“■ বলা , পড়া ও লেখার ক্ষেত্রে যতিচিহ্নের যথাযথ ব্যবহার রীতি :
● বলার ক্ষেত্রে :
বলার ক্ষেত্রে আমরা যতিচিহ্ন ব্যবহার করি একেবারে অজ্ঞাতেই । সাধারণভাবে আমাদের কথাবার্তা বলার সময় দাঁড়ি , জিজ্ঞাসা চিহ্ন ও বিস্ময়সুচক চিহ্নের ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনাে যতিচিহ্নের ব্যবহার প্রায়ই অনুসৃত হয় না ।
● পড়ার ক্ষেত্রে :
কিন্তু পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে এই ব্যবহার যথেষ্ট জরুরি । পদ্য পাঠ , গদ্য পাঠের সময় আমাদের এটা জানতেই হয় । শুধু তাই নয় , পয়ারের ক্ষেত্রে , ছড়ার ক্ষেত্রে , কবিতার ক্ষেত্রে , অমিত্রাক্ষর ছন্দ পঠনের ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট ছন্দ যতি না মানলে ভাবের গােলমাল দেখা যায় । যতিচিহ্ন মেনে না পড়লে কী অসুবিধা হয় , কীভাবে অর্থান্তর ঘটে যায় শিক্ষক মহাশয় তা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেবেন । গদ্য পাঠের ক্ষেত্রে , গল্প পাঠের ক্ষেত্রেও যতি মেনে পাঠ করতে হবে । আর যতির নিয়ম মেনে না পড়লে পঠনপাঠনও শ্রুতিমধুর হবে না ।
● লেখার ক্ষেত্রে :
লেখার ক্ষেত্রে যতিচিহ্নের ব্যবহার একেবারে জরুরি । শিক্ষার্থীদের বিরামচিহ্ন ব্যবহারের দক্ষতা দিয়ে তাদের ভাষাজ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায় । শুধু তাই নয় , তারা কতটা বিষয়বস্তু সম্পর্কে অধিগত হয়েছে তাও জানা যায় । ভালােভাবে লিখতে পারা , একটা বিশেষ দক্ষতার ব্যাপার । শিক্ষকের উচিত যত্ন সহকারে বিরামচিহ্ন ব্যবহারের রীতিনীতিগুলি ছাত্রদের রপ্ত করিয়ে দেওয়া ।
● ছাত্রদের যতিচিহ্ন বা বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের নিয়মগুলি শেখাবার সময় শিক্ষককে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে—
১। প্রতিটি যতিচিহ্ন আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হবে ।
২। প্রতিটি যতিচিহ্নের ব্যবহার উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে ।
৩। শেখাবার জন্য শিক্ষককে একটি নির্বাচিত অংশ ব্ল্যাকবাের্ডে লিখে দিতে হবে ।
৪। নির্বাচিত গদ্যাংশে কোন্ কোন্ যতিচিহ্ন বসেছে ও কেন বসেছে তার কারণ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে হবে ।
৫। নির্বাচিত অংশটি এমন হবে যাতে অধিকাংশ যতিচিহ্ন প্রয়ােগ করে দেখানাে যায় ।
৬। ছাত্রদের সেই বাের্ডে লিখে দেওয়া গদ্যাংশটি পড়তে বলবেন ।
৭। পড়া শেষ হলে শিক্ষক যতিচিহ্নগুলি মুছে দেবেন ও ছাত্রদের সেগুলি আবার বসাতে বলবেন ।
৮। বিরাম চিহ্ন ব্যবহার অনুশীলনের জন্য শিক্ষক মাঝে মাঝে শ্রুতিলিখনের ব্যবস্থা করবেন ।