সাধারন জ্ঞান এর প্রশ্ন উত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে :

১. সমাজ পরিবারের চেয়ে ( বড়ো / ছােটো ) ।

উত্তর—বড়ো

২. সমাজ পরিবারের ( আগে / পরে ) তৈরি হয়েছে ।

উত্তর —পরে

৩. সমাজের একরকম মানে ( আলাদা / একসঙ্গে ) চলা ।

উত্তর —একসঙ্গে

৪. যতদিন গেছে তত লােক ( বেড়েছে /
কমেছে ) ।

উত্তর — বেড়েছে

৫. মানুষ ( গম / যব / ধান ) চাষের আগে ( গম / আলু / ধান ) চাষ করতে শিখেছিল ।

উত্তর— ধান , গম

৬. মানুষ প্রথম ( কুকুর / বেড়াল / গোরু ) -কে পােষ মানিয়েছিল ।

উত্তর — কুকুর

৭. আমরা চা পান করা শিখেছি ( চিন / বাংলাদেশ / ভুটান ) -দেশের থেকে

উত্তর — চিন

৮. খাসিয়াদের সমাজে পরিবারের প্রধান ( মা / । বাবা / ঠাকুরদা ) ।

উত্তর — মা

৯. বর্তমান সমাজ হল ( কৃষি / শিল্প / কৃষি ও শিল্প ) নির্ভর ।

উত্তর — কৃষি ও শিল্প

১০. পাট হল একপ্রকার ( দানাশস্য / ডালশস্য / তন্তু ) ।

উত্তর — তন্তু



ANSWER


১. বড়াে
২. পরে
৩. একসঙ্গে
৪. বেড়েছে
৫ . ধান , গম
৬. কুকুর
৭. চিন
৮. মা
৯. কৃষি ও শিল্প
১০. তন্তু ।


শূন্যস্থান পূরণ করো :



১. অনেকের বাবার পদবির বদলে_______ নামে পদবি হয় ।

উত্তর — জায়গায়

২. অনেক মানুষ যদি একই জায়গায় একসঙ্গে থাকে তাহল _______ তৈরি হয় ।

উত্তর — সমাজ

৩. পশুপালক সমাজের পর আসে _______ সমাজ ।

উত্তর — কৃষি

৪. শুধু শিল্পসমাজ হলে চলে না কারণ _______ কৃষি চাই ।

উত্তর — খাওয়া পরার

৫. বন্যার হাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে মানুষ _______ বানিয়েছিল ।

উত্তর — গোলা

৬. বড়াে জন্তু শিকার করার পর বাঘ যতটা খেতে পারে না সেটা_______l

উত্তর — পাহারা দেয়

৭. গাছে তাদের দেহের বিভিন্ন জায়গায় _______ জমিয়ে রাখে ।

উত্তর — খাবার

৮. মানুষ শুরুর দিকে_______ ছিল , তখন তারা জানত না ।

উত্তর —যাযাবর

৯. মাছ – মাংস ভালাে রাখতে গেলে _______ মাখিয়ে রাখতে হয় ।

উত্তর — নুন

১০. আমাদের দেশে অনেকরকম _______ মেশানাে জারক রস তৈরি করা হত l

উত্তর —ছোটো গুল্ম


১১. রোমানরা _______ ফল খেতে খুব ভালােবাসত ।

উত্তর — শুকনো করা

১২. আমি যাতে ভালো থাকে সেজন্য কাঁচা আম টুকরাে করে কেটে তাতে _______মাখিয়ে রোদে দেওয়া হয় l

উত্তর — নুন হলুদ


ANSWER

১. জায়গার
২. সমাজ
৩. কৃষি
৪. খাওয়া – পরার
৫. গােলা
৬. পাহারা দেয়
৭. খাবার
৮. যাযাবর
৯. নুণ
১০. ছােটো গুল্ম
১১. শুকনাে করা
১২. নুন – হলুদ



একটি বাক্যে উত্তর দাও :


১. মানুষকে সামাজিক প্রাণী বলা হয় কেন ?

