ভূতের গল্প : একটি অবিশ্বাস্য বাংলা ভূত এর গল্প

ঘটনাটা আজ থেকে ৮-১০ বছর আগের। শীতকালীন ছুটিতে কলেজ বন্ধ থাকায় গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। দুদিন পরই জানলাম আমাদের পাশের গ্রামে যাত্রাপালার আয়োজন করেছে। শহুরে জীবনে এসব সংস্কৃতির সাথে পরিচিত না থাকায় খুব ইচ্ছে করছিল সরাসরি যাত্রা দেখার। রাতে ডিনার সেরে আমরা ১০টার দিকে রওয়ানা হলাম ওই স্থানে। কারণ যাত্রা ১০টায় শুরু হয়ে একটানা রাত ১টা পর্যন্ত চলবে। তখন শীতকাল ছিল, আমি আমার এক চাচাতো ভাই ফারুক আর দুঃসম্পর্কের এক সমবয়সী চাচা আমজাদকে নিয়ে রওয়ানা দিলাম। সমবয়সী বলে ওকে আমজাদ বলেই ডাকি। পথে আরো বেশ কজন সঙ্গী পেলাম। অবশেষে রাত সাড়ে দশটায় পৌছলাম। দেখলাম যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। পালার নাম কমলার বনবাস।

টেলিভিশনে একবার যাত্রা দেখেছিলাম কিন্তু ওই যাত্রা আর এই যাত্রার মাঝে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে। যাত্রার প্রতিটি পর্বের বিরতিতে একটি করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী হচ্ছিল( ওসব বাদ দিলে ভালই লাগছিল যাত্রা! রাত পৌনে বারটার দিকে হঠাৎ করে এলাকার মুরুব্বিরা সদলবলে হাজির হয়ে অশ্লীলতার অভিযোগে যাত্রা পন্ড করে দিলেন এবং মাইকযোগে সবাইকে যার যার বাড়ি চলে যেতে অনুরোধ করেন। সবার সাথে সাথে আমরাও রওয়ানা হলাম বাড়ীর পথে । কিছুদুর যাওয়ার পর সবাই দাড়িয়ে গেল।

সবাই ভাবছিল এতক্ষনে হয়তো আয়োজক কমিটি একটা রফাদফা করে ফেলেছেন! শেষে বিরক্ত হয়ে আমি আমজাদ ও ফারুককে নিয়ে রওয়ানা দিলাম এবং তারাতারি পৌছানোর জন্য রাস্তার বদলে ফসলি জমির বিশাল মাঠের উপর দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।তখন সবার ফসল কাটার পর্ব শেষ তাই জমির আইলের পরিবর্তে জমির উপর দিয়েই হাটা শুরু করলাম। কিন্তু কিছুদুর যাওয়ার পর টের পেলাম আজ প্রচুর কুয়াশা জমেছে।

যাত্রা পেন্ডেলের আলোর কারণে এতক্ষন সমস্যা না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে দশ হাত দুরের জিনিস ও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশা যেন আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে। ক্ষীন চাঁদের আলো থাকায় দেখে শুনে পা ফেলতে পারছি। তার পরও আমাদের এলাকার জমি, চোখ বেঁধে দিলেও পৌছাতে পারব এমন আত্মবিশ্বাস আছে আমাদের। তাই ভয়ের বদলে উপভোগই করছিলাম! কিছুদুর যাওয়ার পর দেখলাম একটি মেয়ে জমিতে পড়ে আছে! পড়নে তার যাত্রাবালাদের পোষাক। উপুড় হয়ে পড়ে আছে সে। আমজাদ বলল, মনে হয় মুরুব্বীরা আক্রমন করেছিল তাই সে এদিক দিয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ভয়ে বেহুশ হয়ে গেছে। তাকে সনাক্ত করার জন্য উল্টালাম।

ততক্ষনে চক্ষু আমাদের কপালে! একি! ও গায়ে পোষাক নেই! সারা শরীরে অসংখ্য ক্ষত, গলায় ওড়ানা পেচানো; চোখ দুটো খোলা যেন বের হয়ে যাচ্ছে! উল্টানো শরীরে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল তাই প্রথম দেখায় বুঝতে পারি নি। ওকে উল্টানোর জন্য ওর হাত ধরার সময় কেমন যেন একটা অনুভুতি হল। সিম্পটম দেখে ফারুক বলল, রেপড বিফোর মার্ডার! এক্ষুনি পালা

