শিক্ষাব্যবস্থা

📚 শিক্ষাব্যবস্থা ( Educational Provisions ) :

🧾 সাধারণভাবে শিক্ষাগ্রহণের জন্য মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সক্রিয়তাই সমান গুরুত্বপূর্ণ । শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে , শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের ত্রুটির জন্য এই সাধারণভাবে শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয় না। তবে আধুনিক যুগে তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা একপ্রকার সামাজিক অপরাধ । তাই আবিষ্কৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতিগুলি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে । এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে বিশেষ কয়েকটি নিম্নরূপ :

📜 ( 1 ) গৃহভিত্তিক ব্যবস্থা : শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার জন্য গৃহভিত্তিক ব্যবস্থা একটি অতি কার্যকারী পদ্ধতি । – শৈশবে কোনো শিশুর মধ্যে তার পিতা – মাতা যদি প্রতিবন্ধিতার লক্ষণ দেখতে পান এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দ্বারা এ বিষয়ে সুনিশ্চিত হন , তখন তার ক্ষেত্রে এই গৃহভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় ।

এক্ষেত্রে দৈনন্দিন গৃহ – পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া করাতে সাহায্যে করা যায় । যেমন গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজ করার সময় , খাবার সময় , খেলাধুলার সময় শিশুর পিতা – মাতা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন উপকরণগুলি বারবার দেখিয়ে বা বারবার কাজটি করে শিশুকে ওই বিষয়ে ধারণা দেবেন । প্রয়ােজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে বাড়িতে তার জন্য শ্রবণযন্ত্রের ব্যবহার , Auditory training , Speech training- এর ব্যবস্থা করবেন ।
এই গৃহভিত্তিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে একটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক ব্যবস্থা — যা শিশুর প্রতিবন্ধিতার ধরনের উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা হতে পারে । অবশ্য এই পার্থক্যের ভিত্তি শিশুর পিতা – মাতার অংশগ্রহণ , তার বিকাশের হার , মানসিক ক্ষমতা ইত্যাদির উপরও নির্ভর করে ।

📜( 2 ) বিশেষ বিদ্যালয় ব্যবস্থা : সাধারণত তিন ধরনের শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য বিশেষ বিদ্যালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় । এই তিন ধরনের শিশু হল :

( i ) চূড়ান্ত মাত্রার শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু বা বধির ।

( ii ) যার শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা দেরিতে নির্ণীত হয়েছে ।

( iii ) যাকে বাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি ।

এই ধরনের বিদ্যালয়ে বিশেষ পাঠক্রম অনুসরণ করা হয় । তবে , যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে পারে , তাদের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমই ব্যবহার করা হয় ।