স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নারীশিক্ষার অগ্রগতি

📚 স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নারীশিক্ষার অগ্রগতি :

( 1 ) এয় সব রাজ্যেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে । কাথাও কোথাও যেমন পশ্চিমবঙ্গ , কেরালা , তামিলনাডু , অন্ত্র প্রভৃতি রাজ্যে দশম ।শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক ।

( 2 ) নতুন নতুন বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।

( 3 ) অনেক মহিলা কলেজ স্থাপিত হয়েছে । মহিলা শিক্ষক – শিক্ষণ কলেজও স্থাপিত হয়েছে।

( 4 ) প্রাথমিক স্তর থেকেই সহশিক্ষাব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে । সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানগুলিতে মেয়েদের সবরকম সুযােগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

( 5 ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য হােস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে ।

( 6 ) নারীসমাজের নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য বয়স্ক শিক্ষা ও প্রথাবহির্ভূত শিক্ষাব্যবস্থার উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে ।

( 7 ) বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েদের সুযােগ বৃদ্ধি করা হয়েছে ।

( ৪ ) শিক্ষকদের মতাে শিক্ষিকাদের চাকুরির ক্ষেত্রে সমসুবিধা ধার্য করা হয়েছে । বেতনহার এক করা হয়েছে ।

( 9 ) প্রাথমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের জন্য একই পাঠক্রম থাকলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে গার্হস্থ্যবিজ্ঞান , চারুকলা , নৃত্যগীত প্রভৃতি বহুমুখী পাঠক্রমের ব্যবস্থা করা হয়েছে । যাতে মেয়েদের শিক্ষা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগে ।

( 10 ) কলা বিভাগ ছাড়াও বিজ্ঞান , কারিগরি , প্রযুক্তি , বাণিজ্য ও শিক্ষার অন্যান্য বিভাগে ভরতিরি জন্য মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করা হয় , ফলে সমস্ত শাখায় মেয়েদের অংশগ্রহণ কুমশ বাড়ছে ।

( 11 ) পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের জন্যে State Council for Women Education প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এ ছাড়া রাজ্য সরকারের শিক্ষা বিভাগে মহিলা অফিসার , প্রধান পরিদর্শিকা , জেলা পরিদর্শিকা নিয়ােগ করা হয়েছে ।

( 12 ) মেয়েদের জন্য কুটিরশিল্প শিক্ষাদানের বিদ্যালয় , Trade school ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে ।

( 13 ) মেয়েদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে । ফলে মেয়েদের কর্মে নিযুক্তির সুযােগ বৃদ্ধি পেয়েছে । কর্মরত মহিলাদের আয়করে বিশেষ ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে ।

( 14 ) মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে ।

( 15 ) মেয়েদের শিক্ষাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”