বাংলা সাহিত্য – আনন্দ পুরস্কার

“✳️ আনন্দ পুরস্কার :
আনন্দ পুরস্কার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দ প্রকাশনা গ্রুপ কর্তৃক প্রদত্ত একটি বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার।

🟢 পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা :

🔰 বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের রচয়িতা। রসরচনায়ও রয়েছে তার অসামান্য দক্ষতা। তিনি অনেক কৌতুক ও রঙ্গরসের গল্পও লিখেছেন।

🔰 সমরেশ বসু (১৯২৪-১৯৮৮) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক। কালকূট ও ভ্রমর তার ছদ্মনাম। তার রচনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শ্রমজীবী মানুষের জীবন এবং যৌনতাসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সুনিপুণ বর্ণনা ফুটে উঠেছে। ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

🔰 প্রমথনাথ বিশী একজন লেখক, শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক। তিনি ১৯৬২-৬৮ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।

🔰 সৈয়দ মুজতবা আলী (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ – ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪) একজন বিংশ শতকী বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা। তিনি তাঁর ভ্রমণকাহিনির জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একই সঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট।

🔰 কালিদাস রায় (২২ জুন ১৮৮৯ — ২৫ অক্টোবর ১৯৭৫) ছিলেন রবীন্দ্রযুগের বিশিষ্ট রবীন্দ্রানুসারী কবি, প্রাবন্ধিক ও পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা। তার রচিত কাব্যগুলির মধ্যে তার প্রথম কাব্য কুন্দ (১৯০৭), কিশলয় (১৯১১), পর্ণপুট (১৯১৪), ক্ষুদকুঁড়া (১৯২২) ও পূর্ণাহুতি (১৯৬৮) বিশেষ প্রশংসা লাভ করে। গ্রামবাংলার রূপকল্প অঙ্কনের প্রতি আগ্রহ, বৈষ্ণবপ্রাণতা ও সামান্য তত্ত্বপ্রিয়তা ছিল তার কবিতাগুলির বৈশিষ্ট্য। তিনি আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছেন।

🔰 সুকুমার সেন (১৬ জানুয়ারি ১৯০১ – ৩ মার্চ ১৯৯২) ছিলেন একজন ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্য বিশারদ। বৈদিক ও ধ্রুপদী সংস্কৃত, পালি, প্রাকৃত, বাংলা, আবেস্তা ও প্রাচীন পারসিক ভাষায় তার বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল। তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব ও পুরাণতত্ত্ব আলোচনাতেও তিনি তার বৈদগ্ধের পরিচয় রেখেছিলেন।

🔰 বিমল কর (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২১ – ২৬ আগস্ট ২০০৩) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি উত্তর ২৪ পরগণার টাকীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জ্যোতিষচন্দ্র কর এবং মাতা নিশিবালা কর।

🔰 গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য (১ আগস্ট ১৮৯৫ – ৮ এপ্রিল ১৯৮১) একজন বাঙালি পতঙ্গবিশারদ ও উদ্ভিদবিদ, যিনি সামাজিক কীটপতঙ্গের ওপর তার গবেষণাকর্মের জন্য বিখ্যাত। বাংলার কীটপতঙ্গ নামক গ্রন্থটি রচনার জন্য ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে তিনি করে দেখ নামক তিন খন্ডের একটি গ্রন্থও রচনা করেন।

🔰 গৌরকিশোর ঘোষ (২০ জুন, ১৯২৩ – ১৫ ডিসেম্বর, ২০০০) একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। তিনি রূপদর্শী ছদ্মনামে গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছেন।

🔰 সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। সত্যজিতের জন্ম কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্প সমাজে খ্যাতনামা রায় পরিবারে। তার পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জে (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয়: Ladri di biciclette, বাইসাইকেল চোর) দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।

🔥 চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তার কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Documentary) পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯) – এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এছাড়াও ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১টি গোল্ডেন লায়ন, ২টি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন।

