মনােযােগের পরিবর্তনশীলতা

📜 ( 3 ) বিষয়বস্তু নির্বাচনে শিক্ষকের লক্ষ রাখতে হবে এটা যেন শিক্ষার্থীর মনােযােগের পরিসর অতিক্রম না করে । শব্দ , বাক্য যাতে শিক্ষার্থীদের গড় মনােযােগের পরিসরের মধ্যে থাকে সেদিকে পুস্তক রচয়িতাগণ বিশেষ নজর দেবেন । প্রয়ােজন হলে বৃহৎ বাক্যকে ছােটো ছােটো সরল বাক্যে রূপান্তরিত করতে হবে ।

📜 ( 4 ) মনোেযােগর নির্ধারকগুলিকে প্রয়ােজনমতাে প্রয়ােগ করতে হবে । তীব্রতা , স্পষ্টতা , নতুনত্ব , পুনরাবৃত্তি প্রভৃতি মনােযােগের বস্তুগত নির্ধারকগুলিকে শিখনীয় বিষয়গুলির বিন্যাসে গুরুত্ব দিতে হবে । পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণগুলি যাতে উপযুক্ত পরিমাণে বড়াে হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে । শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে বৈচিত্র্য এনে , বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের সাহায্যে শ্রেণিকক্ষ শিক্ষণকে আরও আকর্ষণীয় করে তােলা প্রয়ােজন । পাঠ্য বিষয়বস্তুকে ইতিমধ্যে অর্জিত অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের নিকট উপস্থাপন করলে মনােযােগ আকর্ষণ আরও সহজ হবে ।

📜 ( 5 ) মনােযােগের পরিবর্তনশীলতা এবং চঞ্চলতা সম্পর্কে শিক্ষককে সচেতন হতে হবে । মনোেযােগর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কিছুক্ষণ অন্তর এটা বিষয়ান্তরে গমন করে । আবার মনােযােগ দেওয়া সত্ত্বেও কিছু সময় অন্তর মনােযােগ অন্তর্হিত হয় । এই বৈশিষ্ট্য দুটি অর্থাৎ মনােযােগের পরিবর্তনশীলতা ও চঞ্চলতার প্রকৃতি ব্যক্তিভেদে এবং বয়সভেদে পরিবর্তিত হয় । শিক্ষক এ ব্যাপারে অবহিত হবেন । নিরবচ্ছিন্নভাবে কোনাে কিছু অধিক সময়ব্যাপী আলােচনা না করে মাঝে মাঝে তিনি বিষয়ান্তরে চলে যাবেন ।

📜 ( 6 ) ব্যক্তিভেদে মনােযােগ ধরে রাখার ক্ষমতার পার্থক্য দেখা যায় । কেউ অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময়ের জন্য মনােযােগ ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে , আবার কারও মনােযােগ ধরে রাখার ক্ষমতা অল্প । শেষােক্ত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অনেক সময় শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন না করে কল্পনার আশ্রয় নেয় । যার ফলে তাদের বিস্মৃতি শীঘ্ন ঘটে । শিক্ষকগণ এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেবেন ।

📑 পরিশেষে বলা যায় যে , মনােযােগ আকর্ষণ শিক্ষা – শিখন প্রক্রিয়ায় প্রথম ও প্রধান শর্ত । তাই শিক্ষার্থীদের মনােযােগ আকর্ষণের জন্য লিখিত ও অলিখিত সব ধরনের চেষ্টা করতে হবে যাতে শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর প্রতি সুস্থ এবং স্বাভাবিক মনােযােগ সৃষ্টি হয় ।