্ব দিকে প্রসারিত ফানেল বা হাতির শুরে আকৃতির মেঘ থেকে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় কে টর্নেডো বলে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদীর মোহনা ও মেক্সিকো উপকূলে অধিক দেখা যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো কে টুইস্টার বলা হয়।


_____________________.



●সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন উত্তর

1. কোথায় এবং কখন মেরুজ্যোতি দেখা যায়?

➡️ পৃথিবীর উভয় মেরুতে যখন একটানা ছয় মাস রাত চলতে থাকে তখন আকাশে মাঝে মাঝে রামধনুর মতো একরকম অস্পষ্ট আলো প্রভাব দেখা যায় একে মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি বলে। আয়োনোস্ফিয়ার রঞ্জন রশ্মি অতিবেগুনি রশ্মির সংঘাতের ফলে তড়িতাহত অণুর সৃষ্টি হয়, 23 শে সেপ্টেম্বর থেকে 21 শে মার্চ পর্যন্ত সময়ে উত্তর মেরুতে সুমেরু প্রভা সৃষ্টি হয় 21 শে মার্চ থেকেই 23 শে সেপ্টেম্বর সময়ে দক্ষিণ মেরুতে কুমেরু মেরুপ্রভা সৃষ্টি হয়।

2. ওজোন স্তর অবক্ষয়ের CFCs এর ভূমিকা লেখ.

➡️ কার্বন ক্লোরিন ও ফ্লুওরিন ঘটিত যৌগ গুলি কে একত্রে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন যৌগ গুলি নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির উদ্বায়ী দ্রাবক। ফ্রিজ, ওষুধ তৈরিতে, পলিমার শিল্পে’, রং শিল্পে ব্যবহার হয়। উদ্বায়ী হওয়ায় এদের বায়ুতে মিশে যাওয়ার পথ করে দিলে এরা ট্রপোস্ফিয়ারের মধ্যে দিয়ে গিয়ে স্ট্যাটোস্ফিয়ার এ হাজির হয়। সেখানে উপস্থিত ওজন কে ধ্বংস করে অতিবেগুনি রশ্মি সংস্পর্শে এসে ক্লোরিন পরমাণু উৎপন্ন করে O3ধ্বংস করে এই ক্লোরিন পরমাণু পুনরায় অন্য একটি 03পরমাণুকে অনুরূপভাবে ভেঙে দেয়, এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে একটি ক্লোরিন পরমাণু প্রায় 1 লক্ষ ওজন অনু কে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। cfcs থেকে নির্গত ক্লোরিন পরমাণু যদি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের 16% ওজনকে ধ্বংস করতে পারে তবে ভূপৃষ্ঠে অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব 44% বেড়ে যাবে।

3. সমোষ্ণ রেখা কি?

➡️ ভূপৃষ্ঠে যে সকল স্থানের গড় উষ্ণতা প্রায় একই রকম হয় সেই সকল সম মান যুক্ত স্থান গুলিকে মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে সমোষ্ণ রেখা বলে।

বৈশিষ্ট্য:- প্রধানত জানুয়ারি জুলাই মাসে সমাক্ষরেখা কে মানচিত্রে প্রদর্শন করা হয়
¡¡} সমাক্ষরেখা সমান্তরালে অবস্থান করে
¡¡¡} রেখা গুলি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত থাকে
¡v) সমাক্ষরেখা গুলি স্থলভাগের পরস্পরের কাছাকাছি ও জল ভাগে একে অপরের থেকে দূরে অবস্থান করে
V) এটা কখনোই পরস্পরকে ছেদ করে না
Vi) স্থলভাগ ও জলভাগের সংযোগস্থলে বেঁকে অবস্থান করে।


4. জেট বায়ু কাকে বলে? জেট বায়ুর বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

➡️ ট্রপোস্ফিয়ারের উর্ধ্বসীমা অথবা স্ট্যাটোস্ফিয়ার এর নিচের অংশে সংকীর্ণ আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হলে গতিসম্পন্ন বায়ু স্রোত কে জেট বায়ু বলে।
বৈশিষ্ট্য:¡} ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে স্ট্যাটোস্ফিয়ার নিচে জেট বায়ু প্রবাহিত হয়
¡¡} ক্রান্তীয় পূবালী জেট ছাড়া সমস্ত জেট বায়ু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়
¡¡¡} অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ আঁকাবাঁকা পথে জেট বায়ু প্রবাহিত হয়
¡v) জেট বায়ুর গতিবেগ গ্রীষ্মকালে তুলনায় শীতকালে বেশি হয়
V) ঋতুভেদে জেট বায়ুর অক্ষাংশীয় অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে
Vi) জেট বায়ুর গতিবেগ ঘন্টায় 150 থেকে 300 কিমি হয়ে থাকে

5. অশ্ব অক্ষাংশ কি?