🔥 তিনি বেশ কয়েকটি ছোট গল্প এবং উপন্যাস রচনা করেছেন, প্রাথমিকভাবে শিশু-কিশোরদের পাঠক হিসেবে বিবেচনা করে। কল্পবিজ্ঞানে তার নির্মিত জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র গোয়েন্দা ফেলুদা এবং প্রোফেসর শঙ্কু। সত্যজিৎ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারত রত্ন সম্মাননা প্রদান করে। সত্যজিৎ ভারত রত্ন এবং পদ্মভূষণসহ সকল মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।

🔥 ২০০৪ সালে, বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় সত্যজিৎ ১৩তম স্থান লাভ করেছিলেন। হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।

🔰 সন্তোষকুমার ঘোষ (জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯২০ – মৃত্যু: ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ।

🔰 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ – ২৩ অক্টোবর ২০১২) বিশ শতকের শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক। তার কবিতার বহু পঙ্‌ক্তি সাধারণ মানুষের মুখস্থ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় “”নীললোহিত””, “”সনাতন পাঠক””, “”নীল উপাধ্যায়”” ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।

🔥 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুরে। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, যুগলবন্দী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), হঠাৎ নীরার জন্য, রাত্রির রঁদেভূ, শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, ভানু ও রাণু, মনের মানুষ ইত্যাদি। শিশুসাহিত্যে তিনি “”কাকাবাবু-সন্তু”” নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান সাহিত্য অকাদেমি ও পশ্চিমবঙ্গ শিশুকিশোর আকাদেমির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

🔰 শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্মঃ ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন।

🔰 বুদ্ধদেব গুহ (জন্ম জুন ২৯, ১৯৩৬, রংপুর (পূর্ববঙ্গ), বর্তমান বাংলাদেশ) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । তিনি মূলত বন, অরণ্য এবং প্রকৃতি বিষয়ক লেখার জন্য পরিচিত । তার স্ত্রী প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকা ঋতু গুহ । বহু বিচিত্রতায় ভরপুর এবং অভিজ্ঞতাময় তার জীবন। ইংল্যান্ড, ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশ, কানাডা, আমেরিকা, হাওয়াই, জাপান, থাইল্যান্ড ও পূর্বআফ্রিকা তার দেখা। পূর্বভারতের বন-জঙ্গল, পশুপাখি ও বনের মানুষের সঙ্গেও তার সুদীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরংগ পরিচয়। সাহিত্য-রচনায় মস্তিষ্কের তুলনায় হৃদয়ের ভূমিকা বড়- এই মতে তিনি বিশ্বাসী।

🔰 মতি নন্দী (১০ জুলাই ১৯৩১ – ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন ভারতের কলকাতার একজন বাঙালি লেখক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতি নন্দী ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘কোনি’।

🔰 শক্তি চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: নভেম্বর ২৫, ১৯৩৩ – মৃত্যু: মার্চ ২৩, ১৯৯৫) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, লেখক ও অনুবাদক, যিনি জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান আধুনিক কবি হিসেবে বিবেচিত।[২] বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত এবং আলোচিত ছিলেন। ষাটের দশকে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম।[৩]
১৯৮২ সালে প্রকাশিত তার যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি এবং মৈথিলী বাষায় অনুদিত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত ছেঁড়া তমসুখ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

🔰 সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় একজন জনপ্রিয় বাঙালি লেখক যিনি মূলত রম্য রচনার জন্য খ্যাত। তিনি বেশ কিছু উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।[১] তাঁর সবথেকে বিখ্যাত উপন্যাস লোটাকম্বল যা দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
তাঁর রচনায় হাস্যরসের সাথে তীব্র শ্লেষ ও ব্যঙ্গ মেশানো থাকে। ছোটদের জন্য তাঁর লেখাগুলিও খুবই জনপ্রিয়। তাঁর সৃষ্ট ছোটদের চরিত্রের মধ্যে বড়মামা সিরিজ কাহিনি অন্যতম।

🔰 অন্নদাশঙ্কর রায় (মার্চ ১৫, ১৯০৪ – অক্টোবর ২৮, ২০০২), একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার এক কায়স্থ রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও।

