গণিতে দুর্বলতা

গণিতে দুর্বলতা : অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশেষ করে বালিকারা গণিতে দুর্বল হয় । গণিতের দুর্বলতার অন্যতম কারণ হল মনস্তাত্ত্বিক । অল্প বয়স থেকেই গণিতের চর্চা করা আবশ্যক । গণিতে দুর্বলতা প্রতিকারের প্রধান উপায় হল এর প্রকৃত কারণ বা দুর্বলতা নির্ণায়ক অভীক্ষা থেকে যানা যায় । দুর্বলতার কারণগুলি নির্দিষ্ট হলে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা দূর করতে হবে ।

সমবয়সি বন্ধুদের প্রভাব : অনেক সময় পরীক্ষায় ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হল সমবয়সি বন্ধুদের প্রভাব । এ ব্যাপারে পিতা – মাতা , শিক্ষক , প্রতিবেশী , শুভানুধ্যায়ীদের সচেতন থাকতে হবে । বকা–ঝকা , মারধর না করে ধীরে ধীরে সহানুভূতির সঙ্গে তাকে বােঝাতে হবে । মনে রাখতে হবে বিদ্যালয়ে পঠন – পাঠনের সময় সমবয়সি বন্ধুদের প্রভাব অত্যন্ত বেশি ।

নিজের উপর আস্থা : শিক্ষার্থী নিজ সম্পর্কে সচেতন , নিজেকে চিনতে পারে এবং নিজের প্রতি আস্থাশীল হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে ।

যােগ্য শিক্ষকের অভাব : বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে আর্থিক কারণে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত অত্যন্ত বেশি । বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের অভাবে অন্যান্য শিক্ষক পাঠদান করে থাকেন । যা , অধিকাংশ সময়ে নিম্নমানের হয় । যােগ্য শিক্ষকের অভাবে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশন নিতে হয় । যা সকলের পক্ষে সম্ভব নয় । তাই বিদ্যালয়ে ব্যর্থতা ন্যূনতম মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যােগ্য শিক্ষক নিয়ােগ করা অত্যন্ত জরুরি ।

বিদ্যালয়ে যােগাযােগের অভাব : পিতা – মাতা সর্বদাই শিক্ষকের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করে চলবেন । তাদের জানতে হবে শিক্ষার্থীর শ্রেণি পারদর্শিতা কী রকম ? কীভাবে তার উন্নতি করা যায় ? এ ব্যাপারে পিতামাতাকেই সক্রিয় হতে হবে । কাজের চাপে শিক্ষক আর অভিভাবকদের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না ।