সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে :
১. স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হল ( প্যাকেটের আলুর / চিপস / বাড়ির আলুভাজা ) ।
উত্তর — বাড়ির আলুভাজা
২. চকোলেট হল ( বাড়িতে তৈরি খাদ্য / প্যাকেট করা খাদ্য ) ।
উত্তর — প্যাকেট করা খাদ্য
৩. টিয়া পাখি ঠোট দিয়ে ঠুকরে খায় কারণ তার দাঁত ( আছে / নেই ) ।
উত্তর — নেই
৪. হরিণের দাঁত ( আছে / নেই ) ।
উত্তর — আছে
৫. বিড়াল , বাঘ , সিংহ — এদের প্রত্যেকের খাওয়ার ধরন ( একই / আলাদা ) ।
উত্তর —একই
৬. দাঁতের ফাকে আটকে থাকা খাবারের টুকরােয় বাসা বাঁধে ( আণুবীক্ষণিক জীব / পােকা / পিপড়ে / কোনােটিই নয় ) ।
উত্তর — আণুবীক্ষণিক জীব
৭. শরীরের কঠিনতম অংশ হল ( হাড় / মাংসপেশি / এনামেল / সবকটিই ) ।
উত্তর —এনামেল
৮. মানুষের মুখে ( 8/২০/৮ ) ধরনের দাঁত আছে ।
উত্তর — 8
৯. দুধের দাঁত পড়ে গেলে নতুন দাঁত ( ওঠে / ওঠে না ) ।
উত্তর— ওঠে
১০. ( ৬/৯/১২ ) বছর বয়স থেকে দুধের দাঁত পড়তে শুরু করে ।
উত্তর — ৬
১১. মানুষের মুখে সব দাঁত ( একইরকম / একইরকম নয় ) ।
উত্তর — একইরকম নয়
১২. খাবারের যে অংশটি হজম হয় না , সেটি ( মল / মূত্র / ঘাম ) হিসেবে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায় ।
উত্তর — মল
১৩. তাড়াহুড়ো করে খাবার খেলে ( হজমের / মলত্যাগের ) গােলমাল হতে পারে , সেই সঙ্গে ( বিষম / দম ) লাগতে পারে ।
উত্তর — হজমের , বিষম
১৪. লালারসে হজমের রস ( থাকে / থাকে না ) ।
উত্তর — থাকে
১৫. পাকস্থলীতে হজমের রস ( থাকে / থাকে
না ) ।
উত্তর — থাকে
১৬. মুখে লালারস না বেরােলে খাবার সহজে গলা দিয়ে ( নামত / নামত না ) ।
উত্তর— নামত না
১৭. পাকস্থলী থেকে খাবার ( মলাশয়ে / অন্ত্রে ) পোঁছােয় ।
উত্তর — অন্ত্রে
১৮. খাবারের যে অংশটা মল হিসেবে ( মলাশয়ে / ক্ষুদ্রান্ত্রে / পাকস্থলীতে ) জমা থাকে তা কিছুক্ষণ পর শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ।
উত্তর— মলাশয়ে
১৯. প্রত্যেক মানুষ একই ধরনের সুষম খাবার( খায় /খায় না )
উত্তর — খায় না
২০. আমরা সবাই একইধরনের ( কাজকরি / কাজকরি না ) ।
উত্তর — কাজ করি না
২১. সুষম খাবার খাওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা ( থাকে / থাকে না ) ।
উত্তর — থাকে
২২. সুষম আহারের সঙ্গে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতার সম্পর্ক ( আছে / নেই ) ।
উত্তর — আছে
২৩. সুষম আহার শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য ( করে / করে না ) ।
উত্তর — করে
২৪. ( উদ্ভিদ / প্রাণী ) থেকে সব প্রাণী শক্তি
পায় ।
উত্তর —উদ্ভিদ
২৫. ( উদ্ভিদের / প্রাণীর ) থেকে আমরা দুধ , ডিম ও মাংসপাই ।
উত্তর — প্রাণীর
২৬. সূর্যের থেকে পাওয়া শক্তির সবটাই গাছ ব্যবহার ( করে / করে না ) ।