🔰 সুভাষ ভট্টাচার্য : জন্ম বরিশালে ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯। স্নাতক প্রেসিডেন্সি কলেজ ও স্নাতকোত্তর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লেখালিখি ও চর্চা প্রধানত অভিধান, ভাষাতত্ত্ব ও ইতিহাসে, কখনো-বা সংগীত বিষয়ে। একক প্রচেষ্টায় সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন দশ-বারোটি অভিধান, লিখেছেন পাঁচ ছটি ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘আধুনিক বাংলা প্রয়োগ অভিধান’, ‘বাঙালির ভাষা’, ‘ভাষা ও শৈলী’, ‘ভাষাদিগন্তে নতুন আলো’, ‘বাংলাভাষা চর্চা’, ‘ভাষার তত্ত্ব ও বাংলা ভাষা’, ‘বাংলা উচ্চারণ অভিধান’, ‘ইতিহাস অভিধান’ (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড), ‘স্বপ্নের ভুবন : রবীন্দ্রনাথের গান’, ‘বিবিধ বিদ্যার অভিধান’, ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল’, ‘ভাষাকোশ’, ‘তোমাদের রবীন্দ্রনাথ’ ইত্যাদি। সম্পাদিত গ্রন্থ ‘সংসদ বাংলা অভিধান’, Samsad English-Bengali Dictionary, Samsad Bengali-English Dictionary ইত্যাদি। পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৯৮৪), বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার (২০০৭), চণ্ডীগড় প্রাচীন কলাকেন্দ্র সম্মান (২০০৯)। সাহিত্য সংসদের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য।

🔰 দিব্যেন্দু পালিত একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি বিহারের ভাগলপুর শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। সাহিত্যে এম.এ করেন। ১৯৫৫ থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি লিখছেন। বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্র ,দূরদর্শন ও বেতারে রূপায়িত হয়েছে অনেকগুলি কাহিনী।

🔰 অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (৬ অক্টোবর ১৯৩৩ — ১৭ নভেম্বর ২০২০) একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক। রচনার প্রাচুর্য এবং বৈচিত্র্যে,মনীষা এবং সংবেদনশীলতায় তিনি বাংলাসাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি ২০টিরও বেশি কবিতার বই লিখেছেন, বাংলা এবং সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন, এবং জার্মান ও ফরাসি সাহিত্য থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি বই প্রবন্ধের প্রকাশ করেছেন। তাঁর স্বতন্ত্র গদ্যশৈলীর জন্য তিনি সুপরিচিত।

🔰 আবুল বশার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

🔰 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিশ শতকের শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক। তার কবিতার বহু পঙ্‌ক্তি সাধারণ মানুষের মুখস্থ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় “”নীললোহিত””, “”সনাতন পাঠক””, “”নীল উপাধ্যায়”” ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।

🔰 অমিতাভ ঘোষ একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক এবং সাহিত্য সমালোচক । তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অবদানের জন্যই বেশি পরিচিত।

🔰 জয় গোস্বামী বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙ্গালী কবি। ভারতীয় পশ্চিম বাংলার এই কবি বাংলা ভাষার উত্তর-জীবনানন্দ পর্বের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসাবে পরিগণিত। তার কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। তিনি দুবার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছেন। বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার কবিতার একটি বিখ্যাত পংক্তি ‘‘অতল তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে / হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে’’’।

🔰 সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার। কবিতা তার প্রধান সাহিত্যক্ষেত্র হলেও ছড়া, রিপোর্টাজ, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য সকল প্রকার রচনাতেই তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ এবং বহু দেশি-বিদেশি কবিতা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। “প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য় এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা” বা “ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত” প্রভৃতি তার অমর পঙক্তি বাংলায় আজ প্রবাদতুল্য। পরিণত বয়সে গায়ে খদ্দরের পাঞ্জাবি, পরনে সাদা পায়জামা, মাথাভর্তি ঘন কোঁকড়ানো চুল, বুদ্ধিদীপ্ত ঝকঝকে চোখ, চোখে চশমা, বামে চশমার নিচে বড় একটা আঁচিল – কলকাতার প্রতিবেশে এরকম একটি প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

