Skinner- এর সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের মূল নীতি

📔 Skinner- এর সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের মূল নীতি ( Basic Principles of Skinner’s Operant Conditioning Theory ) :

🧾 Skinner- এর মতে , মনস্তত্ত্বের উদ্দেশ্য হল প্রাণীর আচরণকে নিয়ন্ত্রণ এবং আচরণের পর্বাভাস দেওয়া । এখানে আচরণ বলতে প্রাণীর সেই সমস্ত সক্রিয়তার কথা বােঝায় যা অপরের পর্যবেক্ষণগ্রাহ্য ।

🧾 পরীক্ষামূলক গবেষণার মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ ও তার ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে Skinner যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । যেসব আচরণের নির্দিষ্ট ও স্থায়ী কোনাে উদ্দীপক নেই , পরিবেশের সঙ্গে অভিযােজন প্রক্রিয়াই যার কারণ , সেই আচরণ নিয়ন্ত্রণ Skinner- কে খুব আকৃষ্ট করেছিল । স্কিনারের মতে আচরণ দু – ধরনের , রেসপন্ডেন্ট ( Respondent ) এবং অপারেন্ট ( Operant ) । যেসব আচরণে নির্দিষ্ট উদ্দীপক আছে যেমন –লালা নিঃসরণের জন্য খাদ্য , চোখের সংকোচনের জন্য উজ্জ্বল আলাে ইত্যাদিকে বলা হয় রেসপন্ডেন্ট জাতীয় আচরণ ।

আর যেসব প্রতিক্রিয়ার নির্দিষ্ট কোনাে উদ্দীপক নেই তাকে বলা হয় অপারেন্ট জাতীয় আচরণ । রেসপন্ডেন্ট জাতীয় আচরণ সম্পন্ন হয় নির্দিষ্ট উদ্দীপকের উপস্থিতিতে , আর অপারেন্ট জাতীয় আচরণ প্রাণীর সক্রিয়তার ফলে ঘটে । অধিকাংশ ইচ্ছাসাপেক্ষ আচরণ অপারেন্ট ধরনের । স্কিনার প্রধানত অপারেন্ট জাতীয় আচরণের ওপর গবেষণা করেছিলেন । প্রথম দিকে তাঁর গবেষণাগুলি এবং এর বিবরণগুলি এত জটিল ছিল যে , সাধারণের পক্ষে তা বােঝা দুষ্কর । পরবর্তী পর্যায় বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি তাঁর গবেষণাগুলি এবং তার বিবরণ সরলীকরণ করে সাধারণের বােধগম্য করে তােলেন ।

1935 খ্রিস্টাব্দে ‘ Science and Human behaviour ‘ নামে তিনি একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন । সেখানে তিনি তাঁর পরীক্ষাগুলি থেকে প্রাপ্ত নীতিসমূহের উল্লেখ করেন । এই পুস্তকটি আমেরিকার শিক্ষাজগতে এক আলােড়ন সৃষ্টি করে । বিভিন্ন মনােবিদ ও শিক্ষাবিদগণ নানা রকম পরীক্ষা শুরু করেন । স্কিনার Minnesota ও Indiana বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে operant conditioning- এর উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই এই পরীক্ষা থেকে প্রচুর তথ্য সংগৃহীত হয় । এইগুলি নিয়ে 1946 খ্রিস্টাব্দে Indiana বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সম্মেলন আহূত হয় । সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল Experimental Analysis of behaviour ‘ ।