!! কেউ দেখে ফেললে আমাদের সন্দেহ করবে তাই তিনজন একসাথে দিলাম দৌড়! ট্রাকে এ দৌড় দিলে সম্ভবত বিশ্বরেকর্ডটা ওসাইন বোল্টের হতনা! সে যাই হোক, দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় মনে খটকা লাগল। আমরা কি সঠিক পথে যাচ্ছি??? কিছুদুর যেতেই দেখলাম আমাদের যে পথে যাওয়ার কথা ছিল আমরা তার উল্টোদিকে আরেক ইউনিয়নের এক গ্রামে চলে এসেছি।

একবার ভাবলাম এ গ্রামে এক ফুপু থাকে, ওনার বাসায় চলে যাই। সকালে রওয়ানা হবো। ফারুক বলল ওর মা ওর জন্য অপেক্ষা করবে কারণ ফারুকদের কাচারি ঘরে নতুন দরজা লাগানো হয়েছে কিন্তু বাইরের দিকে তালা লাগানোর ব্যবস্থা নাই। এদিকে পরদিন যদি শুনে যে ওখানে ধর্ষন ও হত্যা হয়েছে এবং আমরা আমাদের গ্রামের পরিবর্তে এখানে এসেছি তবে ফুপা আমাদের সন্দেহ করতে পারেন, এমনকি পুলিশের কাছে তুলে দিতে পারেন।তাইআবার যাত্রা শুরু করলাম।

এবার ভাবলাম পথ হারানোর সম্ভাবনা নাই কারণ, একটা ছোট নালা সোজা আমাদের গ্রামে প্রবেশ করেছে তাই আমরা নালার পাশ দিয়ে হাটা দিলাম। সেদিন যদি বুঝতাম আমাদের সামনে কঠিন বিপদ তবে ওই গ্রামেই থেকে যেতাম! আমরা যে নালার পাশ দিয়ে হাটছি ওই পথে আমাদের গ্রাম আনুমানিক ৫কিঃমিঃ দুরে। আমরা ভুতে বিশ্বাসী ছিলাম না তাই নির্ভয়ে হাটা দিলাম। অর্ধেক পথ আসার পর আমরা যে স্থানে পৌছলাম তার থেকে নিকটতম বসতির দুরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার! প্রায় আয়তকার ফসলি জমির মাঠ। গুগল ম্যাপ থেকে দেখলে যেন ফুটবল মাঠ!

ধান চাষের সময় এ মাঠের দৃশ্য যে কত মনমুগ্ধকর তা অকল্পনীয়! প্রায় ১০/১৫ কদম যাওয়ার পর দেখলাম আরেক যাত্রাবালা পড়ে আছ ঠিক আমাদের সামনে। আমজাদ বলল খাইছে, আমার তো মনে হয় সব যাত্রাবালারাই ধর্ষনের শিকার হয়েছে। কাল পুলিশ এসে আশেপাশের গ্রামগুলো তছনছ করে ফেলবে। ফারুক আমাদের নিষেধ করল যেন কাউকে যেন হাত না লাগাই।

সে যাই হোক আমরা মনে সাহস সঞ্চয় করে সামনের দিকে হাটা দিলাম। ১৫/২০ কদম যাওয়ার পর একটা গোঙ্গানির মত আওয়াজ পাওয়া গেল। সে বেঁচে আছে বলে পিছনে ফিরে তাকিয়েই চক্ষু চড়ক গাছ! খিলখিল করে হেসে উঠল সে। আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সে। সেকি ভয়ঙ্কর চাহনি! কুয়াশার মাঝেও তাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সেই মেয়েটাকে যাকে মৃত পড়ে থাকতে দেখেছিলাম কিছুক্ষন আগে। আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে! নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসছিল। আমাদের দিকে তাকিয়ে সে সূর করে গেয়ে উঠল একটু আগেই যাত্রাপালায় শোনা গানের লাইন যেওনা, যেওনা, রহিম গো…… সূরের মুর্ছনায়শরীর অবস হয়ে যাচ্ছিল আমার। এমতাবস্থায় আমজাদ হ্যাচকা টানে আমাকে ঘুড়িয়ে বলল ভা—গো—! আবার দৌড়াতে শুরু করলাম; ঘন্টাখানেক আগের মত ধর্ষক হিসেবে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে না, ভূতের ভয়ে! সুরা, দুয়া, দুরুদ যা যা মনে ছিল চিৎকার করে বলতে লাগলাম। কিছুদুর যাওয়ার যা দেখি একি আমরা তো সেই স্থানে চলে এসেছি যেখানে প্রথমবার মেয়েটাকে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম! দেখলাম মেয়েটা এখনো পড়ে আছে । ভাবলাম এটা সত্যিকারের মৃতদেহ আর নালার পাশেরটা ভূত। ভাবামাত্রই মেয়েটা উঠে দাড়ালো।

