ভুতের গল্প : রক্ত চোষা

ঘটনার আকস্মিকতায় একেবারে পাথর হয়ে গেল মালিনী । কতই বা বয়স ওর ? এই তাে তিরিশে পা দিয়েছে , এরই মধ্যে হঠাৎ যেন সে বুড়িয়ে গেছে । সংসারে দাদাই ছিল তার সব । ছােট্ট বয়সে সে বাবা মাকে হারিয়েছে । তাঁদের কথা তার মনেও নেই । দাদাই তাকে এতদিন আগলে রেখেছিল । কিন্তু কী যে হলাে ; সেদিন রাত্তিরে একসঙ্গে খাওয়া – দাওয়া করে শুতে গেল দুজনে । মালিনীর ঘর প্রণবেশের ঘরের একটু দূরে । পরদিন ভােরবেলা বীণার চিৎকারে ঘুম ভাঙল মালিনীর । বীণা তাদের কাজের লােক । ভােরবেলা দাদাবাবুকে চা দিতে গিয়ে সে দেখে , ঘরের দরজা খােলা আর দাদাবাবু বিছানায় শুয়ে । তার সমস্ত শরীর রক্তহীন । চোখ দুটো যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে । ডাক্তার এলাে , থানা – পুলিশ হলাে , সবশেষে পােস্টমর্টেম । পােস্টমর্টেম রিপোর্ট পড়ে চমকে গেল , মালিনী । প্রণবেশের গলার কাছে দুটো দাঁতের দাগ পাওয়া গেছে । কেউ যেন ঐ দুটো ক্ষত দিয়ে শরীরের সমস্ত রক্ত টেনে নিয়েছে ।
মালিনীর ধারণা — তাদের বিরাট সম্পত্তির লােভে কেউ দাদাকে হত্যা করেছে , এবার তার পালা । কেন না তারা দুজন ছাড়া আর তাে কেউ নেই এই সম্পত্তি ভােগ করার । ভাইবােনে কেউই বিয়ে করেনি । ঠিক করেছিল তাদের মৃত্যুর পর সব দান করে যাবে ভাল কাজে । কী করেই বা জানবে মালিনী , এমন পরিস্থিতির মুখােমুখি হতে হবে ? ঠিক এই মুহূর্তে তার একজন অভিভাবক থাকলে ভাল হতাে ।
মনে পড়ল কৌশিকের কথা । দাদা কয়েকমাস আগে একদিন হঠাৎ একটি ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ঢুকল । বলল , দেখ মালিনী , নিচের ঘরটা তাে খালি থাকে , একটা লােক থাকলে ভাল হয় । এই ছেলেটির নাম কৌশিক , চন্দননগরে থাকতাে , এখানে চাকরি নিয়ে এসেছে । এদিককার কিছুই ওর জানা নেই । তাই বলছি কিছুদিনের জন্যে পেয়িংগেস্ট হিসেবে ও নিচের ঘরটাতেই থাকুক । অবশ্য ওকে খেতে দিতে হবে না । ওর চাকরিটা বড় অদ্ভুত । নাইট ডিউটি , সারাদিন ও ঘুমােবে , রাত্তিরে বেরােবে আবার ভােরবেলা ফিরে আসবে । কোনাে ঝামেলা নেই ।
দাদার কাণ্ড দেখে খুব রাগ হলাে মালিনীর । কোথাকার কে তাকে দুম করে বাড়ি এনে তুলল দাদা , এ তাে রীতিমতাে বাড়াবাড়ি । কৌশিকের সামনে আর কিছু বলল না সে । পরে আড়ালে বলল , জানাশােনা নেই , কেমন লােক জান না, একেবারে সঙ্গে করে নিয়ে এলে দাদা ? যদি কিছু হয় . . .
হাে হাে করে হাসল প্রণবেশ । কী হবে ? চুরি , ডাকাতি , মারপিট , দাঙ্গা করবে ? আরে বাবা , ছেলেটাকে দেখেই এনেছি আমি । বাঙালী খ্রিশ্চান , বাড়ির সামনে রাস্তায় বসে ছিল , দেখে মায়া হলাে বুঝলি । যাকগে , তাের যদি পছন্দ না হয় । চলে যেতেই বলব ।
ক্ষুন্ন হলাে মালিনী , বলল , আমি কী তাই বলেছি — দাদা ?
সান্ত্বনা দিয়ে বলল প্রণবেশ , আমি জানতুম রে । তুই কখনও আমার কাজের বিরুদ্ধে যাবি না ।
এখন মনে হচ্ছে মালিনীর , বিরুদ্ধে গেলেই বােধহয় ভাল ছিল । কেন না কৌশিককে সে কিছুতেই সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেনি । কৌশিক হয়তাে তারই বয়সী । কিন্তু এমন ধরনের চাকরি সে জীবনে দেখেনি । সারারাত ওর কিসের ডিউটি ?
