ভূতের গল্প : সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভূতের গল্প -1

যে ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব এটা আমার দাদির কাছ থেকে শুনা। ঘটনাটা ঘটেছিল আজ থেকে ৩০ বছর আগে। তখনও আমাদের গ্রামে বিদুৎ পৈৗছে নাই। ঘটনাটা ঘটে ছিল আমার দাদির সাথে।

আমার দাদা ছিল ওঝা টাইপের লোক। তিনি সব ধরনের জিন তারাতে পারতেন। তিনি যখন কোন জিন তাড়াতে যেতেন তখন তার বাড়ি বন্দক করে যেতেন। যাতে এই ছাড়ানো জিন বাড়ির কোন হ্মতি করতে না পারে। কিন্তু একদিন এক লোক আসে যে খুব আজেন্ট তার বাড়িতে যেতে হবে । তানাহলে তার রোগির হ্মতি হয়ে যাবে। কেননা জিনটা খুব খারাপ ভয় দেখাচ্ছে। তাড়াহুড়ার দরুন দাদা সেদিন বাড়ি বন্ধ করা বাদ দিয়ে তার বাড়িতে জিন তাড়ানোর জন্যে চলে যান। ঐ লোকটার বাড়িতে যেতে যেতে রাত ৮ টা বেজে যায়। তিনি অনেক সাধনা করে জিনটাকে পরাজিত করেন এবং যাকে জিনটা ভর করেছিল তার দেহ থেকে জিনটাকে ছাড়িয়ে দেন। তার শরীর থেকে জিনটাকে সরানোর পর জিনটা হুংকার দিয়ে বলে !!! আমি যাচ্ছি তোর বাড়িতে !!!তো দাদা উওর দিলেন যা তুই যা পারস কর ‍গিয়ে। তার সাথে সাথেই দাদার মনে হল তারাহুড়ার দরুন আমি বাড়ি বন্দক করা বাদ দিয়েই ত চলে এসেছি!!

এরই মধ্যে জিনটা বাড়িতে এসে দাদার রুপ ধরে এবং দাদার কন্ঠে দাদিকে ডাক দিলেন জামিলা …একটু বাইরে বের হয়ে আসত। দাদির মনে একটু সন্দেহ আসল । কেননা আগে কোনদিন রাতে দাদিকে দাদা এভাবে ডাকেনি। দাদি ঘর থেকে হাতে কুপি নিয়ে বের হলেন আর বের হওয়া মাএ একটা দমকা হাওয়া এসে দাদির কুপির আলো নিভে গেল। তারপর জিনটা একটানে দাদিকে উঠান থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে নিয়ে চুবাতে শুরু করল। তখন বাড়িতে আমার ফুফা আর ফুফু ছিল। এই বিপদের সময়ে দাদি একটা ডাকই দিতে পেরেছিলেন তাও আমার ফুফুকে। সৈৗভাগ্যবশত আমার ফুফু ডাকটা শুনেছিল। তারপর ফুফূ আর ফুফা পুকুরে গিয়ে দেখে দাদি অজ্ঞান হয়ে ভাসছেন। তারপর ফুফা আর ফুফু মিলে আমার দাদিকে তুলে নিয়ে আসেন।

সেবা ও চিকিৎসার মাধ্যমে দাদিকে ভালো করে তোলা হয়। কিন্তু ঘটনাটা এখানেই শেষ হয়নি!!! তারপর থেকে দাদি প্রায়ই রাতে ভয়ংকর স্বপ্ন দেখত। তার পর শিকল দ্বারা পুরা বাড়ি বন্দ করে দেন দাদা। তারপর থেকে আর কোন সম্যসা হয়নি দাদা বেচে থাকা পযন্ত। কিন্তু দাদা মরে যাওয়ার পর থেকে রাত ২টা ৩টার পর অনেক প্রতিবেশিই দেখতে পান যে দাদি মত দেখতে কে জানি পুকুর পাড় দাড়িয়ে থাকেন। মনে হয় এই জিনটাই এখনো তার প্রতিশোধ নেওয়া শেষ হয়নি। অথবা এটা দাদার আত্তা হয়ত আমাদের পাহার দেওয়ার জন্যে এখানে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page