( 3 ) থর্নডাইকের বহু উপাদান তত্ত্ব ( Thorndike’s Multiple Factor Theory ) : থর্নডাইক বুদ্ধির তত্ত্ব হিসাবে বহু – উপাদান তত্ত্বের উল্লেখ করেন ।
🤔 তিনি বলেন , নির্দিষ্ট উদ্দীপরে নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া আছে ।
🔷 এই রকম অসংখ্য উদ্দীপকের সঙ্গে অসংখ্য প্রতিক্রিয়া বন্ধনের নামই হল বুদ্ধি । ব্যক্তিভেদে বুদ্ধির তারতম্যের কারণ হল স্নায়ুতন্ত্রের বন্ধনের সংখ্যার কম বেশি । এই তত্ত্বানুযায়ী সাধারণ বুদ্ধি বলে কিছু নেই । থর্ডাইকের তত্ত্বকে বুদ্ধির পারমাণবিক তত্ত্বও বলা যায় ( Atomictic Theory of Intelligence ) ।
⭐️ তিনি বুদ্ধির চারটি গুণের কথা ব্যক্ত করেছেন ।
( i ) স্তর ( Level ) ঃ স্তর হল সমাধানযােগ্য কাজের জটিলতার মাত্রা । যদি একাধিক কাজগুলিকে কঠিনতার মাত্রা অনুযায়ী কোনাে স্কেলে বিন্যাস করা যায় তাহলে ব্যক্তি যে পরিমাণ কঠিন কাজ করতে সক্ষম তাই হল তার বুদ্ধির স্তর মাত্রা । এই ‘ স্তর মাত্রা ’ বুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।
( ii ) বিস্তৃতি ( Range ) : একই কাঠিন্য মাত্রার যত অধিক সংখ্যক বিভিন্ন প্রকারের সমস্যাসমাধান করা যায় তাই হল বুদ্ধির ব্যাপ্তি ধর্ম । তাত্ত্বিকভাবে ব্যক্তি বুদ্ধির যে স্তরে অবস্থান করেছে সেই স্তরের সমস্ত সমস্যাই তার সমাধান করা উচিত । বুদ্ধির এই ব্যাপ্তিধর্মের বিকাশের জন্য অভিজ্ঞতার ব্যাপকতা এবং শিখনের প্রয়ােজন ।
( iii ) ক্ষেত্র ( Area ) : নির্দিষ্ট স্তরে ব্যক্তির বিভিন্ন পরিস্থিতির সমস্যার সমন্বয়কে ক্ষেত্র বলে । বুদ্ধির প্রতিটি স্তরে ব্যক্তি যত সংখ্যক পরিস্থিতির প্রতি সফল প্রতিক্রিয়া করতে সক্ষম তাকে তার বুদ্ধির ক্ষেত্র বলে ।
( iv ) গতি ( Speed ) : সমস্যার সমাধানের দ্রুততাই বুদ্ধির গতি ধর্ম ।
💠 প্রতিটি বুদ্ধির অভীক্ষায় উক্ত 4 টি ধর্ম
আছে । যখন আমরা কোনাে ব্যক্তির বুদ্ধি পরিমাপ তে চাই তখন তাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে দেওয়া হয় ( ক্ষেত্র ) । এই কাজগুলির কঠিনতার মান ভিন্ন ( স্তর ) । প্রতিটি স্তরে কিছু প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে ( বিস্তার ) এবং নির্দিষ্ট সময়ে সমাধান করতে হয় ( গতি ) ।”