উত্তর : মানুষ দলবেঁধে সমাজে থাকে বলে মানুষকে সামাজিক প্রাণী বলা হয় ।

২. মানুষ ছাড়া আরও অন্তত পাঁচটি প্রাণীর নাম লেখো যারা দলবেঁধে থাকে ।

উত্তর : মানুষ ছাড়াও হাতি , মৌমাছি , পিঁপড়ে , উইপােকা ও শিম্পাঞ্জিরা দলবেঁধে থাকে ।

৩. আত্মীয় কাকে বলে ?

উত্তর : একই পরিবারের শাখা – প্রশাখাকে একসঙ্গে আত্মীয় বলে ।

৪. তােমরা নামের পাশে যে পদবি লেখাে , সেটা কার কাছ থেকে পেয়েছ ?

উত্তর : আমাদের নামের পাশে পদবি বাবার কাছ থেকে পেয়েছি ।

৫. খাসিয়ারা কোন্ রাজ্যে বাস করেন ?

উত্তর : খাসিয়ারা মেঘালয়ে বাস করেন ।

৬. যাযাবর সমাজ কাকে বলে ?

উত্তর : একসময় মানুষ খাবারের খোঁজে ঘুরে ঘুরে বেড়াত l সেই আদিম সমাজকে যাযাবর সমাজ বলে ।

৭. কৃষিসমাজ কখন তৈরি হয় ?

উত্তর : মানুষ যখন চাষ করতে শিখল তখন কৃষিসমাজ তৈরি হল ।

৮. ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করার সুবিধা কী ?

উত্তর : ট্রাক্টরের সাহায্যে অল্প সময়ে কম খাটনিতে অনেকটা জমি চাষ করা যায় ।

৯. মানুষ কবে চাষ করতে শিখেছিল ?

উত্তর : আজ থেকে প্রায় নয় – দশ হাজার বছর আগে মানুষ চাষ করতে শিখেছিল ।

১০. এখন ট্রাক্টর কীসের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ?

উত্তর : হাল বলদের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয় ।

১১. জমিতে লাঙল দেওয়ার কাজে কোন্ কোন্ পশুকে ব্যবহার করা হত ?

উত্তর : জমিতে লাঙল দেওয়ার কাজে বলদ ও ঘােড়া ব্যবহৃত হত ।

১২. প্রথম দিকে মানুষ চাষের ফসলে পােকা মারার জন্য কী ব্যবহার করত ?

উত্তর : প্রথম দিকে মানুষ চাষের ফসলে পােকা মারার জন্য শুকনাে গােবর , পােড়া ছাই বা নিমজাতীয় গাছের পাতার রস ব্যবহার করত ।

১৩. আগেকার দিনে খেতের যে ফসল মানুষ নিজে ব্যবহার করত তা জমি থেকে তােলার পর কোথায় রাখত ?

উত্তর : মানুষ নিজের ব্যবহারের জন্য গােলায় ফসল জমিয়ে রাখত ।

১৪. সার হিসেবে মানুষ প্রথম কী ব্যবহার করেছিল ?

উত্তর : সার হিসেবে মানুষ প্রথম পালিত পশুর মল ব্যবহার করেছিল ।

১৫. কোন ধরনের প্রাণীকে মানুষ পােষ মানাতে পেরেছিল ?

উত্তর : যেসব পশু শান্ত , মাংসাশী নয় এবং খুব তাড়াতাড়ি বড়াে হয় , মানুষ তাদের পােষ মানাতে পেরেছিল ।

১৬. তৃণভােজী প্রাণীরা কাদের খাদ্য ?

উত্তর : তৃণভােজী প্রাণীরা মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্য ।

১৭. মানুষ কোন্ ধরনের প্রাণীকে পালন করে ?

