শিখন অক্ষমতাযুক্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রকার

শিখন অক্ষমতাযুক্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রকার : শিখন অক্ষমতাযুক্ত শিক্ষার্থীদের তিন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত ,
( ক ) দিবা বিদ্যালয় ,
( খ ) বিশেষ শ্রেণিব্যবস্থা এবং
( গ ) সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা ।

( ক ) দিবা বিদ্যালয় : এই ধরনের বিদ্যালয়ে বিশেষ শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে সাধারণ পাঠক্রম অনুযায়ী শিখন অক্ষমতাযুক্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষালাভ করে ।
( খ ) বিশেষ শ্রেণিব্যবস্থা : এখানে শিখন অক্ষমতাযুক্ত শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের । সঙ্গে একই পাঠক্রম অনুযায়ী পড়াশােনা করে । তবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে তারা পূর্বনির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে গিয়ে তাদের শিখন অক্ষমতার প্রকৃতি অনুযায়ী বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ করে । এই সময়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি বা শিক্ষকেরা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র বা উপকরণের সাহায্যে এই ধরনের শিক্ষার্থীদের শিখন অক্ষমতাকে দূরীকরণে সচেষ্ট হন ।
( গ ) সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা : এই ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিখন অক্ষম শিক্ষার্থীদের একত্রে পঠন – পাঠনের ব্যবস্থা করা হয় । এই কারণে একে সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা বলা হয় । একই সঙ্গে শিখনের ফলে অনেক সময়ে শিখন অক্ষমতাযুক্ত শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে । এর জন্য তাদের পৃথকভাবে সংশােধনমূলক শিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় । সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয় , যেমন—

( ১ ) বিষয়বস্তু ও নির্দেশাবলি শিক্ষককে ব্ল্যাকবাের্ডে লিখতে হবে যাতে পঠনে দুর্বল শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী পড়তে পারে । ( ২ ) শিক্ষক ছােটো ছােটো বাক্যে , সহজ ভাষায় , উচ্চস্বরে পড়াবেন
( ৩ ) তিনি বিষয়গুলিকে চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করবেন ।
( ৪ ) তিনি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি বিভিন্ন রঙের চকের সাহায্যে বাের্ডে লিখবেন ।
( ৫ ) তিনি পাঠ্যবিষয়গুলিকে বারংবার এবং ধীরে ধীরে উপস্থাপিত করবেন ।
( ৬ ) তিনি শিক্ষার্থীদের সর্বদা উৎসাহ দেবেন এবং ফিডব্যাকের ব্যবস্থা করবেন ।
( ৭ ) সহযােগী শিক্ষণ কৌশল ( Co – operative teaching technique ) শিখনে অক্ষম শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশেষ উপযােগী । সব ক্ষেত্রে না হলেও অনেক বিষয়ে সহযােগী শিক্ষণ কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে।”