ভাবতে ভাবতে মালিনী দাদার ঘরে ঢুকল । সন্ধ্যা হয় হয় । অল্প পাওয়ারের আলাে জ্বেলে ও তাকাল দাদার খাটের ধারে দেওয়ালে টাঙানাে বিরাট আয়নাটার দিকে । সঙ্গে সঙ্গে চমকে উঠে খাটটাকে ধরে ফেলল মালিনী । সেই আলাে আঁধারে আয়নার গায়ে ফুটে উঠতে লাগল একটা ছায়া । চট করে মালিনী পেছন ফিরে তাকাল । পেছন থেকে কেউ . . . . না তাে ! দরজা তাে ভেজানো , তবে কার ছায়া পড়ল ? আবার সে তাকাল আয়নার দিকে । কেউ কোথাও নেই । তবে কি সে ভুল দেখল ? তার মাথাটা কী খারাপ হয়ে গেল নাকি !
মালিনী ভাবতে ভাবতে ফিরে এলাে ঘরে । বারান্দা দিয়ে একতলার ঘরটা দেখা যায় । নিজের ঘরে ঢােকার মুখে মালিনী একবার তাকাল কৌশিকের ঘরের দিকটায় । এখনও অন্ধকার । আশ্চর্য , ঠিক রাত বারােটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঐ ঘরের আলােটা রােজ জ্বলে ওঠে । পরদিন সন্ধ্যেবেলা মালিনী দাদার কথাই ভাবছিল । ভাবছিল ওর ভবিষ্যতের – কথা । ও মনে মনে বলল , হায় ভগবান ! একবার যদি জানতে পারতুম কে দাদাকে খুন করেছে তবে হয়তাে কিছু করতে পারতুম । নিজেকে বাঁচাতে পারতুম বােধহয় । ঠিক সেই সময় মালিনীর হঠাৎ মনে হলাে আগের দিনে দেখা ছায়ামূর্তির কথা । খুব যেন চেনা গড়নটা । ছায়াটা কার ?
ভাববার সঙ্গে সঙ্গে মালিনী দেখল সে চলতে শুরু করেছে । ঘর পেরিয়ে বারান্দা পেরিয়ে ওকে কে যেন টানতে টানতে নিয়ে চলল প্রণবেশের ঘরের দিকে ।
ঘরের আলােটা জ্বালাতেই সেটা দপ করে নিভে গেল । লােডশেডিং । সূর্য অস্ত গেছে । অন্ধকার বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে । বীণার নাম ধরে চেঁচিয়ে ডাকল মালিনী , কারাে সাড়া পেল না । কোথায় যে যায় সব — নিজের মনেই গজগজ করতে করতে বেরােতে গেল মালিনী । আশ্চর্য ! তার নিজের বাড়ি , অথচ ঘরের দরজা খুঁজে পাচ্ছে না কেন ? হাতড়াতে হাতড়াতে ওর হাতে একটা কী নরম মতে লাগল ! কে কে করে চিৎকার করে উঠল মালিনী । বরফের মতাে ঠাণ্ডা , একটা মানুষের দেহ বলে মনে হলাে । মালিনী আবার চিৎকার করে ডাকতে লাগল বীণাকে । ঠিক সেই মুহূর্তে আলােটা ফের জ্বলে উঠল । মালিনী দেখল কৌশিক দরজার কাছে দাঁড়িয়ে । চমকে উঠল মালিনী । তুমি . . . তুমি এখানে ?
কৌশিক বিনীত স্বরে বলল , আপনি চিৎকার করছিলেন , ভাবলাম ভয় পেয়েছেন , তাই ছুটে এলুম ।
তুমি তাে এসময় ঘুমােও । বীণা কোথায় ?
আজ আমার ছুটি । আপনার যদি দরকার থাকে আমি থাকতে পারি ।
কৌশিকের চোখ দুটো কেমন যেন । মালিনীর ভাল লাগল না । বলল , না । তুমি যাও । আমি ঠিক আছি ।
কৌশিক চলে যেতে মালিনী ভাবতে লাগল , যদি সত্যিই কৌশিকের গায়ে হাত পড়ে থাকে তবে তার গা এতাে ঠাণ্ডা কেন ?
