প্রশ্ন : সমন্বয়িত শিক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সমস্যা ও সাফল্য কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
উত্তর : সমন্বয়িত শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও সংযোগসাধন প্রযুক্তি যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিষয়বস্তুর বিকাশ । এই বিকাশের ক্ষেত্রে যেটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ , যাতে তাঁদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের উপযুক্ত সক্ষমতা তৈরি হয় । তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারা মানবসম্পদ বিকাশের জন্য সম্পদের বিন্যাসকে একদিকে মূল পরিকাঠামো যেমন কম্পিউটার সংযোগসাধন এবং বাহ্যিক পরিকাঠামো যেমন শিখনমূলক কার্যক্রম , বিষয়বস্তুগত সহযোগিতা ও অন্যান্য বিকাশমূলক উদ্যোগ প্রভৃতির মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা প্রয়োজন । এই উভয় ধরনের পরিকাঠামোর যথাযথ বিকাশের দ্বারাই তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার সম্ভব । এদের কোনো একটির অনুপস্থিতি এই কার্যক্রমটি সম্পাদনে বাধাদান করবে ।
তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সাফল্য কতকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে । বিষয়গুলি হল—
1. প্রযুক্তিগত যথার্থতা অর্থাৎ যে বিষয়ের প্রেক্ষিতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা যথার্থ কিনা ।
2. নির্দেশদানের উপকরণগুলি যথার্থ কিনা এবং গুণগত দিক থেকে যথার্থ কিনা ।
3. শিখনের কার্যকারিতা ।
4. কাজের নতুন পন্থাটি যথার্থ কিনা ।
5. খরচের দিক থেকে প্রকল্পটি সাশ্রয়কারী কিনা ।
তাই সমন্বয়িত শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের উপযুক্ত দক্ষতার বিকাশের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এই দিকগুলির যথাযথ মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করবেন ।
সমস্যা : মূলত তথ্যপ্রযুক্তির উপযোগী দক্ষতার বিকাশে যে সমস্যা দেখা যায় তা হল অত্যধিক প্রারম্ভিক খরচ । এর কারণ—
1. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব ।
2. ব্যবস্থাপকদের গাফিলতি ব্যবস্থার , সংস্কারসাধনের প্রতি অনীহা ।
3. শিক্ষকদের ধৈর্যের অভাব ।
4. প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সমস্যা ।
5. তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষায় ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা ।
জ্ঞান বিকাশের থেকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে সর্বোত্তম করার জন্য প্রয়োজন—
1. উত্তমমাত্রায় সংযোগসাধনের উন্নয়ন ।
2. যথাযথ কার্যক্রমের সক্ষমতা ।
3. মানুষের তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাগুলি গ্রহণ করার ক্ষমতার উপর ।
সেই কারণে নীতিগত কার্যক্রম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল ও নিয়োজিত অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে সহযোগিতা সৃষ্টি করে ।
বর্তমানে যুগ হল বিশ্বায়নের যুগ । এক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সক্ষমতা বৃদ্ধির অর্থ হল আঞ্চলিক সক্ষমতাকে বিশ্বজনীন শিক্ষামূলক পরিবেশে সমন্বয়িত করা ।