➡️ কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় কে অশ্ব অক্ষাংশ বলা হয়। উত্তর গোলার্ধে 25 থেকে 35 অক্ষাংশের মধ্যে এটি অবস্থিত। কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় বরাবর শীতল ও ভারি বায়ুর উপর থেকে নিচে নেমে আসায় ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোন বায়ু প্রবাহ দেখা যায় না, ফলে শান্ত অবস্থা বিরাজ করে। এ কারণে ষোড়শ শতকে পালতোলা জাহাজ গুলি এই শান্ত বলয় এসে গতিহীন হয়ে পড়তো। মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ থেকে আসা জাহাজগুলি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও আমেরিকায় যেতে অনেক বেশি সময় লাগত। পানীয় জলের সংকট কমাতে এবং জাহাজকে হালকা করার উদ্দেশ্যে নাবিকরা বেশকিছু ঘোড়া সমুদ্রের জলে ফেলে দিত। এই দুই ক্রান্তীয় শান্তবলয় অশ্ব অক্ষাংশ নামে পরিচিত।
6. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলতে কী বোঝো?

➡️ প্রতিবাদ ঢালে তুলনায় পর্বতের অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত খুব কমই হবার জন্য এইদিকে অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায়া অঞ্চল বলে। জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাদ ঢাল বেয়ে উপরে উঠে ঘনীভবন হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর যখন পর্বত এর বিপরীত দিকে অনুবাদ ঢালে পৌঁছায় তখন সেখানে তেমন বৃষ্টিপাত হতে পারে না। কারণ এই বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ একেবারে কমে যায় এবং এই বায়ুর ওপর থেকে নিচে নামে বলে এর উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, ফলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। এই কারণে প্রতিবাত ঢালে তুলনায় অনুবাত ঢালে খুবই কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনুবাত ঢালে অঞ্চলটিকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলা হয়। উদাহরণ পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল।



●রচনাধর্মী প্রশ্ন

1. বিশ্ব উষ্ণায়নে গ্রীন হাউজ গ্যাসের ভূমিকা আলোচনা করো।
➡️ বর্তমানে বিশ্বে আবহাওয়ার যে অস্বাভাবিকতা এসেছে তার জন্য আবহবিদেরা একমাত্র দায়ী করেছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং কে বর্তমানে বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস গুলি কার্বন ডাই অক্সাইড মিথেন নাইট্রাস অক্সাইড ক্লোরোফ্লোরো কার্বন জলীয়বাষ্প প্রভৃতির মাত্রাতিরিক্ত ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে চাঁদের মতো একটি গ্যাসীয় আবরণ সৃষ্টি হয়েছে যা গ্রিনহাউস গ্যাসের মত আচরণ করে এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা অনেক সময় বেশি হয়ে যাচ্ছে এরকম পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে গ্রীন হাউজ প্রভাব বলে গ্রীন হাউজ গ্যাস গুলির ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার ফলে সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ রাশি খুব সহজে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে কিন্তু পার্থিব বিকিরণ রূপে দীর্ঘ তরঙ্গের এই সৌর কিরণ পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারিনা গ্রীন হাউজ গ্যাস দ্বারা শোষিত ও আবদ্ধ হয়ে পুনরায় বিকিরণ এর মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে ও নিম্ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কে বাড়িয়ে দেয় ফলস্বরূপ সমগ্র পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি হতে থাকে যাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে বিশ্ব উষ্ণায়ন হল গ্রীন হাউজ প্রভাবের ফল।
বিশ্ব উষ্ণায়নে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব:
¡} বিশ্ব উষ্ণায়ন ত্বরান্বিত কারী প্রধান গ্যাস হল কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডলে এর পরিমাণ মাত্র0.033% কিন্তু নানা কারণে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
¡¡} পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে অপর একটি গ্যাস হল মিথেন। গৃহপালিত পশু ও কীটের অন্ত্রের কোহল সন্ধান, পচা জৈব আবর্জনা বৃদ্ধি গ্যাস ও কয়লা খনি অঞ্চলে দহন প্রভৃতি কারণে প্রতিবছর মিথেনের বৃদ্ধির হার বেড়ে চলেছে।
¡¡¡} বিশ্ব উষ্ণায়নে ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার তৈরি, কম্পিউটার চিপ পরিষ্কার, ফোম ও প্লাস্টিক তৈরি প্রভৃতি নানা কারণে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর পরিমাণ বেড়ে চলেছে। তাপ শোষণ ছাড়াও এই গ্যাস ওজোন স্তরের ক্ষয় ঘটিয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছে দেয় এবং পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
iv) বায়ুমন্ডলে নাইট্রাস অক্সাইডের বৃদ্ধির বিশ্ব উষ্ণায়নের আরেকটি প্রধান কারণ। এই গ্যাস বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে কৃষিকার্যে রাসায়নিক সারের ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, সার শিল্পকেন্দ্র, ফসলের অবশেষে পচন ও জ্বালানি, মাটিতে অণুজীব ক্রিয়া প্রভৃতি।
V) এছাড়া নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, ইথেন প্রভৃতি গ্যাস ও জলীয়বাষ্প পৃথিবীর বিকিরিত তাপ ধরে রেখে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে চলেছে।
পরিশেষে বলা যায়, শিল্প বিপ্লবের পর থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় 1.5°C। বর্তমান পৃথিবীর গড় উষ্ণতা থেকে 2050সালে গড় উষ্ণতা 1°C বৃদ্ধি পাবে।

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?
প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...
একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।
শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...
ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।
পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন
অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন
প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল
প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার
মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা
মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা
সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ
পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?
জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক
অনুসন্ধান পদ্ধতি
জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page