উত্তর — পারে না
২৭. গাছ খাবার তৈরি করার জন্য বাতাস থেকে ( কার্বন ডাইঅক্সাইড / অক্সিজেন ) নেয় এবং খাবার তৈরির পর বাতাসে ( কার্বন ডাইঅক্সাইড / অক্সিজেন ) ছাড়ে ।
উত্তর — কার্বন ডাইঅক্সাইড , অক্সিজেন
২৮. গাছ মাটি থেকে ( শুধু জল / জল এবং আরও কিছু উপাদান ) পায় ।
উত্তর —জল এবং আরও কিছু উপাদান
২৯. গাছ মাটি থেকে তৈরি খাবার ( পায় / পায় না ) l
উত্তর — পায় না
৩০. বাঘ শক্তির জন্য ( সরাসরি / ঘুরপথে ) উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে l
উত্তর — ঘুরপথে
৩১. উদ্ভিদ শ্বাস নেওয়ার সময় ( অক্সিজেন / কার্বন ডাই অক্সাইড ) নেয় , শ্বাস ছাড়ার সময় ( অক্সিজেন / কার্বন ডাইঅক্সাইড ) ছাড়ে l
উত্তর — অক্সিজেন , কার্বন ডাইঅক্সাইড
৩২. আমাদের শরীরেফুসফুস ( খাদ্যনালীর শ্বাসনালীর ) শেষে থাকে ।
৩৩. শরীরে তৈরি হওয়া কার্বন ডাইঅক্সাইড ( নিশ্বাসের / প্রশ্বাসের )সময় শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ।
উত্তর — নিশ্বাসের
৩৪. শ্বাসক্রিয়ার সময় বাতাস থেকে গ্যাস নেওয়া ও ছাড়ার ব্যাপারে মানুষ ও উদ্ভিদে ( কোনাে পার্থক্য নেই / পার্থক্য আছে ) ।
উত্তর — কোনাে পার্থক্য নেই
৩৫. খাবার থেকে শক্তি বের করার জন্য আমাদের যে গ্যাসের দরকার হয় সেটি হল ( অক্সিজেন / কার্বন ডাইঅক্সাইড ) ।
উত্তর — অক্সিজেন
ANSWER
১. বাড়ির আলুভাজা
২. প্যাকেট করা খাদ্য
৩. নেই
৪. আছে
৫. একই
৬. আণুবীক্ষণিক জীব
৭. এনামেল
৮. 8
৯. ওঠে
১০. ৬
১১. একইরকম নয়
১২. মল
১৩. হজমের , বিষম
১৪. থাকে
১৫. থাকে
১৬. নামত না
১৭. অন্ত্রে
১৮.মলাশয়ে
১৯. খায় না
২০. কাজ করি না
২১. থাকে
২২. আছে
২৩. করে
২৪. উদ্ভিদ
২৫. প্রাণীর
২৬. করে না
২৭. কার্বন ডাইঅক্সাইড , অক্সিজেন
২৮. জল এবং আরও কিছু উপাদান
২৯. পায় না
৩০. ঘুরপথে কার্বন ডাইঅক্সাইড
৩১. অক্সিজেন ,
৩২. শ্বাসনালীর
৩৩. নিশ্বাসের
৩৪. কোনাে পার্থক্য নেই
৩৫.অক্সিজেন ।
শুন্যস্থান পূরণ করো :
১. মৌমাছি , ঘাসফড়িং , মশা — এদের দাঁত______ l
উত্তর — নেই
২. দাঁতের বেশিরভাগ অংশই _______ ভিতরে থাকে l
উত্তর — মাড়ির
৩. কোনো কিছু খাবার পরেই ভালো করে______ ধুতে হবে l
উত্তর — মুখ
৪. মানুষের মুখের দুধের দাঁতের সংখ্যা______ l
উত্তর — 20 টি
৫. জন্মেরছয় মাস পর থেকে মানুষের যে দাঁত গজাতে শুরু করে সেগুলিকে________ বলে l
উত্তর — দুধের দাঁত
৬. দুধের দাঁত সাধারণত_______ থেকে______ বছর বয়স অবধি থাকে l
উত্তর — 6 , 12
৭. শরীরের মধ্যে গ্রাসনালীর নীচে থলির মতো যে অংশে খাবার হজম হয় সেটিকে______ বলে l
উত্তর — পাকস্থলী
৮. চিবোনোর সময়_______ জন্য খাবারটি দলা পাকিয়ে নরম হয়ে যায় l
উত্তর — লালারসের
৯. আমাদের________ আশেপাশে কয়েকটি লালাগ্রন্থি থাকে l
উত্তর — মুখের
