অভিভাবকদের শিক্ষায় আগ্রহ বৃদ্ধি করা

📔 ( 5 ) অভিভাবকদের শিক্ষায় আগ্রহ বৃদ্ধি করা : বিভিন্ন সামাজিক অনগ্রসর পরিবারে শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানাের চাইতে উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত করা একটি প্রবণতা তাদের অভিভাবকদের মধ্যে দেখা যায় । মূলত অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষাগ্রহণ তাদের কাছে বিলাসিতা স্বরূপ । তাই উপরিউক্ত কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় রােধে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের জন্যও নানা উৎসাহ প্রদানকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে ।

📔 ( 6 ) প্রাকৃবিদ্যালয় প্রশিক্ষণ : আমাদের দেশে সাধারণত শিশুর 6 বছর বয়স হলে তার প্রথাগত শিক্ষা শুরু হয় । আধুনিককালে শহরাঞ্চলে অধিকাংশ শিশুই এই প্রথাগত শিক্ষায় প্রবেশের পূর্বে বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন বা মন্তেসরি পদ্ধতি অনুসরণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের প্রাকৃবিদ্যালয়কালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে । প্রথাগত শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে অগ্রসর জনগােষ্ঠীর শিশুদের চাইতে অনগ্রসর জনগােষ্ঠীর শিশুরা যাতে প্রথম থেকেই পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য বর্তমানে তাদের জন্যও নানা প্রাকৃবিদ্যালয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে ।

📔 ( 7 ) বিদ্যালয়ের সময় পরিবর্তন : অনগ্রসর জনগােষ্ঠীভুক্ত শিক্ষার্থীদের আর্থসামাজিক পরিকাঠামাের সঙ্গে সংগতি রেখে অঞ্চল ভেদে বিদ্যালয়ের সময়কাল ও অবকাশকাল ভিন্ন ভিন্ন করা হয়ে থাকে।

📔 ( 8 ) বয়স্ক শিক্ষা : শুধুমাত্র শিশুদের জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কখনােই অনগ্রসর সমাজব্যবস্থায় দ্রুত পরিবর্তন আনয়ন করা যাবে না । তাই তাদের পিতা – মাতা বা অভিভাবকদের শিক্ষা সচেতন করে গড়ে তােলার লক্ষ্যে বয়স্ক শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করা হয়েছে ।

📔 ( 9 ) মূল্যায়ন : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত দক্ষতাকে স্বীকৃতিদানের লক্ষ্যে মূল্যায়ন ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন করা হয়েছে । এ জন্য মূল্যায়নের নানা আধুনিক কৌশল ব্যবহার করা হয় । কোথাও কোথাও বিদ্যালয় সময়কালের বাইরে তাদের জন্য অতিরিক্ত প্রতিকারমূলক কোচিং এর ব্যবস্থা করা হয় ।

📜 উপসংহারে বলা যায় , শুধু কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অনগ্রসর গােষ্ঠীভুক্ত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানাে যাবে না । বাস্তবে দেখা যায় , বিভিন্ন সরকারি পরিকল্পনার সুফল এরা প্রত্যক্ষভাবে উপভােগ করতে পারে না । কারণ এই কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সততা ও আন্তরিকতার অভাব । তাই আইন বা নিয়ম নয় , শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সকলের সমবেত ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই একমাত্র এই অবস্থা পরিবর্তনে সক্ষম ।