🔰 জয়া মিত্র বাংলা ভাষার এক জনপ্রিয় কবি ও গদ্যকার। সত্তরের দশকে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং রাজনৈতিক বন্দীদশাও কাটিয়েছেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, এই সমস্ত মাধ্যমেই তাঁর অনায়াস যাতায়াত। লেখালেখি করেন ছোটবড় একাধিক সংবাদমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায়।জল, প্রকৃতি, পরিবেশ, নারী ও শিশু বিষয়ে ওঁর কাজ উল্লেখযোগ্য। ‘হন্যমান’, ‘জলের নাম ভালোবাসা’, ‘রূপুলি বেতের ঝাঁপি’, ‘মাটি ও শিকড়বাকড়’ জয়া মিত্রর কিছু জনপ্রিয় ও সমাদৃত বই।

🔰 তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের একজন সাহিত্যিক ও চিকিৎসক। বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করে তসলিমা এই শতকের শেষের দিকে নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তিনি তার রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, নাস্তিক্যবাদ এবং ধর্মবিরোধী মতবাদ প্রচার করায় ইসলামপন্থীদের রোষানলে পড়েন ও তাদের নিকট হতে হত্যার হুমকি পেতে থাকায় ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন। তিনি কিছুকাল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছেন। এরপর তিনি ভারত সরকার কর্তৃক ভারতে অজ্ঞাতবাসে অবস্থানের সুযোগ পান। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে বসবাস করছেন।

🔰 বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন-পরবর্তী কালের প্রেক্ষাপটে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন “”বর্ধমান হাউজ””-এ এই একাডেমির সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। একাডেমির “”বর্ধমান হাউজে”” একটি “”ভাষা আন্দোলন জাদুঘর”” আছে।

🔰 অন্নদাশঙ্কর রায়, একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার এক কায়স্থ রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও।

🔰 শামসুর রাহমান বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। জীবদ্দশাতেই তিনি বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদালাভ করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগ, তথা পঞ্চাশের দশকে তিনি আধুনিক কবি হিসেবে বাংলা কবিতায় আবির্ভূত হন। এবং অল্প সময়ের ভেতরেই দুই বাংলায় কবি হিসেবে পরিচিতি পান। আধুনিক কবিতার অনন্য পৃষ্ঠপোষক বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় ‘রূপালি স্নান’ কবিতাটি প্রকাশিত হলে কবি হিসেবে শামসুর রাহমান সুধীজনের দৃষ্টিলাভ করেন । পরবর্তীতে উভয় বাংলাতেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব এবং জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি নাগরিক কবি, তবে নিসর্গ তাঁর কবিতায় খুব কম ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মজলুম আদিব ছদ্মনামে কলকাতার বিখ্যাত দেশ ও অন্যান্য পত্রিকায় কবিতা লিখতেন। শামসুর রাহমানের ডাক নাম বাচ্চু।

🔰 আনিসুজ্জামান ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

🔰 কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) রাঢ় বাংলায় জন্ম নেওয়া একজন বাঙালি কবি এবং পরবর্তী কালে বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য এবং তিনি ছিলেন বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

🔰 দেবারতি মিত্র – একালের একজন বিশিষ্ট কবি।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ অন্ধ স্কুলে ঘন্টা বাজে “” ( ১৯৭১ অথবা ৭৪ ) । তার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “ আমার পুতুল ( ১৯৭৪ ) , “ যুবকের স্নান “” ( ১৯৭৮ ) , “ ভুতেরা ও খুকি ( ১৯৮৮ ) , “ কবিতা সমগ্র ( ১৯৯৫ ) , টুর কমপিউটর ( ২০০০ ) , শ্রেষ্ঠ কবিতা ‘ ( ২০০০ ) , “ খোপা ভরে আছে তারার ধূলােয় ( ২০০৩ ) , জীবনের অন্যান্য ।
১৯১৫ সালে তিনি আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হন ।

🔰 আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে তার রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশী লেখক। তাকে সমাজবাস্তবতার অনন্যসাধারণ রূপকার বলা হয়েছে।