১০. খাবারকে খুব ছোটো ছোটো কণায় ভেঙে ফোলাকে বলে______ l
উত্তর — হজম
১১. আমাদের গলার ভিতর পাশাপাশি যে দুটি নল আছে , তার একটি দিয়ে খাবার যায় , অন্যটি দিয়ে যায়_______ l
উত্তর — বাতাস
১২. খাদ্য থেকে আমরা_____ পাই l
উত্তর — শক্তি
১৩. শক্তি আমরা_______ করার জন্য ব্যবহার করি l
উত্তর — কাজ
১৪. উদ্ভিদের তৈরী করা খাবারে______ শক্তি
উত্তর — সূর্যের
১৫. আমরা ফল ও শাকসবজি পাই ______থেকে , কিন্তু মাংস ও ডিম পাই ______থেকে ।
উত্তর — উদ্ভিদ , প্রাণী
১৬. ছাগল ______ ও ______ খায় ।
উত্তর—ঘাস , গাছের পাতা
১৭. প্রশ্বাস ও নিশ্বাসকে একসঙ্গে বলে______
উত্তর —শ্বাসক্রিয়া
১৮. যদি পরিমাণমতাে ______ গ্যাস শরীরে ঢােকে তবেই আমরা কাজ করার শক্তি পাব ।
উত্তর —অক্সিজেন
১৯. খুব জোরে দৌড়ে এলে আমারা ______
থাকি ।
উত্তর —হাঁপাতে
২০. কলকারখানা বা গাড়ির ধোঁয়া আমাদের শরীরের ______অঙ্গের ক্ষতি করে ।
উত্তর —ফুসফুস
ANSWER
১. নেই
২. মাড়ির
৩. মুখ
৪. ২০ টি
৫. দুধের দাত
৬ . ৬ , ১২
৭. পাকস্থলী
৮. লালারসের
৯. মুখের
১০. হজম
১১. বাতাস
১২. শক্তি
১৩ . কাজ
১৪. সূর্যের
১৫. উদ্ভিদ , প্রাণী
১৬. ঘাস , গাছের পাতা
১৭. শ্বাসক্রিয়া
১৮. অক্সিজেন
১৯. হাঁপাতে
২০. ফুসফুস ।
একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. এমন একটি ফলের নাম লেখা যা কাঁচা অবস্থায় অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাবার বানানাে হয় , কিন্তু পাকা অবস্থায় সরাসরি খাওয়া যায় ।
উত্তর : কাঁচা অবস্থায় অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাবার বানানাে হয় , কিন্তু পাকা অবস্থায় সরাসরিও খাওয়া হয় এমন একটি ফল হল পেঁপে ।
২. এমন একটি সবজির নাম লেখাে যা দিয়ে তরকারিও বানাতে পার আবার সরাসরি খেতেও পার ।
উত্তর : মুলাে হল এমন একটি সবজি যা দিয়ে তরকারিও বানানাে যায় আবার সরাসরিও খাওয়া যায় ।
৩. এমন তিনটি জিনিসের নাম লেখাে যেগুলি থেকে খাবার বানানাে হয় এবং যেগুলির উপকরণ হল গম ।
উত্তর : আটা , ময়দা এবং সুজি হল এমন তিনটি জিনিস ।
৪. হাতি কি খাওয়ার সময় দাঁত ব্যবহার করে ?
উত্তর : হাতি খাওয়ার সময় দাঁত ব্যবহার করে , তবে আমরা যে দুটি দাঁত দেখতে পাই , সে দুটি তারা খাওয়ার সময় ব্যবহার করে না ।
৫. প্যাকেট করা খাবার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কেন ?
উত্তর : প্যাকেট করা খাবারকে বেশিদিন সতেজ রাখার জন্য কিছু রাসায়নিক পদার্থ মেশানাে হয় যা শরীরে পক্ষে ক্ষতিকারক l
৬. পাখিরা কীভাবে খায় ?
উত্তর : পাখিরা ঠোট দিয়ে ঠুকরে খায় ।
৭. জোঁক কী খায় এবং কীভাবে খায় ?
উত্তর : জোঁক রক্ত খায় এবং চুষে খায় ।
৮. দাঁত নেই এরকম একটি প্রাণীর নাম বলাে ।
উত্তর : দাঁত নেই এরকম একটি প্রাণী হল প্রজাপতি ৷
৯. টিয়া পাখির কি দাঁত আছে ?
