অতিবাহিত সময়ের দরুন বিস্মৃতি

📔 ( 2 ) অতিবাহিত সময়ের দরুন বিস্মৃতি ( Forgetting due to lapse of time ) :

📜 কোনাে কিছু শেখা ও পুনরুদ্রেকের মধ্যে যত বেশি সময় অতিবাহিত হবে বিস্মৃতির পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে । এর ওপর এবিংহাসের পরীক্ষা খুবই উল্লেখযােগ্য । এ সম্পর্কে এবিংহসের একটি পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করা হল—

📜 উপরের পরীক্ষা এবং লেখচিত্র থেকে দেখা যায় যে , প্রথম দিকে বিস্মরণ দ্রুত ঘটে । পরে বিস্মরণের হার হ্রাস পায় । অতঃপর এমন একটা সময় আসে যখন সময় অতিবাহিত হলেও বিস্মরণের পরিমাণ একই থাকে । সম্পূর্ণ বিস্মরণ কোনাে দিনই ঘটে না । এরকম হতে পারে যে , বহুদিন পর অধীত বিষয় হয়তাে ব্যক্তি একেবারেই মনে করতে পারছে না । এক্ষেত্রে সংরক্ষণের পরিমাণ যে শূন্য তা বলা যায় না কারণ পুনরায় বিষয়টি মুখস্থ করতে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের প্রয়ােজন হয় ।

📜 সময়ের প্রভাবে বিস্মরণের কারণ হল চর্চা বা অনুশীলনের অভাব ( Law of disuse ) । সময়ের কারণে ভুলে যাওয়াকে রােধ করতে হলে বিষয়টিকে মাঝে মাঝে অনুশীলন করতে হবে ।

📔 ( 3 ) ক্লান্তি ( Fatigue ) :

📜 অসুস্থ দেহে বা মানসিকভাবে ক্লান্ত অবস্থায় যদি আমরা শিখি সেক্ষেত্রে শীঘ্র ভুলে যাবার সম্ভাবনা অধিক । ক্লান্তির সঙ্গে পশ্চাৎমুখী অন্তরায়ের একটা সম্পর্ক দেখা যায় । একনাগাড়ে পাঠ করলে পশ্চাৎমুখী অন্তরায়ের কারণে প্রথম পাঠের বিষয়টি পরবর্তী পাঠের অন্তরায় সৃষ্টি করে , ফলে পাঠটি দুর্বল হয় এবং আমরা ভুলে যাই । পাঠের মাঝে বিরতি দিলে ক্লান্তি অপসারণ হয় এবং অন্তরায়জনিত বাধা দূর হয় এবং বিস্মরণ কম হয় ।