আর আমাদের দিকে তেড়ে আসল আর খিলখিল করে হাসতে লাগল। আবার দিলাম দৌড়! আমরা সেই যাত্রা পেন্ডেলের দিকে দৌড়াতে লাগলাম। কিন্তু কিছুদুর যেতেই দেখি মেয়েটা সামনের দিক থেকে আমাদের দিকে তেড়ে আসছে। আবার উল্টোদিকে দৌড় শুরু করার আগে বাঁচাও বলে চিৎকার করতে লাগলাম। ভাবলাম এখানে চিৎকার করলে লোকজন শুনতে পাবে কিন্তু একি?? গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছেনা! দৌড় শুরু করলাম। কিন্তু কোনদিকে? তার খবর নেই কারো! প্রায় মিনিট পনের দৌড়ানোর পর মনে হল আমাদের পিছনে কেউ নেই। তাই একটু

রেস্ট নেয়ার জন্য থামলাম। আমাদের এত স্টেমিনা নাই যে সারারাতই স্প্রিন্টারদের মত দৌড়াতে পারব। মিনিটখানেক সময় দাড়ানোর পর দেখি, তিনদিক থেকে তিনজন ছুটে আসছে! ওরা আমাদের থেকে অনেক দুরে ছিল তখনও। অবাক হলাম, কুয়াশার কারণে ১০-১৫ ফুট দুরের জিনিস দেখা যায়না কিন্তু শ-দেড়শ ফুট দুরের তিনজনকেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে! এ কি করে সম্ভব? আমাদের শুধু একটা দিকই খোলা।

এবার আমাদের মুখ খুলল। ফারুক কাপঁতে কাঁপতে বলল এদিকে যাবনা। এটা সম্ভবত ওদেরই ফাঁদ! আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা আমরা কি করব??? একদিকে মাথা কাজ করছেনা, তার উপর পায়ের ব্যাথা! ওরা আরও কাছাকাছি চলে আসছে। অবশেষে আমজাদ ক্ষীন কন্ঠে বলল, শেষবারের মত কালেমা তৈয়বা পড়ে নে যাতে ঈমানের সাথে মরতে পারি। তিনজন একসাথে কালেমা পড়ে যে দিকটা খোলা সে দিকেই দৌড় শুরু করলাম। থাক ফাঁদের ভয়! যার নাম নিয়ে দৌড় দিলাম সেই আল্লাহ্ ই শেষ ভরসা।

আমাদের দৌড়াচ্ছি আর পিছনে তাকাচ্ছি। দেখলাম ওরা আমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়াতে পারছেনা। হঠাৎ আমাদের ডাকতে লাগল, দাঁড়া! দাঁড়া কইচি! নয়তো ভাল হবে নে! অবাক হলাম। কারণ, যেদিকেই গেলাম সেদিকেই তাদের উপস্থিতি তবে কেন দাঁড়া বলে ডাকাডাকি??? ভাবলাম আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি! নিরাপদ স্থানের দিকেই যাচ্ছি! আল্লাহকে ধন্যবাদ দিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখি তিনটা বিশালাকৃতির চিতা বাঘে পরিণত হয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে এবং মাত্র ১০ সেকেন্ডেই দুরত্ব অর্ধেকে কমিয়ে ফেলেছে। হৃদকম্পন সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে! আর মাত্র ১০ সেকেন্ড বাকী! শেষবারের মত তাকাতেই দেখি ঘোড়া আকৃতির চিতাবাঘ, চোখ দিয়ে তার অগ্নি স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছে!! তিন