উত্তর : না , টিয়া পাখির দাঁত নেই ।
১০. বিড়াল বা বাঘের কি দাঁত আছে ?
উত্তর : হাঁ , বিড়াল বা বাঘের দাঁত আছে ।
১১. ছাগল কী খায় এবং কীভাবে খায় ?
উত্তর : ছাগল ঘাসপাতা খায় এবং দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খায় ।
১২. ঘাস খায় এরকম চারটি প্রাণীর নাম লেখাে ।
উত্তর : ঘাস খায় এরকম চারটি প্রাণী হল গােরু , ছাগল , ভেড়া , মােষ ।
১৩. দিনে ক’বার দাঁত মাজা উচিত ?
উত্তর : দিনে দুবার দাঁত মাজা উচিত ।
১৪. শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ কোনটি ?
উত্তর : মাড়ির বাইরে দাঁতের যে অংশটি থাকে সেটিই শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ |
১৫. এনামেল কী ?
উত্তর : মাড়ির বাইরে দাঁতের যে অংশ থাকে তার আবরণকে বলে এনামেল ।
১৬. দাঁত তুলে ফেললে কী অসুবিধা হয় ?
উত্তর : দাঁত তুলে ফেললে খাবার ঠিকমতাে চিবােনাে যায়না ।
১৭. দাঁত কত রকমের কাজ করে এবং কী কী ?
উত্তর : দাঁত চার রকমের কাজ করে — খাবার কাটা , ছেঁড়া , ভাঙা আর গুঁড়াে করা ।
১৮. লালারস কোথা থেকে বের হয় ?
উত্তর : মুখের ভেতরে থাকা লালাগ্রন্থি থেকে লালারস বের হয় ।
১৯. লালারসের কাজ কী ?
উত্তর : লালারসের কাজ হল — খাবারকে ভিজিয়ে নরম করা ও দলা পাকিয়ে দেওয়া যাতে সহজেই তা গলা দিয়ে নেমে যায় এবং খাবার হজম করানাে l
২০. হজম করা মানে কী ?
উত্তর : হজম করা মানে হল খাবারকে খুব ছােটো ছােটো কনায় ভেঙে ফেলা যাতে ওই কণাগুলি শরীর খুব সহজেই নিয়ে নিতে পারে ।
২১. খাবার আস্তে আস্তে চিবিয়ে খাওয়া উচিত কেন ?
উত্তর : আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে খাবার সহজে হজম হয় ।
২২. খাওয়ার সময় কথা বললে আমাদের কী অসুবিধা হতে পারে ?
উত্তর : খাওয়ার সময় কথা বললে বিষম লেগে দম আটকে যেতে পারে ।
২৩. শরীরের ভিতর কোন্ দুটি অংশে খাবার হজমের কাজ হয় ?
উত্তর : পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে খাবার হজমের কাজ হয় l
২৪. মল কী ?
উত্তর : খাবারের যে অংশটি হজম হয় না , সেটি শেষ পর্যন্ত মলে পরিণত হয় ।
২৫. মল শরীরের কোন অংশে জমা হয় ?
উত্তর : মল মলাশয়ে জমা হয় ।
২৬. দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগলে কী কী অসুবিধা দেখা দিতে পারে ?
উত্তর : দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগলে খাবারে অরুচি দেখা দেয় , শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ।
২৭. কীভাবে খাওয়াদাওয়া করলে শরীর সুস্থ থাকবে ?
উত্তর : যে যে খাবার খেলে শরীরের আকার ও ওজন বাড়বে , সেরকম খাবার সময়মতাে আর পরিমাণমতাে খেলে শরীর সুস্থ থাকবে ।
২৮. টকজাতীয় ফল খাওয়ার উপকারিতা কী ?
উত্তর : টকজাতীয় ফল খেলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে ।
২৯. কয়েকটি টকজাতীয় ফলের নাম লেখাে ।
উত্তর : কয়েকটি টকজাতীয় ফল হল লেবু , আমলকী , তেঁতুল ইত্যাদি ।
৩০. শক্তি ছাড়া খাদ্য থেকে আর কী পাওয়া যায় ?
উত্তর : শক্তি ছাড়া খাদ্য থেকে রােগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা পাওয়া যায় ।
৩১. আমাদের শক্তির প্রয়ােজন হয় কেন ?
