পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা

📚 পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা :

📜 উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলির প্রতি লক্ষ রেখে মনস্তাত্ত্বিক অভীক্ষা , বিদালয়ের রেকর্ড , দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ ইত্যাদির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শিশুদের খুঁজে বার করতে হবে । পরবর্তী কাজ হল , তাদের জন্য প্রয়ােজনীয় শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করা । পাশ্চাত্য দেশগুলিতে বিশেষ করে আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে পিছিয়ে পড়া শিশুদের বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থার ওপর বহু গবেষণা হয়েছে । তারা যেসব সুপারিশ করেছেন এবং ওইসব দেশে যে সকল বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু আলােচনা করব ।

📜 প্রতিভাবানদের মতাে পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকে বিভাগীকরণের কথা বলেন । এর অর্থ হল , শিক্ষার্থীদের মেধা অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে পৃথক করে তাদের শিক্ষা দেওয়া । এই পদ্ধতির সমর্থকেরা বলেন যে বিভিন্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের একই সঙ্গে শিক্ষা দিলে কেউই বিশেষ উপকৃত হয় না । বিভিন্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের একই সঙ্গে পড়ালে কোনাে শিক্ষকের পক্ষেই সবার উপরে সুবিচার করা সম্ভব হয় না ।

শিক্ষককে কোনাে একটি বিশেষ মেধাসম্পন্ন ( হয় অত্যধিক মেধাসম্পন্ন , না হয় সাধারণ মেধাসম্পন্ন , না হয় অল্প মেধাসম্পন্ন ) শিক্ষার্থীদের প্রতি দৃষ্টি রেখে পড়াতে হয় । ফলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়ে । মেধা অনুয়ায়ী পৃথক করে যদি পড়ানাে যায় তাহলে ওই অসুবিধায় পড়তে হয় না । কিন্তু অনেকে এই পদ্ধত্রি বিরূপ সমালােচনা করে বলেছেন যে পৃথকীকরণের ফলে তাদের দুরকমের অসুবিধা দেখা যায় ।

প্রথমত , এতে পিছিয়ে পড়া শিশুদের মধ্যে হীনমন্যতা । দেখা দেয় যার ফলে তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ব্যহত হয় । দ্বিতীয়ত , ভবিষ্যৎ জীবনে পিছিয়ে পড়া শিশুদেরও সমাজে মিশতে হবে । কিন্তু পৃথকীকরণের ফলে সাধারণদের মধ্যে মেলামেশার সুযােগ তারা পায় না । ফলে সকলের সঙ্গে এবং সংগতিবিধানের ক্ষমতা তাদের মধ্যে বিকশিত হয় না ।