উত্তর : যে ধরনের প্রাণীকে চাষের কাজে ব্যবহার করা । যায় , যাদের থেকে পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়া যায় কিংবা যারা অন্য হিংস্র প্রাণীদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারে , মানুষ তাদের পালন করে ।

১৮. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে এরকম কয়েকটি রান্নার উদাহরণ দাও ।

উত্তর : নিম , শিম আর বেগুন দিয়ে শুক্তো , ফুলবড়ি আর আদার রস দিয়ে নটে শাক , বেথুয়া শাকের চচ্চড়ি , উচ্ছে দিয়ে মুগডাল প্রভৃতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ।

১৯. পাঁচ-ছশো বছর আগে বাংলার রান্নায় ব্যবহার করা হত না , কিন্তু এখন ভীষণ ব্যবহার করা হয় , এরকম একটি আনাজের নাম বলাে ।

উত্তর : পাঁচ – ছশাে বছর আগে রান্নায় আলু ব্যবহার করা হত না , কিন্তু এখন ভীষণ ব্যবহার করা হয় ।

২০. আমরা গরমকালে পান করি এরকম কতগুলি পানীয়ের নাম লেখাে ।

উত্তর : শরবত , নুন মেশানাে লেবুর জল , দইয়ের ঘােল , আমের শরবত ইত্যাদি আমরা গরমকালে পান করি ।

২১. কবে মানুষ দেওয়া – নেওয়া করতে শিখল ?

উত্তর : কৃষিকাজ শুরু হওয়ার পর আস্তে আস্তে মানুষ দেওয়া – নেওয়া করতে শিখল ।

২২. এক সমাজের বাড়তি খাবার অন্য সমাজের কাজে লাগে — এরকম একটি উদাহরণ দাও ।

উত্তর : যেসব অঞ্চলে চাষবাস ভালােভাবে করা যায় এবং ভালাে ফসল হয় , সেখানকার বাড়তি ফসল মরুভূমি বা পাহাড়ি অঞ্চলের কাজে
লাগে ।

২৩. বর্ষাকালের জন্য কোন্ প্রাণী খাবার জমায় ?

উত্তর : পিঁপড়ে বর্ষাকালের জন্য খাবার জমায় ।


২৪. ইদুর কোথায় ধান জমিয়ে রাখে ?

উত্তর : ইঁদুর নিজের গর্তে ধান জমিয়ে রাখে ।

২৫. মৌমাছিরা ফুলের মধু কোথায় জমিয়ে রাখে ?

উত্তর : মৌমাছিরা মৌচাকে ফুলের মধু জমিয়ে রাখে ।

২৬. মাংস কি বেশিদিন রেখে দেওয়া যায় ?

উত্তর : না , মাংস বেশিদিন রাখলে পচে যাবে ।

২৭. অনেকদিন ভালো থাকে এরকম কয়েকটি খাদ্যের উদাহরণ দাও ।

উত্তর : ধান , গম এবং অন্যান্য শস্য অনেকদিন পর্যন্ত ভালাে থাকে ।

২৮. মানুষ কেন পোড়ামাটির পাত্র বানিয়েছিল ?

উত্তর : পোড়ামাটির পাত্র জলে গুলে যায় না বলে জল ধরে রাখার জন্য পােড়ামাটির পাত্র বানিয়েছিল ।

২৯. পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় আলু রাখার জন্য প্রচুর হিমঘর আছে ?

উত্তর : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও হুগলি জেলাতে আলু রাখার জন্য প্রচুর হিমঘর আছে |

৩০. হিমঘর কী ?

উত্তর : যে বড়াে গুদামের ভেতরটা ফ্রিজের মতাে ঠান্ডা তাকে হিমঘর বলে ।

৩১. খাবারকে জীবাণুর হাত থেকে বাঁচানাের জন্য কী কী ব্যবহার করা যেতে পারে ?

উত্তর : খাবারকে জীবাণুর হাত থেকে বাঁচানাের জন্য নুন , মধু , ঘি ও তেল ব্যবহার করা যেতে পারে ।

৩২. তরল বা জলসুদ্ধ খাবার কীভাবে ভালাে রাখা যায় ?

