“⭐ মৌলিক শব্দ : অর্ধতৎসম শব্দ ⭐
□ ঘৃণা ( সংস্কৃত ) > ঘৃণা ( বাংলা ) > ঘেন্না ( অর্ধতৎসম ) ।
● লক্ষণীয় , ‘ ঘৃণা ‘ সংস্কৃত থেকে বাংলায় আগত তৎসম শব্দ , পরে বাঙালির নিজস্ব উচ্চারণের প্রভাবে বিকৃত হয়ে ‘ঘেন্না’ হয়েছে । ঘেন্না ’ অর্ধতৎসম শব্দ ।
■ অর্ধতৎসম শব্দ :
● তাহলে অর্ধতৎসম শব্দের পরিচয় এভাবে দিতে পারি , বাংলা ভাষায় যে সকল তৎসম শব্দ বাঙালির উচ্চারণের প্রভাবে অল্পবিস্তর বিকৃত বা রূপান্তরিত হয়েছে , তাদের অর্ধতৎসম বা ভগ্নতৎসম শব্দ বলা হয় ।
● এরকম আরো কিছু উদাহরন দেওয়া হল —
□ গৃহিণী > গিন্নি ,
□ কৃষ্ণ > কেষ্ট ,
□ পুত্র > পুত্তুর ,
□ শ্রীদাম > ছিদাম ,
□ কুৎসিত > কুচ্ছিত ,
□ অনাসৃষ্টি > অনাছিষ্টি ,
□ রাত্রি > রাত্তির ,
□ তৃষ্ণা > তেষ্টা ,
□ কীর্তন > কেত্তন ,
□ ত্রাস > তরাস ,
□ বহুরূপী > বউরূপী ,
□ শ্রীনাথ > ছিনাথ ,
□ ত্র্যহস্পর্শ > তেরস্পর্শ ,
□ প্রসন্ন > পেসন্ন ,
□ প্রাণ > পরান ,
□ কবিরাজ > কব্রেজ ,
□ স্নান > সিনান ,
□ আধিক্য > আদিখ্যে ,
□ কায়স্থ > কায়েত ,
□ শুক্র > শুক্কুর ,
□ রবিবার > রােববার ,
□ উৎসন্ন > উচ্ছন্ন ,
□ মহােৎসব > মচ্ছব ,
□ চন্দ্র > চন্দর ,
□ প্রদীপ > পিদিম ,
□ প্রীতি > পিরিতি ,
□ প্রণাম > পেন্নাম ,
□ শ্রদ্ধা > ছেদ্দা ,
□ বিষ্ণু > বিষ্ণু ,
□ শ্রাদ্ধ > ছেরাদ্দ ,
□ স্পর্শ > পরশ ,
□ ধৈর্য > ধৈরজ ,
□ ভক্তি > ভকতি ,
□ ক্ষুধা > খিদে ,
□ সূর্য > সূয্যি , সুজ্জি ;
□ শ্রী > ছিরি ,
□ বৃহস্পতি > বেস্পতি ,
□ রৌদ্র > রােদ্দুর ,
□ বিশ্রী > বিচ্ছিরি ,
□ মহার্ঘ > মাগ্গি ,
□ মিত্র > মিত্তির ,
□ যজ্ঞ > যজ্ঞি ,
□ জ্যোৎস্না > জোছনা ,
□ নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন ,
□ বৈষব > বােষ্টম ,
□ গ্রাম > গেরাম ,
□ দ্বার > দুয়ার ,
□ গৃহস্থ > গেরস্থ ,
□ পুরােহিত > পুরুত ইত্যাদি । “