মনােযােগর পরিসরের শিক্ষাগত তাৎপর্য

📚 মনােযােগর পরিসরের শিক্ষাগত তাৎপর্য :

( 1 ) অর্থপূর্ণ বিষয়ের প্রতি মনােযােগ আকর্ষণ সহজতর হয় । সেজন্য শিক্ষক বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীদের অর্থবহ করে উপস্থাপন করবেন ।

( 2 ) পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি শব্দ যাতে শিক্ষার্থীদের মনােযােগের পরিসর অতিক্রম না করে সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে ।

( 3 ) শিশু যখন পড়তে শেখে , তখন সে প্রতিটি বর্ণ প্রথম পড়ে তারপর উচ্চারণ করে কারণ । শৈশবে মনােযােগের পরিসর কম থাকে । তাই শিক্ষক পঠন শেখানাের সময় প্রথমে তিনি দুটি বর্ণের শব্দ পড়াবেন । পরে তিনটি ক্রমশ অধিক বর্ণ যুক্ত কঠিন শব্দ । একইভাবে গণিত শেখানাের সময় প্রথমে একটি সংখ্যা নিয়ে গাণিতিক প্রক্রিয়া পরে দুটি সংখ্যার গাণিতিক প্রক্রিয়া । বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অধিক সংখ্যা নিয়ে কাজ করা যায় ।

📚 মনোযোগের নির্ধারক ( Determinants of Attention ) :

📜 একথা পূর্বেই আলােচনা করা হয়েছে যে , মনােযােগ একটি নির্বাচনধর্মী প্রক্রিয়া । প্রশ্ন হল কীসের দ্বারা মনােযােগ নির্ধারিত হয় । সাধারণত মনােযােগের দু – ধরনের নির্ধারক দেখা যায়— বস্তুগত নির্ধারক ও ব্যক্তিগত নির্ধারক ।