এই ঘটনাটা নিজের চোখে দেখলে বুকটা ব্যাথায় অস্থির হয়ে যেতো।
যাই হোক মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুণ।
এখন মুল ঘটনায় আসি।
ঘটনাটি আমার নানির বোনের সাথে ঘটেছে।
আমার নানির ছো্ট বোন ছিলেন অনেক
সুন্দরি (যাকে বলে দুধে আলতা গায়ের
রঙ),ধার্মিক, আর সু-স্বাস্থ্যের অধিকারি।
৭০ বছর বয়সেও (২০০২ সাল) চুলগুলো কালো আর কথায় অপুর্ব।
উনি প্রথম ১৯৯৭ সালের মাঝামাঝিতে কোন
এক দিন মাগরিবের নামায পড়ার সময় সেজদাতে গিয়ে স্ট্রোক করেন, তখন গ্রামে স্ট্রোক এত পরিচিত ছিল না, তখন বলত খারাপ বাতাস লাগছে।১৯৯৭-২০০২ সাল পর্যন্ত নানি ৮ বার স্ট্রোক করেন।এক সময় উনার ডান
পাস অবস (প্যারালাইজড) হয়ে যায়।
আমাদের বাড়ি শাহরে হওয়ায় প্রায় প্রতি মাসেই
আসতেন ডাক্তার দেখানোর জন্য আর ২/৪ দিন
আমাদের এখানে থেকেও যেতেন।
২০০২ এর মাঝামাঝিতে উনি উনার মেয়ের সাথে
আমাদের বাসায় আসলেন।
কোন এক কবিরাজ আমাদের শহরের পাসেই ওর বাসা। সে জ্বীন চালান দিয়ে
পঙ্গু রোগিদের সুস্থ করতো।
নানিকে আমাদের বাসায় রেখে আমার আম্মু আর ঐ আমার খালা গেলেন ওই
কবিরাজের বাড়ি। জ্বীন নাকি সন্ধায় মানে মাগরিবের নামাযের পরে আসনে আসে।
যাই হক আমি আমার ঐ নানি সহ মোট ৪ জন বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ জ্বীনের বাড়ি থেকে আম্মুর ফোন এলো, যে, আমরা রোগীকে ঘিরে
বসে আছি আর ঘরে লাইট জ্বলছে
দেখে জিনটি রোগির অসুখ বুঝতে পারছে না।
আমাদের উপর নির্দেশ আসলো পরবর্তী ফোন
না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ির সব লাইট বন্ধ আর
রোগীকে একটু ফাঁকা রাখতে।
কিছুক্ষণ পর বড়জোর ১ মিনিট পরে আম্মু আবার ফোনে দিয়ে লাইট জ্বালাতে বললেন। লাইট জ্বালিয়ে আমি নানিকে জিজ্ঞেস করলাম –
“নানি কিছু
টের পেয়েছেন…?”
উনি বললেন “কিছুইতো টের পেলাম না। রাত প্রায়
৯/৯:৩০ টার দিকে আম্মু, খালা তেল পড়া,পানি পড়া আর
একটা ছোট্ট গ্যাসরা টাইপ
ঔষধ আনলেন আর বললেন রাতে ঔষাধটা খাওয়ালে
লম্বা ঘুম হবে।
ঠিকই পরের দিন দুপুর পর্যন্ত উনি
ঘুমালেন। ঘুম ভাঙ্গার পরে উনার কথা বন্ধ
হয়ে গেল।
দ্রুত ডাক্তার দেখালে ডাক্তার বললেন উনি
আবার স্ট্রোক করেছেন।
৩দিন হসপিটালে থাকার পরে উনাকে রিলিজ করে
করে আবার আমাদের বাড়িতে নিয়ে
আসলাম। মাগরিবের ওয়াক্তর পরেই যা হল তা দেখে
আমরা রিতিমত কিংকর্তব্যবিমূঢ়!!!!
হঠাৎ উনি গায়ের সব কাপড় খুলে
সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে আছেন।
আর বড় বড় ছোখ করে
আমাদের সবাইকে কিছু বলতে চেষ্টা
করছিলেন। কিছুক্ষণ এমন করার পরে এখন শুধু
ঘরের বিভিন্ন চিপা জায়গাতে লুকানোর চেষ্টা
করতে থাকেন।
আমরা কিছুতেই উনাকে কাপড় পরাতে পারিনি। খানিক পরে উনি কাঁদতে কাঁদতে ঐ রাতেই বাথরুমে গিয়ে গোসল করে রোমে এসেই ঘুমিয়ে পড়েন।
পরের দিন তো কিছুতেই আর বাসায় থাকতে চান না, মেইন গেইট খোলে বাড়ির বাহিরে চলে যান।
সে দিন দুপুরে আমাদের বাসা থেকে তারা চলে
যায়।
২ দিন পরে আবারবউনাকে ডাক্তার এর কাছে আনা হয়েছে আমাদের বাড়িতেই। প্রতিদিন
সন্ধায় উনি নিজের গায়ে কোন কাপড় রাখেন না
,কিছুক্ষণ পরে বাড়ির পুকুরে গিয়ে শরীর ডুবিয়ে
দাড়িয়ে থাকতেন।
ডাক্তার বলেছে ওগুলো কিছু না, উনার ব্রেইন
স্ট্রোক হয়েছে।
কিন্তু আমরা নানিকে কিছুদিন পরে দেখতে
যাই, দেখি উনি এখন সারা দিনই খালি গায়ে
থাকেন, খাওয়াদাওয়া করে না শুধু টয়লেটে জেয়ে
পায়খানা করে আসেন।
এমন করুন দৃশ্য দেখেলে যে কেউই
চোখের
পানি ধরে রাখতে পারবে না।
এমন অবস্থায় উনার ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন হুজুর
কবিরাজ দেখান।
কিন্তু কোনই উন্নতি হয় নি। পরে এক
বিশিষ্ট হুজুর দেখানো হয়,
তিনি বলেন, উনার উপর এক
দুষ্টু জ্বীন ভর করেছে,সে উনাকে ধর্ষন করে
আর ওটাকে ছাড়ানো ও অনেক কঠিন।
প্রায় ৬/৭ মাস এমন যন্ত্রণার
পরে এই হুজুরের তদবিরে উনি অনেকটা সুস্থ
হয়েছিলেন। তবে এর ১৫/২০ দিন পরে আবার
স্ট্রোক হয় নানির।
তখিন উনার নাক কান দিয়ে একটু একটু চর্বির মত দেখতে কিছু জিনিস আসত। অনেকে বলত উনার নাক কান দিয়ে ঘিলু(মগজ) বের হচ্চে।
সেই হুজুর বললেন উনার নামে জালালি খতম
পড়ানোর জন্য।
আল্লাহপাক চাইলে, হায়াৎ থাকলে বাচবেন আর না থাকলে এত কষ্টের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
হুজুরের কথামত খতম পড়ানো হল আর
তার ৭ দিন পরে উনি মারা গেলেন।
দয়া করি আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করেন।
এটা সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা কোন গল্প না। আপনাদের কছে বিশ্বাস হতে পারে, না ও হতে পারে।