বিদ্যালয়ের ভূমিকা

📚 বিভিন্ন প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করার পর দেখা যায় , কিছু শিশু অপরাধপ্রবণ আচরণ করে । তাদের এই অপরাধপ্রবণতার প্রতিকার করার জন্য মনােবিদের সাহায্য নিতে হয় । মনােবিদ নিম্নলিখিত ছুটি পদ্ধতিতে কাজ করে থাকেন ।

( i ) নির্দিষ্ট শিশুর জীবনের বিভিন্ন সমস্যাসমাধান করার মাধ্যমে ।

( ii ) আলােচনার মাধ্যমে অপরাধপ্রবণ শিশুর মনের গভীরে প্রােথিত সমস্যার স্বরূপ উদঘাটনের মাধ্যমে ।

( iii ) অপরাধপ্রবণতার খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে সচেতন করার মাধ্যমে ।

( iv ) শিক্ষার্থীর মনের অধিসত্তাকে ( Super – ego ) শক্তিশালী করার মাধ্যমে ।

( v ) গৃহ – পরিবেশ সুস্থ – স্বাভাবিক করার জন্য পিতা – মাতার উপদেশদানের মাধ্যমে ।

( vi ) Skinner- এর reinforcement পদ্ধতির সাহায্যে উক্ত শিশুদের আচরণ পরিমার্জনের মাধ্যমে ।

📚 এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়েরও কিছু ভূমিকা অনস্বীকার্য –

( i ) বিদ্যালয়ের পাঠক্রম শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে রচনা করা উচিত ।

( ii ) পাঠক্রম শিক্ষার্থীদের জীবনকেন্দ্রিক হওয়া উচিত ।

( iii ) শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে আর্থিক স্বাবলম্বী করে গড়ে তােলার জন্য পাঠক্রম উৎপাদনমুখী করে রচনা করা উচিত ।

( iv ) ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা পাঠক্রমের একটি উল্লেখযােগ্য দিক হওয়া উচিত ।

( v ) খেলাধুলা ও সহপাঠক্রমিক ব্যবস্থা প্রতিটি বিদ্যালয়ে রাখা উচিত ।

( vi ) বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক সম্পর্ক , পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহমর্মিতার উপর ভিত্তি করে রচনা করা উচিত ।

( vii ) বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ যথাসম্ভব আনন্দঘন করা উচিত ।

( viii ) শ্রেণিকক্ষে কোনাে ছাত্রের আচরণগত সমস্যা দেখা দিলে তা সহানুভূতির সঙ্গে প্রতিকার করার চেষ্টা করা উচিত ।

( ix ) ছাত্র , শিক্ষক , কর্তৃপক্ষ সকলেরই বিদ্যালয়ের নিয়ম – শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত ।

📑 পরিশেষে বলা যায় , প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্দেশনা পরিসেবা পরিচালনার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ নির্দেশক থাকা উচিত ।