🔰 বাণী বসু একজন বর্তমান ভারতীয় বাঙালি লেখিকা – উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা লেখেন, অনুবাদও করেন। একাধিক সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিতা বাণী বসু আশির দশক থেকেই সাড়া জাগানো জনপ্রিয়তার অধিকারিণী। তিনি বিজয় কৃষ্ণ গার্লস কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা ছিলেন।

🔰 মন্দাক্রান্তা সেন একজন ভারতীয় কবি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন কিন্তু স্নাতক হবার আগেই সাহিত্যের প্রতি আরও মনযোগী হতে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই তিনি তার শিক্ষায় ইতি টানেন। কবিতার বই ছাড়াও তিনি তার মাতৃ ভাষায় প্রচুর ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, শ্রুতি নাটক প্রকাশ করেছেন। তিনি সর্বকনিষ্ঠ কবি যিনি ১৯৯৯ সালে ‘আনন্দ পুরস্কার‘ পান মাত্র ২৭ বছর বয়সে। ২০০৪ সালে তিনি ‘ভারতীয় সাহিত্য আকাদেমি ‘ থেকে ‘ সুবর্ণজয়ন্তী ইয়ং রাইটার্স পুরস্কার ‘ লাভ করেন। ২০০৬ সালের বসন্তে তিনি জার্মানির লিপজিগ বইমেলায় অসংখ্য কবিতা পাঠ করেন এবং সেই বছরেই অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও একই ভাবে কবিতা পাঠ করেন।

🔰 গৌরীপ্রসাদ ঘোষ : দীর্ঘকাল দিল্লির স্টিফেন্স কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মৌলানা আজাদ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। অধ্যাপক ঘোষ ইংরেজি থেকে বাংলায় এভরিম্যানস ডিকশনারির প্রধান সম্পাদক ছিলেন। রবীন্দ্র পুরস্কারের মতো একাধিক নামী শিরোপা তাঁর ঝুলিতে ছিল।

🔰 সুধীর চক্রবর্তী একজন বাঙালি অধ্যাপক, লেখক, গবেষক এবং লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ। বাংলার লোকগান, লোকভাষকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদুয়ারে।ঔপনিবেশিক গদ্যের ধাঁচাকে সুধীরবাবু সম্পূর্ণ রকম তাঁর নতুন আখ্যান রচনার ধারা দিযে পাল্টে দিয়েছিলেন। প্রবন্ধ মানেই যে একটা গুরু গম্ভীর ভাব দেওয়া বিষয় এই ভাবনাটি সুধীরবাবু নিজের লাবণ্যময় আর রসাল গদ্য ভাষা দিয়ে পাল্টে দিয়েছিলেন।

🔰 তিলোত্তমা মজুমদার একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, কবি, গীতিকার এবং প্রবন্ধকার। তিনি বাংলা ভাষাতে সাহিত্যচর্চা করেন।

🔰 বাংলা ভাষার আধুনিক যুগের কবিদের মধ্যে শ্রীজাত অন্যতম। সম্পূর্ণ নাম “”শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়””। জন্ম ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫। জন্মস্থান কলকাতা। শ্রীজাত আনন্দ পুরস্কারে (২০০৪) ভূষিত হয়েছেন তার উড়ন্ত সব জোকার কবিতার বইয়ের জন্য। তাকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বাঙালি নোবেল মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গন্য করা হয়। তিনি বর্তমানে ফেসবুকেও সক্রিয় আছেন। এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন এবং ফেসবুকেও তিনি প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

🔰 মিহির সেনগুপ্ত : Mihir Sengupta is an Indian writer of Bengali origin, best known for his 2005 autobiography Bishaad Brikkho (Tree of Sorrow). It describes the 1947 partition as seen by the author, who was uprooted from his native Barisal in present-day Bangladesh and ended up in Calcutta as a refugee.

