বিস্মৃতি

📔 বিস্মৃতি ( Forgetting ) :

🧾 স্মৃতির অভাবই বিস্মৃতি । অধীত বিষয় যখন প্রয়ােজনের সময় চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা মনে করতে পারি না , আমরা বলি ভুলে গেছি । ভুলে যাওয়া নানা রকমের হতে পারে । শিশু বয়সের অনেক অভিজ্ঞতা আমরা মনে করতে পারি না । পরীক্ষার সময় কোনাে প্রশ্নের উত্তর জানা সত্ত্বেও মনে করতে পারি না । আবার কিছুক্ষণ পরেই হয়তাে মনে পড়ে যায় । এ সবই হল বিস্মৃতি । স্মৃতির যে 4 টি পর্যায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার ভিত্তিতেও বিস্মৃতিকে ব্যাখ্যা করা যায় । স্মৃতির দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ সংরক্ষণের অভাবে আমরা ভুলে যাই । আবার সংরক্ষণ সত্ত্বেও যদি সময়মতাে পুনরুদ্রেক বা প্রত্যভিজ্ঞার অভাব ঘটে তাকেও বিস্মৃতি বলা হয় ।

📑 বিস্মৃতির কারণ ( Causes of Forgetting ) : বিস্মৃতির একাধিক কারণ আছে যার মধ্যে পরীক্ষিত কয়েকটি কারণের উল্লেখ করা হল—

📖 ( 1 ) অন্তরায় ( Interference ) :

🧾 স্মৃতির পথে বাধাকেই অন্তরায় বলা হয় । কোনাে কিছু মুখস্থ করার পর যদি অন্য কিছু মুখস্থ করার চেষ্টা করা হয় তাহলে প্রথমােক্ত বিষয়টির অংশবিশেষ ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় । একে পশ্চাৎমুখী প্রতিরােধ বলা হয় ( Retroactive inhibition ) । এর বিপরীত ঘটনায় দেখা যায় — প্রথম শিখনটি এত দৃঢ়ভাবে সংরক্ষিত হয় যে , দ্বিতীয় শিখন সংরক্ষণ সম্ভব হয় না । একে বলা হয় সম্মুখবর্তী অন্তরায় ( Pro – active Interference )।

📖 মুলার এবং পিলজেকার ( Mulker and Pilzeeker ) পরীক্ষা করে দেখান — যদি দুটি শিখনের মধ্যবর্তী সময় কিছু না করে , চুপচাপ অতিবাহিত করা হয় তাহলে পুনরুদ্রেকের পরিমাণ হয় 56 % , আর যদি মধ্যবর্তী সময় কিছু কাজ করা হয় সেক্ষেত্রে পুনরুদ্রেকের পরিমাণ হয় 26 % ।