উত্তর : তরল বা জলসুদ্ধ খাবার বিশেষ ধরনের কাগজের প্যাকেট বা টিনের পাত্রে বায়ুশূন্য অবস্থায় রাখলে তা ভালাে থাকে ।

৩৩. কারা টিনের খাবার সঙ্গে নিয়ে যান ।

উত্তর : যাঁরা অনেকদিনের জন্য সমুদ্রযাত্রায় যান বা পাহাড়ে চড়েন অথবা মহাকাশযাত্রায় যান তারা টিনের খাবার নিয়ে যান ।

৩৪. ভাজা জিনিস অনেকদিন ভালাে থাকে । এর দুটি উদাহরণ দাও ।

উত্তর : প্যাকেটের আলুভাজা অনেকদিন ভালাে থাকে । বাড়িতেও কাঁচা মাছ রাখা যায় না বলে ভেজে রাখা হয় ।

৩৫. যেসব জায়গায় বা যেসব ঋতুতে রােদের তেজ কম থাকে সেসব জায়গায় বা সেসব ঋতুতে পুরােনাে দিনে মানুষ কীভাবে মাছ – মাংস অনেকদিন ধরে রেখে দিত ?

উত্তর : আগুনে সেঁকে বা গরম ধোঁয়ায় শুকনাে করে পুরােনাে দিনে মানুষ মাছ – মাংস অনেকদিন রেখে দিত ।

৩৬. একসময় মানুষ বাড়তি খাবার নষ্ট করত কেন ?

উত্তর : ফ্রিজ বা হিমঘর না থাকায় আগেকার দিনে মানুষ খাবার বাঁচাবার উপায় জানত না । তাই তারা বাড়তি খাবার নষ্ট করত ।

৩৭. বােতল ও টিনবন্দি খাবারে অনেকরকম পদার্থ মেশানাে হয় কেন ?

উত্তর : বােতল ও টিনবন্দি খাবারে অনেকরকম পদার্থ মেশানাে হয় যাতে বেশ কিছু দিন খাবারের খাদ্যগুণ বজায় থাকে ।

৩৮. আচার – কাসুন্দি মাঝে মাঝে রােদে দেওয়া হয় কেন ?

উত্তর : বাতাস থেকে ঢুকে পড়া জল যাতে কমে যায় , সেজন্য আচার কাসুন্দি মাঝে মাঝে রােদে দেওয়া হয় ।



২-৩ টি বাক্যে উত্তর দাও :

১. সমাজের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখাে ।

উত্তর : সমাজে সবাই দলবেঁধে থাকে । সকলের প্রয়ােজন সকলে মিলে মেটায় । একের দরকারে বাকি সবাই সাহায্য করে ।

২. মানুষ কীভাবে সমাজ ও পরিবার তৈরি করেছিল ?

উত্তর : আদিম মানুষ খাবার খুঁজে পেতে এবং বন্য পশুর সঙ্গে লড়াই করতে সুবিধা হত বলে জোট বেঁধে থাকত । এভাবে জোট বাঁধা থেকেই একসময় পরিবার ও সমাজ তৈরি হয়েছিল ।

৩. সমাজে থাকার সুবিধা কী ?

উত্তর : কেউ একা সব কাজ করে না বা করতে পারে না । সমাজে থাকলে এক – একজন এক – একরকমের কাজ করে আর সেই কাজগুলাের সুবিধা সবাই পায় ।

৪. সমাজে কীভাবে সবাই একে অপরের ওপর নির্ভর করে তা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে
দাও ।

উত্তর : সমাজে একজন চাষ করেন , আবার একজন কাপড় তৈরি করেন । ফলে চাষের ফসল যেমন সবাই খেতে পারেন তেমনই যিনি কাপড় তৈরি করেন , তার তৈরি করা কাপড়ও সবাই পরেন |

৫. সংস্কৃতি কী ?