উত্তর : সারাদিনের নানারকম কাজ করার জন্য আমাদের শক্তির প্রয়ােজন হয় ।
৩২. বেশি শক্তি লাগে এরকম দুটি কাজের নাম লেখাে ।
উত্তর : খেলাধুলা করতে এবং হেঁটে বা দৌড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে বেশি শক্তি লাগে ।
৩৩. সারাদিন খাবার না খেলে কী হবে ?
উত্তর : সারাদিন খাবার না খেলে আমরা দুর্বল হয়ে পড়ব ।
৩৪. কম শক্তি লাগে এরকম দুটি কাজের নাম লেখাে ।
উত্তর : খাবার খেতে এবং ছবি আঁকতে কম শক্তি লাগে ।
৩৫. শক্তির চাহিদা কীসের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর : শক্তির চাহিদা কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে ।
৩৬. খাবারের ধরন ও পরিমাণ কীসের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর : খাবারের ধরন ও পরিমাণ শক্তির চাহিদার ওপর নির্ভর করে ।
৩৭. সুষম আহার কীসের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তর : সুষম আহার ব্যক্তির বয়স , শরীরের ওজন , উচ্চতা এবং জায়গাটির জলহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ।
৩৮. সুষম খাবার খেলে কী হয় ?
উত্তর : সুষম খাবার খেলে শরীরে শক্তির চাহিদা মেটে , সঠিক বৃদ্ধি হয় এবং রােগ প্রতিরােধ করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে
৩৯. সুষম আহারের মধ্যে কত ধরনের খাবার থাকে ?
উত্তর : সুষম আহারের মধ্যে চার ধরনের খাবার থাকে ।
৪০. সুষম আহারে কী কী ধরনের খাবার থাকে ?
উত্তর : সুষম আহারে দানা শস্যজাতীয় , শাকসবজি ও ফলজাতীয় , তেল – ঘি-বাদাম – জাতীয় এবং মাছ – মাংস – ডিম জাতীয় খাবার থাকে ।
৪১. প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে সুষম আহার একইরকমের হয় না কেন ?
উত্তর : প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে সুষম আহার একইরকমের হয় না কারণ ব্যক্তির বয়স , শরীরের ওজন ও কাজের ধরন অনুযায়ী সুষম আহার বদলে যায় l
৪২. দানাশস্যজাতীয় তিনটি খাবারের নাম
লেখাে ।
উত্তর : ভাত , রুটি , ডাল হল তিনটি দানাশস্যজাতীয় খাবার ।
৪৩. মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণী কোথা থেকে খাবার পায় ?
উত্তর : মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণী উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে খাবার পায় ।
88. কোন্ কোন্ প্রাণীর থেকে আমরা দুধ পাই ?
উত্তর : গােরু , ছাগল ও মােষ প্রভৃতি প্রাণীদের থেকে আমরা দুধ পাই |
৪৫. মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের খাবারের উৎস আসলে কী ?
উত্তর : মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের খাবারের উৎস হল— উদ্ভিদ ।
৪৬. উদ্ভিদের শরীরের কোন্ অংশে খাবার তৈরি হয় ? উত্তর : উদ্ভিদের শরীরের সবুজ অংশে খাবার তৈরি হয় ।
৪৭. উদ্ভিদের তৈরি করা খাবারে কী জমা থাকে ?
উত্তর : উদ্ভিদের তৈরি করা খাবারে সূর্যের শক্তি জমা থাকে ।
৪৮. তৈরি করা খাবার গাছ কীভাবে কাজে লাগায় ?
উত্তর : তৈরি করা খাবারের কিছুটা গাছ নিজে ব্যবহার করেআর বাকিটা তার শরীরে জমিয়ে রাখে l
৪৯. উদ্ভিদের খাবার তৈরি করতে বাতাস আর জল ছাড়া আর কী লাগে ?
উত্তর : উদ্ভিদের খাবার তৈরি করতে বাতাস আর জল ছাড়া সূর্যের আলাে লাগে ।
৫০. নিশ্বাস কাকে বলে ?
উত্তর : শ্বাস ছাড়াকে নিশ্বাস বলে ।
৫১. প্রশ্বাস কাকে বলে ?
উত্তর : শ্বাস নেওয়াকে প্রশ্বাস বলে ।
৫২. শ্বাসক্রিয়া কাকে বলে ?
