বক্তৃতা পদ্ধতি ( Lecture Method )

📑 ( ক ) বক্তৃতা পদ্ধতি ( Lecture Method ) :

📜 সরল ও নমনীয়তার কারণে এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত জনপ্রিয় । এখানে শিক্ষকের নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে বহু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি বিষয়ে শিক্ষকের শেখানাের সুযােগ থাকে । কোনাে কোর্স বা অধ্যায়কে তার প্রয়ােজনীয় পটভূমিসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সামনে সক্রিয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন । এ ব্যতীত শিক্ষক বহু তথ্য , পদসমূহের ব্যাখ্যা , ধারণা , নীতি , তত্ত্ব সরবরাহ করতে বা শিক্ষার্থীদের বুঝতে বিষয়কে অর্থবহ করে তুলতে এবং সমস্যাসমাধানে সাহায্য করেন ।

📑 বক্তৃতা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of Lecture Method ):

📜 বক্তৃতা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিম্নে আলােচনা করা হল ।

🧾 শিক্ষককেন্দ্রিক শিক্ষণ পদ্ধতি ।

🧾 এটি একমুখী । এখানে শিক্ষার্থী অধিকাংশ সময়েই নিষ্ক্রিয় থাকে ।

📚 বক্তৃতা পদ্ধতি উন্নত করা যায় :

🧾 বক্তৃতা পদ্ধতির বড়াে সমস্যা হল এটি একমুখী । সর্বদাই শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের মনােযােগকে ধরে রাখতে হয় । এই সমস্যা দূরীকরণে তাঁকে শিক্ষণ দক্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উদ্দীপনায় বৈচিত্র্য ( Stimulus Variation ) – এর সাহায্য নেওয়া প্রয়ােজন । উদ্দীপনায় বৈচিত্র্য আনয়নে আটটি নীতি বা কৌশলের কথা উল্লেখ করা হয় । এগুলি হল—

📑 ( ক ) গতি ( Movement ) : শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রয়ােজন মতাে চলাফেরা করবেন । স্থাণুর মতাে টেবিলে হাত দিয়ে চোখ নীচু করে পড়াবেন না । আবার সর্বদাই শ্রেণিকক্ষে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চলাফেরা করবেন না । যতটুকু প্রয়ােজন ততটুকু করবেন । এই চলাফেরা শুধু হাঁটা – চলা নয় , চোখের দৃষ্টিতেও চলাফেরার সংকেত থাকা প্রয়ােজন ।