উত্তর : ভাষা , খাবার , পােশাক , নাচ , গান , উৎসব আর শিল্পকলা নিয়ে সংস্কৃতি তৈরি হয় । একই সমাজের মানুষদের সংস্কৃতি প্রায় একই রকম হয় ।


৬. যাযাবর সমাজের পর মানুষ কী সমাজ তৈরি করল ?

উত্তর : যাযাবর সমাজের পর মানুষ পশুপালক সমাজ তৈরি ।
এই সমাজে মানুষ পশুদের পালন করতে শিখেছিল ।

৭. শিল্পসমাজ কখন তৈরি হল ?

উত্তর : যখন কারখানা তৈরি হল , তখন অনেকে চাষের । বদলে ওইসব বড়াে বড়াে কারখানায় কাজ করতে লাগলেন | এর ফলে শিল্পসমাজ তৈরি হয় ।

৮. কী দেখে প্রথম মানুষের চাষ করার ভাবনা মাথায় আসে বলে অনুমান করা হয় ?

উত্তর : সম্ভবত মানুষ লক্ষ করেছিল পশুপাখি ফল খাওয়ার সময় বা মলত্যাগ করার সময় বীজ মাটিতে ফেলে দেয় । সেই বীজ থেকে গাছের চারা বের হয় । এর থেকেই মানুষ চাষ করতে শিখেছিল বলে অনুমান করা হয় ।

৯ , কৃষিসমাজের সঙ্গে আমাদের বর্তমানে সমাজের পার্থক্য কোথায় ?

উত্তর : কৃষিসমাজে বেশিরভাগ মানুষ চাষ করতেন । কিন্তু বর্তমান সমাজে অনেক লােক যেমন চাষ করেন তেমনই লােক কারখানায় কাজ করেন এবং এ ছাড়াও অনেক পেশা আছে ।

১০. পাহাড়ে মানুষ কীভাবে চাষ করে ?

উত্তর : পাহাড়ে মানুষ প্রথমে জঙ্গল পােড়ায় । তারপর কোদাল , নিড়ানি দিয়ে চাষ করে । সেখানে এখনও হাল বা বলদ ব্যবহার করা হয়
না ।

১১. গােরূজাতীয় প্রাণীদের পােষ মানানাের ক্ষেত্রে কী সুবিধা ছিল ?

উত্তর : গােরু ঘাসপাতা , ধানগাছের কাণ্ড , ভুট্টার বীজ , সরষে খােল ইত্যাদি খায় । এগুলাে সারা বছর পাওয়া যায় । তা ছাড়া গােরু শান্ত স্বভাবের এবং খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে ।

১২. বাঘের মতাে প্রাণীকে মানুষ পােষ মানাতে পারেনি কেন ?

উত্তর : বাঘ শুধু মাংস খায় এবং হিংস্র প্রাণী । তাই বাঘের মতাে হিংস্র প্রাণীকে শিকার করলেও মানুষ তাকে পােষ মানাতে পারেনি ।

১৩. হাতি এবং হরিণ তৃণভােজী , অথচ মানুষ তাদের পােষ মানাতে চেষ্টা করেনি কেন ?

উত্তর : হাতি বড়াে হতে অনেক সময় নেয় । আর হরিশ সহজেই ভয় পায় আর তাড়াতাড়ি দৌড়ে বা লাফিয়ে পালায় । তাই মানুষ তাদের পােষ মানাতে চেষ্টা করেনি ।

১৪. খাদ্যের অপচয় করা উচিত নয় কেন ?

উত্তর : অনেক মানুষ রােজ খেতে পায় না । অনেক শিশু অপুষ্টিতে ভুগে মারা যায় । সেজন্য খাবারের অপচয় না করে না খেতে পাওয়া মানুষদের তা দেওয়া উচিত ।

১৫. এক – এক অঞ্চলের মানুষের খাদ্যতালিকা এক একরকম কেন ?