কী মনে হতে দরজায় খিল তুলে দিল মালিনী , তারপর তাকাল আবার আয়নার দিকে । একটা ভয় মেশানাে প্রচণ্ড কৌতূহল তাকে পেয়ে বসল ।
ঐ ছায়ামূর্তি কার কেনই বা আয়নায় সে দেখছে ছায়ামূর্তিটা ছুটে আসছে তার দিকে ? সে যদি মৃত্যুদূত হয় তবে তার মুখ দেখতে চায় সে ? হঠাৎ সে একটা কাণ্ড করল । দাদার আলমারি থেকে ভাগবত গীতা বার করল , চেপে ধরল , সেটা বুকের ওপর । তারপর আয়নার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল , দাদা , আমি বুঝতে পেরেছি আয়নার মধ্যে যাকে তুমি দেখাতে চাইছ সে আমাকে হত্যা করতে চায় । তােমাকেও সে হত্যা করেছে । আমি তার মুখ দেখতে চাই । তুমি দেখাও । বুকের ওপর গীতা । মালিনীর হঠাৎ আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হলাে । গীতা থাকায় কেউ তার কোনাে ক্ষতি করতে পারবে না । সে আবার চাপা গলায় বলে ওঠে , দাদা তুমি দেখাও কে তােমাকে হত্যা করেছে ।
আয়নায় ছায়ামুর্তিটা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে লাগল । মালিনী চিৎকার করে উঠল — কৌশিক !
এ সে কী দেখছে ! কী বীভৎস কৌশিকের মুখটা , দু পাশে দুটো শ্বদন্ত — দু ’ কষ বেয়ে রক্ত পড়ছে । এ যে রক্তচোষা ! কৌশিক তাহলে মানুষ নয় , জীবন্ত প্রেত ! যারা শুধু রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে ?
কতক্ষণ যে জ্ঞান হারিয়ে পড়েছিল মালিনী সে জানে না । জ্ঞান যখন ফিরল তখন গভীর রাত । ভয়ে ও দরজা খুলতে পারল না । ও জানে দিনের আলো নিভে এলেই এরা জীবন্ত হয়ে ওঠে আর দিনের বেলা মরে থাকে । সারারাত সে বসে কাটিয়ে দিল । পরদিন ভাের হতেই সে চুপিচুপি বেরিয়ে পড়ল ওর প্রিয় বান্ধবী বিপাশার বাড়ি । বিপাশার বাবা তন্ত্রসাধক । সব শুনে উনি বললেন , কৌশিকের ঘরের দরজা কী খােলা থাকে দিনের বেলা ?
ভেতর থেকে বন্ধ থাকে । বলল মালিনী । খােলে গভীর রাতে।
সেই সময় ওর ঘরে ঢুকে ওর ব্যবহার করা কোনাে জিনিস যদি এনে দিতে পার তাহলে আমি ওর হাত থেকে তােমাকে মুক্তি দিতে পারি । কিন্তু মনে রেখো এর জন্যে তােমার প্রাণসংশয় হতে পারে ।
মরতে তাে বসেছি কাকাবাবু । যদি বাঁচতে পারি সে চেষ্টা তাে করতেই হবে । তবে কাজটা খুব শক্ত ।
বিপাশার বাবা বললেন , আমি তােমার কাছাকাছি থাকবাে । কোনােরকম বিপদের আভাস পেলে চিৎকার করে উঠবে । ও তােমার কোনাে ক্ষতি করতে পারবে না ।
বাড়ি ফিরে বীণাকে কোথাও খুঁজে পেল না মালিনী । তবে কী শয়তানটা বীণাকেও মেরে ফেলল । সারাদিন এতটুকু অন্নস্পর্শ করতে পারল না মালিনী । আজ সে এর শেষ দেখতে চায় — তাতে সে বাঁচুক বা মরুক ।
সমস্ত দিকে খেয়াল রাখছিল মালিনী । ঠিক বারােটা নাগাদ কৌশিকের ঘরে আলাে জ্বলতেই পা টিপে টিপে নেমে এলাে মালিনী । বুকের মধ্যে হাতুড়ির ঘা । তবু নিজেকে শক্ত করল মালিনী । বুকে তার গীতা । তার ভয় কী !
