কোহেলার-এর শিম্পাঞ্জি নিয়ে পরীক্ষা

📜 ( 2 ) কোলােরের শিম্পাঞ্জি নিয়ে পরীক্ষা :

কোহেলার একটি শিম্পাঞ্জিকে ( নাম ছিল সুলতান ) খাঁচায় বন্ধ করে বাইরে কিছু কলা রাখা হয় । কলা দুটি এমন দূরত্বে রাখা ছিল যে খাঁচার মধ্য থেকে হাত বাড়ালে কলা দুটির নাগাল পাওয়া যায় না । খাঁচার মধ্যে দুটি বাঁশের টুকরাে রাখা হয় । পৃথকভাবে বাঁশের টুকরাের দ্বারা কলার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয় । কিন্তু একটি টুকরাের মধ্যে আর – একটি টুকরাে ঢােকালে যে লম্বা বাঁশের টুকরাে পাওয়া যাবে তা দিয়ে কলাগুলােকে সহজেই নাগালের মধ্যে পাওয়া যায় ।
প্রথমে শিম্পাঞ্জি বাইরে থেকে হাত বাড়িয়ে বাঁশের টুকরাে দুটোকে আলাদাভাবে নিয়ে এসে কলাকে নাগালের মধ্যে আনার চেষ্টা করল । যখন সে নাগাল পেল না , তখন সে বাঁশের টুকরাে দুটো নাড়াচাড়া করতে লাগল । হঠাৎই টুকরাে দুটিকে একসঙ্গে করে যে লম্বা বাঁশ পেল তা দিয়ে সহজেই সে কলাগুলিকে বার করে আনল । পরবর্তী একই পরীক্ষা করে দেখা গেল সুলতান আর বিশেষ কোনাে ভুলভ্রান্তি না করেই অতি সহজেই কলাগুলিকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল । কোহলার – এর মতে সমস্যাসমাধানের জন্য শিক্ষা পরিস্থিতির অংশগুলির মধ্যে হঠাৎ সমন্বয় সম্পর্কে উপলদ্ধি সৃষ্টি হয় । একেই বলে অন্তর্দৃষ্টি ( insight ) ।

🧾 গেস্টল্টবাদীদের মধ্যে সবসময় প্রাণীরা থর্নডাইকের মতবাদ অনুযায়ী ভুল প্রচেষ্টার মাধ্যমে শেখে না । সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ উপলদ্ধি হওয়ার পরে তারা সমস্যা সমাধান করতে পারে । তাঁদের মতে এই উপলদ্ধি হঠাৎই ঘটে থাকে ও সেটিকে আয়ত্ত করতে পারলে সহজে ভােলে না । সুতরাং গেস্টাল্টবাদীরা শিখন পরিস্থিতির সংগঠন ও তার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্কের উপলদ্ধির উপর অধিক জোর দিয়েছেন ।

🧾 গেস্টালতত্ত্বের মূল কথা হল আমরা সমগ্র ক্ষেত্রকে একটি ক্ষেত্র হিসেবে প্রত্যক্ষণ করি এবং প্রতিক্রিয়া করি । সামগ্রিক প্রত্যক্ষণের ফলেই পরিস্থিতির অর্থ পরিষ্কার হয় ।