উত্তর : এক – এক অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রকৃতি এক একরকমের হয় । ফলে এক – এক জায়গায় এক – একরকম ফসলের চাষ হয় । যেখানে যা চাষ হয় সেখানকার খাদ্যতালিকা সেই ফসল অনুযায়ী হয় l

১৬. খাবার দেওয়া – নেওয়া এবং খাবারের বাজারে বেচাকেনা , এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক এবং কেন ?

উত্তর : খাবার দেওয়া – নেওয়া হলে একটা বিশেষ খাবারের বিনিময়ে আর একটা বিশেষ খাবার বা জিনিস পাওয়া যায় । কিন্তু বেচাকেনার সময় বাড়তি খাবার বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে নিজের প্রয়ােজন ও সুবিধামতাে অনেকরকম জিনিস কেনা যায় । ফলে দেওয়া – নেওয়ার চেয়ে বেচাকেনা অনেক সুবিধাজনক ।

১৭. মরুভূমি বা পাহাড়ে খাবারের দাম বেশি হয় কেন ?

উত্তর : মরুভূমি বা পাহাড়ে ভালােভাবে চাষ করা যায় না । ফলে সেখানে বাইরে থেকে অনেক খাবার আনতে হয় । এজন্য মরুভূমি বা পাহাড়ে খাবারের দাম বেশি হয় ।

১৮. গােলায় ধান রাখার পদ্ধতি কী ?

উত্তর : প্রথমে ভােলা থেকে পুরােনাে ধান সব বের করে সেটাকে ভালােভাবে পরিষ্কার করা হয় । এরপর দেখা হয় যাতে ভােলার মধ্যে যথেষ্ট আলাে-বাতাস চলাচল করতে পারে এবং এটা যেণ স্যাঁতস্যাতে না হয় । তারপর সেখানে নতুন ধান রাখা হয় ।

১৯. এখন চাষের জমিতে ফসলের পােকা মারার জন্য । কী ব্যবহার করা হয় ? তার সুফল ও কুফল কী ?

উত্তর : এখন চাষের জমিতে ফসলের পােকা মারার রাসায়নিক বিষ ব্যবহার করা হয় । এর সুফল হল , পােকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ফলে ফসল ভালাে হয় । কিন্তু কুফল হল , এটি ব্যবহার করার ফলে মাটি নষ্ট হয়ে যায় ।

২০. বাড়তি খাবার দেওয়া – নেওয়ার ফলে কী কী সুবিধা হয়েছিল ?

উত্তর : বাড়তি খাবার দেওয়া – নেওয়ার ফলে তিন ধরনের সুবিধা হয়েছিল— ( ১ ) বাড়তি খাবার নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমেছিল । ( ২ ) ব্যাবসাবাণিজ্য শুরু হয়েছিল । ( ৩ ) এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের যােগাযােগ গড়ে উঠেছিল ।

২১. সমাজে কীভাবে খাদ্যের দেওয়া – নেওয়া শুরু হল ?

উত্তর : মানুষ একরকম খাবার উৎপাদন করে । অথচ তার নানারকম খাবারের চাহিদা | সেই চাহিদা মেটাতে সে নিজের বাড়তি খাবার অন্যদের দেয় ও তাদের কাছ থেকে বাড়তি খাবার নিয়ে নিজের চাহিদা মেটাতে শুরু করল । এভাবে সমাজে খাদ্যের দেওয়া – নেওয়া শুরু
হল ।

২২. জলসেচ ব্যবস্থা বলতে কী বােঝ ?

উত্তর : বৃষ্টি ভালাে না হলে জমির ফসল শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে । এজন্য নদীর জল সারাবছর ধরে রেখে চাষের । কাজে ব্যবহার করা হয় । তা ছাড়া কুয়াে বা নালা থেকে জল তুলেও তা চাষের কাজে লাগানাে হয় । একেই জলসেচ ব্যবস্থা বলে ।

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?
প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...
একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।
শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...
ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।
পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন
অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন
প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল
প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার
মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা
মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা
সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ
পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?
জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক
অনুসন্ধান পদ্ধতি
জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page