উত্তর : প্রশ্বাস ও নিশ্বাসকে একসঙ্গে শ্বাসক্রিয়া বলে ।
৫৩. আমাদের শরীরে কখন অক্সিজেন গ্যাস ঢােকে ?
উত্তর : প্রশ্বাসের সময় আমাদের শরীরে অক্সিজেন ঢোকে ।
৫৪. তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় কেন জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয় ?
উত্তর : তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় বেশি শক্তির ।
৫৫. শ্বাসনালীর শেষে যে থলির মতাে অংশটি আছে সেটা কী ?
উত্তর : শ্বাসনালীর শেষের থলির মতাে অংশটি হল ফুসফুস l
৫৬. আমাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে শ্বাসক্রিয়ার সম্পর্ক কী ?
উত্তর : শ্বাসক্রিয়ার সময় যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন শরীরে ঢুকলে তবে স্বাস্থ্য ভালাে থাকে।
৫৭. কোনাে মানুষের শ্বাসকষ্ট হয় কেন ?
উত্তর : শরীরে যতটা অক্সিজেন দরকার ততটা অক্সিজেন যদি না ঢােকে এবং শরীর থেকে যদি কার্বন ডাইঅক্সাইড পুরােটা বের করা না যায় , তাহলে শ্বাসকষ্ট হয় ।
৫৮ , বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে বুকের ছবি তুলে কী দেখা হয় ?
উত্তর : বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে বুকের ছবি তুলে ফুসফুসের অবস্থা দেখা হয় ।
৫৯. ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা কমে গেলে কী হয় ?
উত্তর : ফুসফুসের কাজ করার ক্ষমতা কমে গেল
স্বাভাবিকভাবে শ্বাসক্রিয়া চালানাে যায় না , দম নিতে কষ্ট হয় l
২- ৩ টি বাক্যে উত্তর দাও :
১. আমাদের বিষম কেন লাগে ?
উত্তর : খাওয়ার সময় কথা বললে খাবারের টুকরাে অনেক সময় শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে । তখন শরীর ওই খাবারের টুকরােকে শ্বাসনালী থেকে বের করে দিতে চায় । এর ফলে বিষম লাগে |
২. সুষম আহার কাকে বলে ?
উত্তর : প্রতিদিন সবধরনের খাবার মিলিয়ে মিশিয়ে খাওয়ার একটি পরিকল্পনা করা হয় , যাতে শরীরের শক্তির চাহিদা মেটে , রােগ প্রতিরােধ হয় । এই পরিকল্পনা অনুযায়ী খাওয়াকে সুষম আহার বলে ।
৩. দৌড়ােনাের সময় আমরা হাঁপিয়ে যাই কেন ?
উত্তর : দৌড়ােনাের সময় শরীরে বেশি অক্সিজেন লাগে । সেই পরিমাণ অক্সিজেন শরীরে ঢােকানাের জন্য আমরা জোরে জোরে শ্বাস নিই । তাই আমরা হাঁপিয়ে যাই ।
৪. কী ধরনের কাজ করলে ফুসফুস বা শ্বাসনালীর রোগ হতে পারে ?
উত্তর : কয়লাখনি , কাচের কারখানা , অ্যাসবেস্টসের কারখানায় বা তুলাে নিয়ে কাজ করলে ফুসফুস বা শ্বাসনালীর রােগ হতে পারে । আবার নিয়মিত বিড়ি সিগারেট খেলেও ফুসফুস বা শ্বাসনালীর রােগ হতে পারে ।
৫. বয়স্ক মানুষ সাধারণ হাঁটাচলা করতে গিয়েও হাঁপিয়ে যায় কেন ?
উত্তর : ধোঁয়া ও ধুলাে শরীরের ভিতরে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে l বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্ষতির পরিমাপও বেড়ে যায় । এজন্য বয়ষ্ক মানুষ সাধারণ হাঁটাচলা করতে গেলেও হাঁপিয়ে যেতে পারেন ।
৬. ফুসফুস কীভাবে ভালাে রাখা যায় ?
উত্তর : নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম এবং মুক্ত বাতাসে ছােটাছুটি বা খেলাধুলা করলে ফুসফুস ভালাে থাকে । তার সঙ্গে যে কোনাে রকম ধোয়া-ধুলাে থেকে দূরে থাকাও দরকার ।