যতীনের জুতো – সুকুমার রায়

যতীনের জুতো
সুকুমার রায়


💠 লে খ ক প রি চি তি 💠

বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন l

প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়ই তিনি বিখ্যাত ‘ ননসেন্স ক্লাব ’ প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশােরের সম্পাদনায় মাসিক সন্দেশ পত্রিকা প্রকাশিত হয় । সুকুমার রায় সেই পত্রিকায় খিচুড়ি রচনাটি লেখেন , যা প্রকাশ পায় ১৯১৪ সালে । এরপর একে একে ছাপা হয় ‘| ‘কাঠবুড়াে, ছায়াবাজি ‘ , গোঁফচুরি ‘ , বিজ্ঞান শিক্ষা ইত্যাদি ।

১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে সুকুমার রায়ের মৃত্যু হয় ।

💠 সা র ম র্ম 💠

সাধের ঘুড়ি বাদ দিলে যতীন তার সমস্ত জিনিসই বাজেভাবে ব্যবহার করত । বই , স্লেট , পেনসিল , বিশেষত পায়ের জুতোজোড়া সে এতটাই অসাবধানে নাড়াচাড়া করত সেগুলি খুব কম দিনই সুরক্ষিত থাকতো l

নতুন কেনা চটি কিছুদিন যেতে না যেতেই তা এদিকে সেদিকে ঠোক্কর খেয়ে ছিঁড়ে যেত । বাড়িতে তার জন্য যতীনকে বাবা – মায়ের অনেক কথাও শুনতে হত ।

একদিন ছেঁড়া চটি পায়ে যতীন দু – তিন সিঁড়ি লাফিয়ে নামতে গিয়েই সাঁইসাঁই করে শূন্যের ওপর দিয়ে উড়ে চলে এবং হাজির হয় এক অচেনা দেশে । সেখানে অনেক মুচি সার দিয়ে বসে । ছিঁড়ে যাওয়া জুতাের ব্যাপারে তারা যতীনকে বকাঝকা শুরু করে দেয়।তারপর যতীনের ছেড়া জুতাে তার হাতে ধরিয়ে সেলাইয়ের নির্দেশ দেয় । অনেকক্ষণ ধরে সেলাইয়ের কাজ চালানাের পর যতীন ক্লান্ত হয়ে পড়ে ।

পরদিনও তাকে ছেঁড়া জামা মেরামতির জন্য ধরানাে হয় । বহু কাকুতিমিনতি করা সত্ত্বেও যতীন রেহাই পায় না । অবশেষে সে ঘুমিয়ে পড়ে এবং তার সাধের ঘুড়ি উড়ে এসে পড়তে থাকে ।

মাটিতে পড়ামাত্র তার মাথার লাগে এবং যন্ত্রণা শুরু হয় l

কিছুদিন রোগভোগের পর সে সুস্থ হয়ে উঠলে তার দুরন্তপনার অনেক কমে যায় l তার জুতাজোড়াও চার মাস অক্ষত থাকে l

💠 শ ব্দা র্থ 💠


• দুমড়ানাে : দলা পাকানাে

• দুড়দুড় : তাড়াতাড়ি

• উৎপাত : ঝঞ্ঝাট , জ্বালাতন

• ঘণ্ট : এখানে এলােমেলাে অর্থে

• দশা : অবস্থা

• মন্দ : খারাপ


💠 বি প র ত শ ব্দ 💠

• নতুন : পুরাতন
• গােড়া : আগা
• আস্তে : তাড়াতাড়ি
• আরম্ভ : সমাপ্তি


প্রশ্ন – আবােল তাবােল বইটি কার লেখা ?

উত্তর : আবােল তাবােল বইটির লেখক সুকুমার রায় ৷

প্রশ্ন – তাঁর লেখা দুটি নাটকের নাম লেখাে ।

উত্তর : সুকুমার রায়ের লেখা দুটি নাটকের নাম — অবাক জলপান , লক্ষ্মণের শক্তিশেল ।



বর্ণ বিশ্লেষণ করাে ।

সেলাই চৌকাঠ , সমস্ত , মাতব্বর , মুশকিল

উত্তর :
সেলাই — স্ + এ + ল্ + আ + ই

চৌকাঠ— চ্ + ঔ + ক্ + আ + ঠ্

সমস্ত — স্ + অ + ম্ + অ + স্ + ত্ + অ

মাতব্বর — ম্ + আ + ত্ + অ + ব্ + ব্ + অ + র্

মুশকিল — ম্ + উ + শ + অ + ক + ই + ল্


বেমানান শব্দগুলি চিহ্নিত করো :

( ক ) ঘুড়ি , লাটাই , মাঞ্জা , পাঞ্জা

উত্তর — পাঞ্জা

( খ ) মলাট , বই , খাতা , ঘুড়ি

উত্তর — ঘুড়ি

( গ ) সের , জোড়া , ডজন , সেরা

উত্তর — সেরা

Related posts:

পদার্থ কাকে বলে ? পদার্থ ও বস্তু কি এক ?

প্রশ্ন : মূল্যায়ন কাকে বলে ? মূল্যায়ন কয় প্রকার ও কী কী ? যে - কোনো একপ্রকার মূল্যায়নের বিবরণ দি...

একক পাঠ পরিকল্পনা কাকে বলে ? পাঠ পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা লিখুন । এর সুবিধা লিখুন ।

শিক্ষা পরিকল্পনা কাকে বলে ? শিক্ষা পরিকল্পনার শ্রেণিবিভাগ করুন । যেকোনো একপ্রকার পরিকল্পনার বিবরণ দি...

ধারণা মানচিত্র কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন । বাস্তবায়নের উপায় লিখুন । এর গুরুত্ব লিখুন ।

পাঠ একক বিশ্লেষণ কাকে বলে ? পাঠ একক বিশ্লেষণের স্তর বা ধাপগুলি লিখুন

অন্তর্ভুক্তিকরণে ( সমন্বিত শিখনে ) প্রদর্শিত শিল্পকলার কীভাবে প্রয়োগ করবেন

প্রদর্শিত শিল্পকলার লক্ষ্য , বৈশিষ্ট্য , গুরুত্ব ও বাস্তবায়নের কৌশল

প্রাথমিক স্তরে পাঠদানের ক্ষেত্রে নাটকের ব্যবহার

মূল্যবোধ শিক্ষায় বিদ্যালয় ও শিক্ষকের ভূমিকা

মূল্যবোধ || মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য || প্রাথমিক স্তরে মূল্যবোধের শিক্ষার গুরুত্ব

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষায় তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ভূমিকা

সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য

পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার

পাঠক্রম পরিব্যাপ্ত শিক্ষণবিজ্ঞানে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তির ব্যবহার

উদাহরণসহ প্রকল্প পদ্ধতির বিবরণ

পূর্বসূত্রজনিত শিখন ( Contextualization ) কাকে বলে ?

জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক

অনুসন্ধান পদ্ধতি

জ্ঞান নির্মাণ কীভাবে হয় উদাহরণসহ আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page