“■ আদর্শ বলা / আদর্শ কথন :
● শিশু তার কথা শেখার বয়স থেকেই ভাষার মৌখিক অনুশীলন শুরু করে। শিক্ষিত পিতামাতা অবশ্য শিশুর সঠিক উচ্চারণের দিকেই লক্ষ রাখেন । পরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে দক্ষ হয়ে ওঠে ।
● কথা বলার একটি বিশেষ দিক হল সুষ্ট উচ্চারণে ধ্বনির ওঠা – নামা বজায় রেখে কথা বলার অভ্যাস তৈরি করানাে । পরবর্তী জীবনে এই কৌশল ব্যক্তিমানুষকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে ।
● অবশ্য মৌলিক ভাষা মানুষ জন্মসূত্রে পেলেও সুষ্ঠুভাবে কথা বলার জন্য যথেষ্ট শিক্ষা ও অনুশীলনের প্রয়ােজন আছে ।
● মা – বাবা বা পরিবারের সদস্যরা শিশুকে ধীরে ধীরে নতুন নতুন শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তােলেন । শিশু মূলত এই শব্দ শােনে একেবারে পরিচিত পরিবেশ থেকে যেমন — নতুন জিনিসপত্র বা আসবাবপত্র বা খাদ্যবস্তুর নাম ও একান্তজনের সম্পর্কে সুত্র হিসেবে ।
● একটি শব্দ যখন সে বারবার ভুল করছে , তার ভুল শোধরানাের সূত্র ধরেই তার ভাষা অনুশীলনের পাঠ শুরু হয় ।
● আর প্রথাগতভাবে ভাষা শিক্ষাদানের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিদ্যালয় পর্বে ।
● মুলত গৃহপরিবেশে আমরা আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করি । সেগুলাে ( আঞ্চলিক ভাষা ) শিশুরা অজ্ঞাতে শিখে ফেলে ও ব্যবহার করতে শেখে । একবার শিখে ফেলা শব্দকে ভুলে যাওয়া একটু কঠিন হয় ।
● যেহেতু আঞ্চলিক ভাষা সর্বজনবােধ্য নয় তাই এতে উচ্চারণের শুদ্ধতা থাকে না — সেজন্য এটিকে কষ্টসাধ্য হলেও পরিহার করা জরুরি ।
□ কথা বলার দক্ষতা অর্জন :
● কথা বলার দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত দিকগুলাের দিকে বিশেষ নজর রাখা জরুরি—
( ১ ) শব্দ নির্বাচন ।
( ২ ) ধ্বনির যথাযথ বা সুস্পষ্ট উচ্চারণ
( ৩ ) যথাযথ বাক্য গঠন ।
( ৪ ) প্রয়ােজনীয় যুক্তি , তর্ক ও দৃষ্টান্ত উপস্থাপন
( ৫ ) বক্তব্য বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা ও উপযােগিতা
( ৬ ) সাজিয়ে কথা বলার যােগ্যতা অর্জন
( ৭ ) যথাযথ স্বরক্ষেপণ ।