তপনের জীবনে তার ছোটো মাসির অবদান আলোচনা করো।

আশাপূর্ণ দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল তপন। তবে তপনের জীবনে তার ছোটোমাসির অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও ছোটো মাসির সঙ্গে তপনের সখ্য নিবিড়। ছোটোমাসি ওর চিরকালের বন্ধু। এই ছোটোমাসি তপনের প্রথম গল্প লেখার সংবাদ সাহিত্যিক মেসোর কাছে পৌঁছে দেন। গল্প রচনা প্রসঙ্গ ঠাট্টাও করেন তপনের সাথে। গল্প লেখার জন্য পিঠ চাপড়ানোর সুরে প্রশংসা করলেও সংশয়মুক্ত হওয়ার জন্য তপনকে জিজ্ঞাসা করেন – ‘কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?’। ছোটোমাসি মেসোর দিবানিদ্রা ভঙ্গ করে তপনের গল্পটা তাকে পড়তে দেন। মেসো গল্পটা ছাপবার প্রস্তাব দিলে, ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।’ মাসি আসলে লেখক প্রতিভাকে সর্বসমক্ষে নিয়ে এসেছেন। তপনের মনের ইচ্ছাকে বাস্তবরূপ দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছেন।

ছোটোমেসোর কারেকশনের কথা সকলে আলোচনা করলে মাসি এ ব্যাপারকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘তা হোক, নতুন নতুন অমন হয়।’ পত্রিকায় মুদ্রণের নেপথ্যে শুধু যে মেসোর অবদান রয়েছে তা নয়। ছোটোমাসিরও উদ্যোগ থেকে যায় – তা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, – “আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা অনুভব করে। তাই তপনের চরিত্রের বিকাশে ছোটোমাসির অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page