“■ শােনার অনুশীলনে বিভিন্ন কৌশলের ব্যবহার :
( ১ ) প্রতিলিপি অনুশীলন :
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের পাঠ ঠিকমতো অনুধাবন করতে পেরেছে কি না , শিক্ষকের পাঠ শুনে সঠিকভাবে লিখতে পারছে কি না প্রতিলিপি অনুশীলনের মাধ্যমে সহজেই জানা যায় ।
( ২ ) বিশুদ্ধ উচ্চারণ অনুশীলন :
পাঠ্যপুস্তকের কোনাে অংশ বিশুদ্ধ উচ্চারণের মাধ্যমে পাঠ করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে ওই অংশটি পাঠ করালে যদি তারা যথাযথ উচ্চারণে পাঠ করতে পারে তবেই বােঝা যাবে শােনার ব্যাপারে তারা কতটা মনােযােগী ছিল ।
( ৩ ) বিতর্ক অনুশীলন :
বিদ্যালয়ে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়ােজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শােনার অনুশীলন করা যায় ।
( ৪ ) গল্প , কাহিনি ও আবৃত্তির মাধ্যমে পাঠদান :
শিক্ষার্থীদের পাঠদান যদি মনােজ্ঞ হয় , সরস , সাবলীল , স্বচ্ছন্দ হয় তবে তাঁর পাঠদান সফল । সরস পাঠদানের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে গল্প , কাহিনি প্রভৃতি পরিবেশন করে শিক্ষাদান বাঞ্ছনীয় ।
( ৫ ) প্রশ্নোত্তর :
প্রশ্নোত্তর পদ্ধতিতে পাঠদান করলে , শিক্ষার্থীদের অমনােযােগী হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে । কষ্ট করে হলেও তাকে শিক্ষকের প্রশ্নের ও উত্তরের ওপর মনােনিবেশ করতেই হয় ।
( ৬ ) শিক্ষকের বাচনভঙ্গি :
শিক্ষকের বাচনভঙ্গি যদি সুন্দর হয় তবে ছাত্ররা স্বভাবতই অমনােযােগী হয় না ।
( ৭ ) শিক্ষা – উপকরণ ব্যবহার :
শিক্ষাদানকালে উপযুক্ত শিক্ষা সহায়ক উপকরণ প্রযুক্ত হলে ছাত্ররা পাঠে মনােযােগী হয় ।
( ৮ ) শােনার পরিবেশ তৈরি :
শিক্ষকের পাঠদান ও সেই পাঠ শােনার জন্য শ্রেণিকক্ষে লেখাপড়ার উপযােগী পরিবেশ তৈরি করা জরুরি ।
( 9 ) শিক্ষকের ব্যক্তিত্ব :
শিক্ষকের শিক্ষকসুলভ ব্যক্তিত্ব না থাকলে তিনি শ্রেণিকক্ষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না । সেজন্য শিক্ষকের বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া দরকার ।
( ১০ ) শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের বিভিন্ন কাজ :
বিষয়ের পাঠদান , বাের্ডের কাজ , শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার , প্রশ্নোত্তরধর্মী শিক্ষাদান প্রভৃতি শিক্ষককে এমনভাবে করতে হবে , যেন পড়ানাের স্বতঃস্ফূর্ততা ব্যাহত না হয় ।