🔰 উৎপলকুমার বসু বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলন-এর একজন খ্যাতনামা কবি । ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর কবি হিসাবে পরিচিত ছিলেন ।

🔰 ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী (সেপ্টেম্বর ১৯৩১ – মার্চ ১, ২০১৯) ভারতীয় লেখক ও হস্তী বিশারদ। ২০০৭ সালে হাতির বই লেখার জন্য আনন্দ পুরস্কার পান। তিনি কেমব্রিজের অভিজাত ক্লেয়ার হল কলেজের আজীবন সদস্য ছিলেন।[১] ২০১৯ সালের ১ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

🔰 হাসান আজিজুল হক (জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯) একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যক হিসেবে পরিগণিত। ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তার সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। রাঢ়বঙ্গ তার অনেক গল্পের পটভূমি। আগুনপাখি (২০০৬) হক রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।[১] তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ও ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। এই অসামান্য গদ্যশিল্পী তার সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে “সাহিত্যরত্ন” উপাধি লাভ করেন।

🔰 রণজিত গুহ (জন্মঃ ২৩ মে, ১৯২২) দক্ষিণ এশিয়ার একজন বাঙালি ভারতীয় ইতিহাসবিদ যিনি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন,[১] এবং প্রাচীন জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করা অনেক সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ভারত থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান, এবং সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে রিডার পদে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ভিয়েনা, অস্ট্রিয়াতে বসবাস করেন।
তার রচিত Elementary Aspects of Peasant Insurgency in Colonial India গ্রন্থটি ব্যাপকভাবে ধ্রুব হিসাবে বিবেচিত।[৩] বিখ্যাত নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, তিনি হলেন “”বিশ শতকের সবচেয়ে সৃজনশীল ভারতীয় ঐতিহাসিক””।

🔰 সুনন্দা শিকদার (জন্ম ১৯৫১) একজন ভারতীয় বাঙ্গালী লেখিকা। ১৯৪৭ এ ভারত ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) দিগপাইত গ্রামে ওনার জন্ম। ওনার জন্মের পর ১৯৫০এর দশকেই ওনার পরিবার কলকাতা চলে আসেন।
২০০৮ সালে ওনার স্মৃতিকথা ‘দয়াময়ীর কথা প্রকাশিত হয় ও প্রবল জনপ্রিয়তা লাভ করে। বইটি আনন্দ পুরস্কারে সন্মানিত হয় এবং পেঙ্গুয়িন ইন্ডিয়া থেকে এর ইংরেজি অনুবাদ A Life Long Ago (আ লাইফ লং এগো) প্রকাশিত হয়।

🔰 গৌতম ভদ্র : Gautam Bhadra is a historian of South Asia and was a member of the erstwhile Subaltern Studies collective. Bhadra was born in Kolkata in 1948. He obtained education at Presidency College (Bengali: প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা), Jadavpur University and Jawaharlal Nehru University (Bengali: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়).[1] He started teaching at the Department of History, University of Calcutta (Bengali: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) and continued there for more than 15 years. After that, he became the professor of history at Centre for Studies in Social Sciences, Calcutta (Bengali: সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেস) (1996-2010). He was the second Tagore National Fellow at the National Library in Kolkata.[2] Currently he is Honorary Professor at the Centre for Studies in Social Sciences (Jadunath Bhavan Museum and Resource Centre)

🔰 পিনাকী ঠাকুর (২১ এপ্রিল ১৯৫৯ – ৩ জানুয়ারি ২০১৯) একজন বাঙালি কবি ছিলেন।

🔰 রামকুমার মুখোপাধ্যায় : Ramkumar Mukhopadhyay (born 8 March 1956) is a Bengali writer from India. He has written novels and short stories for both adults and children.

🔰 অরিন্দম চক্রবর্তী ২০১৮ সালের স্টনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক । তিনি হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন, যেখানে তিনি ইপিওসিএইচ (পূর্ব চেতনা ও চেতনা ও মানবিকতা) প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে বি.এ এবং ১৯৭৮ সালে এম.এ., কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৮২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট অ্যান কলেজ থেকে। তিনি এর আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।”

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?
প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...
একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।
শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...
ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।
পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন
অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন
প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল
প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার
মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা
মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা
সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার
উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ
পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?
জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক
অনুসন্ধান পদ্ধতি
জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page