ফলভােগের সূত্র ( Law of Effect )

📑 ( ii ) ফলভােগের সূত্র ( Law of Effect ) :

📖 উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সংযােগের ফল যদি শিক্ষার্থীর কাছে সন্তোষজনক বা তৃপ্তিদায়ক হয় তবে সংযােগটি শক্তিশালী হয় অর্থাৎ S – R বন্ধন দৃঢ় হয় । অপরপক্ষে সংযােগের ফল যদি বিরক্তিকর হয় তবে সংযােগটি শিথিল হয়ে পড়ে অর্থাৎ ( S – R ) বন্ধন দুর্বল হয় । সূত্রটি হল—

📜 ” When a modifiable connection between a situation and response is made and is accompanied or followed by a satisfying state of affairs that connection strength is increased , when followed by annoying state of affairs its strength is decreased ” .

📜 শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব : কোনাে বিষয়ে শিখন যদি শিক্ষার্থীকে আনন্দ ও তৃপ্তি দেয় তবে ওই বিষয় শিখতে শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক প্রেরণা দেখা যায় । আবার বিরক্তিকর শিখন প্রেরণা সৃষ্টিতে বাধা দান করে এবং ওই বিষয়ে শিখনও দুর্বল হয় ।

🧾 এই সূত্রের উপর ভিত্তি করে শিক্ষকের কর্তব্য হলো—

( 1 ) শিক্ষণীয় বিষয়কে এমনভাবে উপস্থাপন করা দরকার যাতে বিষয় ও শিখনের ফল দুই–ই শিক্ষার্থীর কাছে তৃপ্তিদায়ক হয় ।

( 2 ) পাঠ্যবিষয়টি যেন শিক্ষার্থীর মানসিক ও দৈহিক ক্ষমতার আয়ত্তের মধ্যে থাকে সে দিকে নজর করা ।

( 3 ) শিক্ষাপদ্ধতি যেন যান্ত্রিক না হয় ।

( 4 ) পাঠক্রমকে সহজ থেকে কঠিন ক্রম অনুসারে বিন্যস্ত করা ।

( 5 ) দীর্ঘ পাঠকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে নিয়ে উপস্থাপিত করা ।

( 6 ) শিক্ষণীয় বিষয়ের মধ্যে বৈচিত্র্য আনা ।

( 7 ) মাঝে মাঝে প্রশংসা করে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা ।

( 8 ) শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে পুরস্কৃত করা ইত্যাদি ।

( 9 ) শিক্ষার্থীদের ফিডব্যাক ’ দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা ।

📜 শিক্ষক যদি উপরিউক্ত প্রক্রিয়ার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেন তবে তাদের কাছে শিখন তৃপ্তিদায়ক ও আনন্দদায়ক হবে এবং এর ফলে শিখন স্থায়ী হবে ।