ঘরের দরজাটা একটু ফাঁক ছিল । তার ভেতর দিয়ে মালিনী পরিষ্কার দেখল একটা দেহ দেওয়ালে ঠেসান দিয়ে পড়ে আছে আধশােয়া হয়ে । মুখটা একটু ঘােরানাে । ঠিক বুঝতে পারল না ওটা কে , তবে চেহারা দেখে মনে হলাে বীণা । ঠিক সেই মুহুর্তে কৌশিক পাশের ঘরে ঢুকল । টেবিলের ওপর শার্টটা খুলে রেখেছিল , ঐ শার্টটাই হাতাতে হবে মালিনীকে । কৌশিক পাশের ঘরে , যে কোনাে মুহূর্তে এসে পড়বে , টেবিলের কাছেই মৃতদেহটা । ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে মালিনী । কিন্তু উপায় নেই , এ তার জীবনমৃত্যু সংগ্রাম । মুহূর্ত দেরি না করে পা টিপে টিপে টেবিলের কাছে গেল মালিনী । চট করে শার্টটা টেনে নিল । সঙ্গে সঙ্গে চোখ পড়ল আধশােয়া মতদেহের দিকে । অস্ফুট আর্তনাদ বেরিয়ে এলাে গলা দিয়ে । বীণা মৃত , কিন্তু জীবন্ত । ওর দুটো শ্বদন্ত রক্তমাখা । চোখদুটো ঘুরছে । মালিনীকে দেখে উঠে বসল বীণা । দু হাত বাড়িয়ে চেপে ধরতে গেল । ওর শাড়ির আঁচল । ছিটকে ঘর থেকে পালিয়ে এলাে মালিনী । দেখল কৌশিক দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকছে । একমুহূর্ত দেরি না করে মালিনী ছুটতে লাগল বাড়ির দরজা খুলে রাস্তা দিয়ে । কাছেই ছিলেন বিপাশার বাবা , চট করে ওকে গাড়িতে তুলে নিলেন ।
বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরে ঘন জঙ্গল । জঙ্গলের মধ্যে এক পােড়াে মন্দিরের সামনে গাড়িটা রাখলেন বিপাশার বাবা। তাঁর পরনে ছিল লাল চেলি , কপালে সিঁদুরের তিলক , গলায় রুদ্রাক্ষ । মালিনীকে বললেন , এসাে , তাড়াতাড়ি ।
মালিনীকে নিয়ে উনি ঢুকলেন মন্দিরের ভেতর । মালিনী দেখল মা কালীর মূর্তি , তার সামনে পুজোর আসন — উপাচার সব আছে । পাশে একটা মাটির পুতুল রাখা , পুতুলটা প্রায় এক হাত লম্বা । বিপাশার বাবা মালিনীর হাত থেকে কৌশিকের ব্যবহৃত শার্টটা নিয়ে তাড়াতাড়ি পুতুলটার গায়ে পরিয়ে দিলেন । তারপর আসনে বসে মন্ত্র পড়তে লাগলেন । মালিনী এখনও কাঁপছে । কৌশিক বীণাকে মেরে তাকে পিশাচ তৈরি করে রেখেছে । মালিনী পরিস্কার দেখেছে বীণার দুদিকের দুটো দাঁত তীক্ষ হয়ে বেরিয়ে আছে । তার দাদার গলাতেও এমনি দুটো দাঁতের ক্ষত পাওয়া গিয়েছিল । কেউ তার রক্ত শুনে নিয়েছিল । তাহলে তাে মালিনীরও ওই পরিণতি হতাে । ভাবতে গিয়ে শিউরে উঠল মালিনী । আর সেই মুহূর্তে ও যা দেখল , তা বুকফাটা আর্তনাদ হয়ে বেরিয়ে এলাে কণ্ঠ দিয়ে , কাকাবাবু , কৌশিক !
মালিনীর চিৎকার শুনে বিপাশার বাবা তাকিয়ে দেখলেন , যেখানে তার গাড়িটা রেখেছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে কৌশিক আর বীণা । মালিনীর চিৎকারে ঘুরে দাঁড়াল ওরা । ওদের মুখে ফুটে উঠল বীভৎস এক হাসি । মালিনীর চোখের সামনে সব ঘুরতে লাগল । বুঝি বা অজ্ঞান হয়ে যাবে । ওরা এগিয়ে আসছে মন্দিরের দিকে । আসছে বললে ভুল হবে , যেন উড়ে আসছে । প্রায় মন্দিরের চাতাল ছুঁই ছুঁই ঠিক তখুনি বিপাশার বাবা , মায়ের হাতের খাঁড়াটা খুলে নিয়ে পুতুলটার গলায় মারলেন এক কোপ । পুতুলের ধড় থেকে গলা আলাদা হয়ে মায়ের পায়ের কাছে পড়ল । সঙ্গে সঙ্গে কৌশিকের ধড় থেকে গলাটা কেটে পড়ে গেল মাটিতে । কৌশিকের শক্তিতেই বীণা চালিত ছিল বলে সেই মুহূর্তে বীণার প্রাণহীন শরীরটাও লুটিয়ে পড়ল মাটিতে । বিপাশার বাবা মন্ত্রপুত পুতুলটাকে তুলে নিয়ে মালিনীর হাত ধরে বেরিয়ে এলেন মন্দির থেকে । তারপর খানিক দূরে একটা ডােবার মধ্যে ওগুলাে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ফিরে চললেন বাড়ির দিকে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page