প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে বিদ্যালয়সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ? প্রত্যেকটি ভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করুন

প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে বিদ্যালয়সমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ? প্রত্যেকটি ভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করুন ।

উত্তর :- প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে বিদ্যালয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা–

( i ) সরকারি বিদ্যালয় ,

( ii ) আধাসরকারি বিদ্যালয় ,

( iii ) বেসরকারি বিদ্যালয় ।

( i ) সরকারি বিদ্যালয় – : এই ধরনের বিদ্যালয়ের সমস্ত দায়দায়িত্ব সরকার বহন করে । কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার । শিক্ষকের বেতন , আনুষঙ্গিক খরচ কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কোশাগার থেকে দেওয়া হয় । নিয়মকানুন পাঠক্রম , পুস্তক ইত্যাদি সবই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই নির্দিষ্ট করে । অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বেতন দিতে হয় না । বইপত্র বিনাপয়সায় সরকার বহন করে । পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যালয়ের উদাহরণ হল বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট বিদ্যালয় , বারাসাত গভর্নমেন্ট বিদ্যালয় ইত্যাদি । কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের উদাহরণ হল — পুরুলিয়া সৈনিক বিদ্যালয় , ব্যারাকপুর সেন্ট্রাল বিদ্যালয় ।

( ii ) আধা সরকারি বিদ্যালয় – : এই ধরনের বিদ্যালয়গুলির আর্থিক দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যসরকার বহন করলেও বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন বা পরিচালন সমিতির উপর দায়িত্ব দেওয়া হয় । তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পরিচালন কমিটিতে সরকারি প্রতিনিধি থাকে । মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ের অধিকাংশই এই ধরনের বিদ্যালয় । উদাহরণ — গান্ধি মেমোরিয়াল হাই স্কুল ।

( iii ) বেসরকারি বিদ্যালয় – : এই ধরনের বিদ্যালয়ে সরকার কোনো আর্থিক সাহায্য করে না । বিদ্যালয়ের পরিচালনার উপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না । বিদ্যালয় পরিচালনার যাবতীয় খরচ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হয় । শিক্ষার্থীদের বেতন দিয়ে পড়তে হয় । সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পাঠক্রম এবং সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তক চালু করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই । উদাহরণ— সারদা মিশন হাই স্কুল । বেসরকারি বিদ্যালয় আবার নানা ভাগে বিভক্ত । যেমন–

( 1 ) ব্যক্তিভিত্তিক বিদ্যালয় : এই ধরনের বিদ্যালয় কোনো ব্যক্তি বা ফিলানথ্রোপিস্ট দ্বারা স্থাপিত হয় । ব্যক্তিই এখানে প্রধান । রবীন্দ্রনাথ , গান্ধি , ফ্রয়েবেল , মন্তেসরি এঁদের মধ্যে অন্যতম । বর্তমানে অনেক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি এই ধরনের বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন ।

( 2 ) সামাজিক সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত বিদ্যালয় : অনেক সময় দেখা যায় কোনো সামাজিক সংগঠন , ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা এন . জি . ও শিশুদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করে , আর্থিক দায়দায়িত্ব এবং পরিচালনার দায়িত্ব তারাই গ্রহণ করে । এই ধরনের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাধারণত বেতন দিতে হয় না ।

( 3 ) ধর্মীয় সংস্থা : আমাদের দেশে বহু বিদ্যালয় আছে যা পরিচালিত হয় ধর্মীয় সংস্থা দ্বারা , যেমন — রামকৃষ্ণ মিশন , ভারত সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মিলনমন্দির , মাদ্রাসা চার্চ দ্বারা পরিচালিত বিদ্যালয় ইত্যাদি ।

Related posts:

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কথা
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী : 2024
চন্দ্রযান-3 : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ ভারত
GENERAL STUDIES : TEST-2
GENERAL STUDIES : 1
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: 8ই সেপ্টেম্বর
'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
তপনের জীবনে তার ছোটো মাসির অবদান আলোচনা করো।
সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝ ?
আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝায় ? এটি কয়প্রকার ও কী কী ?
একটি সাদা কাগজকে কীভাবে তুমি অস্বচ্ছ অথবা ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যমে পরিণত করবে ?
ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অস্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অপ্রভ বস্তুও কি আলোর উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে?
বিন্দু আলোক - উৎস কীভাবে পাওয়া যেতে পারে ?
বিন্দু আলোক - উৎস ও বিস্তৃত আলোক - উৎস কী ?
অপ্রভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বপ্নভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
দিনেরবেলা আমরা ঘরের ভিতর সবকিছু দেখতে পাই , কিন্তু রাত্রিবেলা আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো জিনিসই দেখতে পা...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page