ধ্বনি ও বর্ণের সংজ্ঞা ও পার্থক্য

🛑 ধ্বনি ও বর্ণের সংজ্ঞা ও পার্থক্য :

উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু কণ্ঠনালি থেকে ওষ্ঠের মধ্যে কোনাে না কোনাে জায়গায় বাধা পেলে ধ্বনির সৃষ্টি হয় । এরকম এক বা একের বেশি ধ্বনির মিলিত অর্থপূর্ণ রূপ হল শব্দ । যেমন — আ + ম্ + অ — এক – একটি ধ্বনি । এগুলি জুড়ে ফেললে ‘ আম ’ শব্দ গঠিত হয় । শব্দসমষ্টি ভাবপ্রকাশের উপযােগী হলে বাক্য হয় । বাক্য সাজিয়ে আমরা ভাষারূপ গড়ে তুলি । এ থেকে আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারি , ধ্বনি ভাষার প্রাথমিক উপাদান । সেজন্য এ কথাও বলতে পারি , বাগ্যন্ত্রের সামান্যতম চেষ্টায় শব্দের ভাঙা টুকরাে টুকরাে অংশ হল ধ্বনি । আগেই আমরা দেখেছি ‘ আম ’ শব্দের আ , ম্ , অ এক – একটি ধ্বনি ।

একটা কথা পরিষ্কার যে , ধ্বনি কানে শােনা যায় , চোখে দেখা যায় না । আর বর্ণ হল ধ্বনির লিপিচিহ্ন । অথচ অনেক সময় অনেকে ধ্বনি ও বর্ণ এক বলে গুলিয়ে ফেলেন । এ ব্যাপারটা একেবারে ভুল । ভুল তাে বটেই । ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য জানলে এই ভুল কখনােই হবে না । পার্থক্য দেখে নেওয়া যাক —

🛑 ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য :

👉 বাগ্যন্ত্রের সামান্যতম চেষ্টায় উচ্চারিত আওয়াজ হল ধ্বনি ( Sound ) । যেমন ‘ অ ’ উচ্চারণ করলাম , হল ধ্বনি । ধ্বনি কানে শােনা যায় , চোখে দেখা যায় না ।

👉 ধ্বনির সংকেত চিহ্ন বা প্রতীকী লেখ্যরূপ হল বর্ণ ( Letter ) । যেমন— উচ্চারিত ‘ অ ’ ধ্বনিকে বিশেষ সংকেত চিহ্নে লিখলাম , হল বর্ণ । বর্ণ হল ধ্বনির লিপিরূপ , কাজেই চোখে দেখা যায় ।

🛑 ধ্বনি দু’রকম স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।