( 1 ) ব্যক্তিগত সম্ভাবনাগুলি সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ : ব্যক্তির ক্ষমতা , আগ্রহ , প্রবণতা ইত্যাদি সম্পর্কে নির্ভুল তথ্যসংগ্রহ করা । এর জন্য নিয়মিতভাবে বুদ্ধির অভীক্ষা , সর্বাত্মক পরিচয় পত্র , আগ্রহ , ইনভেন্টরি , প্রবণতা অভীক্ষা ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে ।
🧾( 2 ) ক্ষমতা অনুযায়ী দল গঠন করা । সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সম মানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দল গঠন করতে হবে । শ্রেণিকক্ষে পাঠক্রমিক কাজ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের যেসব কাজ করতে হয় সেইগুলিকেও সেই কাজ সম্পন্ন করার ক্ষমতানুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিভক্ত করলে ভালাে হয় । ব্যাপারটি জটিল সন্দেহ নেই , তবে ব্যক্তিগত পার্থক্যকে গুরুত্ব দিতে হলে এইভাবেই অগ্রসর হতে হবে ।
🧾( 3 ) পাঠক্রমের সঙ্গে সংগতিবিধান : শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্যের চাহিদাকে পূরণ করার জন্য পাঠক্রম হবে নমনীয় এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ । একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের কোর্স ( পুথিগত পাঠক্রম ) থাকবে , অন্যদিকে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মধ্যে থাকবে বৈচিত্র্য । শিক্ষার্থীদের মেধা ও আগ্রহ অনুযায়ী কোর্স নির্দিষ্ট করা হবে এবং তাদের সহ – পাঠক্রমিক কাজে আগ্রহ ও দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দ করার সুযােগ করে দেওয়া হবে ।
🧾( 4 ) শিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার : শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পার্থক্য অনুযায়ী শিক্ষণ পদ্ধতি , শিক্ষোপকরণ ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে শিক্ষাদান করলে শিখনে উৎকর্ষ আসে । এ ব্যাপারে বহু গবেষণা হয়েছে । প্রায় সব শিক্ষাগবেষকই এই মত সমর্থন করেন ।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখযােগ্য শিক্ষার্থীরা কী উপায়ে শিক্ষা গ্রহণ করবে ( যেমন— প্রথাগত বা দূরশিক্ষা ) তার প্রেক্ষিতেও শিক্ষণ পদ্ধতি নির্ধারিত হয় ।
🧾( 5 ) ব্যক্তিগত শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্বদান : ব্যক্তিগত পার্থক্যের চাহিদা মেটানাের জন্য শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন । যেমন — ডালটন পরিকল্পনা , উইনেটকা পরিকল্পনা , প্রােজেক্ট পদ্ধতি বা প্রােগ্রাম শিখন পদ্ধতি ইত্যাদি ।
“