“■ অনুলিখন vs শ্রুতিলিখন :
● একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুলিখন অভ্যাস করানাে দরকার । কিছুটা বিষয়বস্তু তার সামনে দিয়ে সেইটিই ঠিকমতাে লেখার অভ্যাস করালে সঠিক লেখার অভ্যাস গড়ে ওঠে । যেরকমভাবে বইতে আছে সেরকমভাবে শিক্ষার্থীদের অভ্যাস করতে দিলে ভালাে হয় । শিক্ষার্থীরা ঠিক মন দিয়ে লিখছে কি না সেটিও শুতিলিখনের সাহায্যে জানা যায় ।
● অনুলিখন – এর সঙ্গে শ্রুতিলিখন – এর বিশেষ পার্থক্য আছে । অনুলিখন – দেখে লেখা আর
শ্রুতিলিখন – শুনে শুনে লেখা ।
● দুটোতেই লেখার অভ্যাস তৈরি হয় । শ্রুতিলিখন তৃতীয় শ্রেণির আগে শুরু করা যায় না । তবে আমাদের একটা ধারণা আছে যে শ্রুতিলিখন – এর দ্বারা বানান শেখানাে যায় ।
● কিন্তু আধুনিক পরীক্ষানিরীক্ষায় জানা গেছে শ্রুতিলিখন কোনােভাবেই বানান শিখনে সাহায্য করে না । তাই Tomkinson বলেছেন , “ Dictation does not and can not teach and never has taught spelling . “” অর্থাৎ, শ্রুতিলিখন বানান শেখায় না , শেখাতে পারে না ও কখনও শেখায়নি । যেহেতু বাংলা বানান একেবারেই স্মৃতিনির্ভর তাই দৃষ্টি ও হাতের পেশির সঞ্চালনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল । আর শ্রুতিলিখনের বেলায় শুধু বা শােনা যুক্ত হয় ।
● তবে কি শ্রুতিলিখনের উপযােগিতা নেই ? নিশ্চয় আছে । যেমন —
১। শ্রুতিলিখন ছাত্রদের হাতের লেখার গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২। শ্রুতিলিখন শিক্ষার্থীদের লিখনের উন্নতি ঘটাতে চেষ্টা করে ।
৩। উপযুক্ত সময়ের মধ্যে শব্দটি লেখার নৈপুণ্য বাড়ে ।
৪। মনােযােগী হতে সাহায্য করে ।
৫। শব্দ ও বর্ণসমূহের সঠিক ছাঁচ ( Pattern ) মনে রাখতে সাহায্য করে ।