জন সমানতালে দৌড়াচ্ছি। আর মনে মনে মৃত্যুর কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছি! পেছনের পায়ের আওয়াজ ক্ষীন থেকে জোড়ালো হচ্ছে! আমরা দৌড়াচ্ছি সমানতালে। ওদের নিঃশ্বাসের শব্দে অনুভুত হচ্ছে মাত্র ১০ ফিট দুরে ওরা! পিছনে তাকানোর সাহস পেলামনা। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে দৌড় দেয়ার চেষ্টা করছি এমনি আমজাদের চিৎকার লাফ দে, সামনে দেয়াল। ঠিক তখনি আমার ঘাড়ে গরম বাতাসের মত অনুভুত হল! আল্লাহু আকবার চিৎকার দিয়ে প্রায় তিনফিট উঁচু দেয়াল পার হলাম। ভুমি স্পর্শ করার সময় মনে হল একটা মাঁচার উপর পড়েছি! মড়মড় করে মাঁচা ভাংতেই জ্ঞান হারালাম! তারপর যখন নিজেকে আবিষ্কার করলাম, তখন ক্ষীণ দৃষ্টিতে দেখি আমার শরীরে একটা সাদা কাপড়। ভাবলাম, খোদা হয়তো আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তাই মৃত্যু যন্ত্রণা টের পাইনি। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি না।

উপরের দিকে যাই দেখি সব সাদা! হাত দিয়ে নিজের শরীর স্পর্শ করে দেখতে লাগলাম পরকালে দেহ কি মানুষাকৃতির থাকে কি না। মুনকার নাকিরের (কবরের প্রশ্নকারী ফেরেশতা) জন্য অপেক্ষা করছি সেই সময় একটা চিৎকার শুনতে পেলাম। আমার বাবার জ্ঞান ফিরেছে। একি? এত দেখি আম্মার চিৎকার! আস্তে করে চোখ কঁচলে দেখলাম আম্মা আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়ছে । ঝাপিয়ে পড়ার মূহুর্তে দেখলাম একপাশে দেয়ালে লেখা – রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ডাস্টবিনে ফেলুন। আদেশক্রমে –জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! মা আমাকে ধরে কাদঁছে আর বলছে তিনদিন ধরে আমি না ঘুমিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দাও। আমি আবার জ্ঞান হারালাম।

এভাবে ১৫-২০ দিন চিকিৎসার পর, মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং চিকিৎসক ও মনোবিদদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আমি সুস্থ হয়ে উঠি। পরে জানতে পারি, আমাদের গ্রামের এক মধ্যবয়সী লোক সেদিন ভোরে কবর জিয়ারত করার জন্য কবরস্থানে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান একটা কবর ভাঙ্গা, তার ভিতর একজন সহ আশেপাশে আরো দুইজন মানুষ পড়ে আছে! ভয় পেয়ে গ্রামে গিয়ে ঘটনা জানায় সে। উৎসুক গ্রামবাসী এসে আমাদের তিনজনকে অচেতন অবস্থায় থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। দুইজনের জ্ঞান ফিরলেও আমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

পরে একজন বুজুর্গ আলেমকে প্রথমে কথাগুলো খুলে বলার পর তিনি বলেন, আমরা কবরস্থানে প্রবেশ করায় বেঁচে গেছি। সম্ভবত কিছু দুষ্ট জিনের খপ্পরে পড়েছিলাম আমরা। ওরা সাধারনত এভাবে কৌশলে দলবদ্ধ মানুষদের বিচ্ছিন্ন করে ভয় দেখিয়ে মজা পায়। এধরণের ঘটনা আরো নাকি ঘটেছে এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আমরা তিনজন একসাথে ছিলাম এবং তিনজনই কবরস্থানে প্রবেশ করায় আমাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারেনি তারা। কারণ কবরস্থান পবিত্র যায়গা এবং তারা সেখানে কোন ক্ষতিসাধন করতে পারেনা।

চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানলাম, অতিমাত্রায় ভয়, ক্লান্ত শরীর থাকায় আমরা জ্ঞান হারিয়েছিলাম সেদিন। আমাদের উঠতি বয়সের কারণে হৃৎপিন্ড সবল ছিল বিধায় হার্টএটাক হয়নি! আরো জানলাম, সেদিন মুরুব্বীদের সাথে সমঝোতা হওয়ায় আধা ঘন্টা বিরতির পর যাত্রা শুরু হয় এবং সবাই নাকি রাত রাত দেড়টা পর্যন্ত অশ্লীল নৃত্যসমেত যাত্রা উপভোগ করেছেন । যাত্রাদলের সবাই বহাল তবিয়তে তাদের গন্তব্যে ফিরেছেন এবং যাত্রাদলের প্রধান আবার আসারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

” কবরস্থানে ভুত-প্রেত থাকে না। এমনকি কবরস্থানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে না। যদি ঘটে থাকে তবে তা মানুষ দ্বারা ঘটিত হতে পারে যা এলাকাবাসী ভূতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়েছে!!! “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page