বিশ্ব উষ্ণায়নে গ্রীন হাউজ গ্যাসের ভূমিকা আলোচনা করো।
➡️ বর্তমানে বিশ্বে আবহাওয়ার যে অস্বাভাবিকতা এসেছে তার জন্য আবহবিদেরা একমাত্র দায়ী করেছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং কে বর্তমানে বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস গুলি কার্বন ডাই অক্সাইড মিথেন নাইট্রাস অক্সাইড ক্লোরোফ্লোরো কার্বন জলীয়বাষ্প প্রভৃতির মাত্রাতিরিক্ত ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে চাঁদের মতো একটি গ্যাসীয় আবরণ সৃষ্টি হয়েছে যা গ্রিনহাউস গ্যাসের মত আচরণ করে এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা অনেক সময় বেশি হয়ে যাচ্ছে এরকম পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে গ্রীন হাউজ প্রভাব বলে গ্রীন হাউজ গ্যাস গুলির ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার ফলে সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গ রাশি খুব সহজে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে কিন্তু পার্থিব বিকিরণ রূপে দীর্ঘ তরঙ্গের এই সৌর কিরণ পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারিনা গ্রীন হাউজ গ্যাস দ্বারা শোষিত ও আবদ্ধ হয়ে পুনরায় বিকিরণ এর মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে ও নিম্ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কে বাড়িয়ে দেয় ফলস্বরূপ সমগ্র পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি হতে থাকে যাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে বিশ্ব উষ্ণায়ন হল গ্রীন হাউজ প্রভাবের ফল।
বিশ্ব উষ্ণায়নে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাব :
¡} বিশ্ব উষ্ণায়ন ত্বরান্বিত কারী প্রধান গ্যাস হল কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডলে এর পরিমাণ মাত্র0.033% কিন্তু নানা কারণে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
¡¡} পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে অপর একটি গ্যাস হল মিথেন। গৃহপালিত পশু ও কীটের অন্ত্রের কোহল সন্ধান, পচা জৈব আবর্জনা বৃদ্ধি গ্যাস ও কয়লা খনি অঞ্চলে দহন প্রভৃতি কারণে প্রতিবছর মিথেনের বৃদ্ধির হার বেড়ে চলেছে।
¡¡¡} বিশ্ব উষ্ণায়নে ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার তৈরি, কম্পিউটার চিপ পরিষ্কার, ফোম ও প্লাস্টিক তৈরি প্রভৃতি নানা কারণে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর পরিমাণ বেড়ে চলেছে। তাপ শোষণ ছাড়াও এই গ্যাস ওজোন স্তরের ক্ষয় ঘটিয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছে দেয় এবং পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধিতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।