জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক

প্রশ্ন : জ্ঞান , পাঠক্রম , পাঠ্যবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যের সম্পর্ক লিখুন ।

উত্তর : জ্ঞান , পাঠ্যক্রম , পাঠবই , শিক্ষার্থী ও শিক্ষণবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করতে গিয়ে আমরা সর্বপ্রথম শিক্ষণবিজ্ঞান কী তা আলোচনা করতে পারি । তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক নির্ধারণ সহজতর হবে । আমরা আগেই জেনেছি যে শিক্ষণবিজ্ঞান হল কার্যকরী শিখনকে সুনিশ্চিতকরণে উপযুক্ত জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় । শিক্ষণবিজ্ঞান হল কোনো ব্যক্তির শিখনে অন্য শক্তির সচেতনভাবে নির্মিত কৌশল । শিক্ষণবিজ্ঞান এমন একটি ক্রিয়া যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করেন । বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষণবিজ্ঞানগত সচেতনতা প্রত্যেকটি শিক্ষকের প্রয়োজন । কারণ এটি শিক্ষণের পরিকল্পনা কার্যক্রম স্থিরকরণ , ব্যাখ্যাকরণ , প্রতিসংকেত প্রদান ও মূল্যায়নে সহায়তা করে । শিক্ষণবিজ্ঞান ব্যতীত বর্তমান শিক্ষাদান প্রক্রিয়া অচল । নীচে এর সঙ্গে অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে ব্যস্ত হল । জ্ঞান হল সেই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হল বিভিন্ন সত্য , তথ্য বর্ণনা অথবা দক্ষতাসমূহ যা অভিজ্ঞতা বা শিক্ষাদ্বারা অর্জিত । জ্ঞান – সঞ্চারণের অন্যতম মাধ্যম হল লিখিত মাধ্যম । এখানে এসে যায় পাঠ্যবই – এর কথা সেখানে লিখিত মাধ্যম থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান সংগ্রহ করে । পাঠবই থেকে শিক্ষার্থীরা যে জ্ঞান সংগ্রহ করে তার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষণ প্রক্রিয়া আবার শিক্ষণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হল শিক্ষণবিজ্ঞান । কারণ শিক্ষণবিজ্ঞান সচেতনভাবে জ্ঞান নির্মাণের উপযুক্ত পরিকল্পনা করে থাকে । পাঠবই বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক হয় । বিভিন্ন প্রকার জ্ঞানকে পাঠ্যবইতে যৌক্তিক ও মনোবৈজ্ঞানিকভাবে উপস্থাপিত করা হয় । আবার পাঠক্রম হল সেই জ্ঞান যা নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদলকে দান করা হয় । পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিষয়বস্তুগত জ্ঞান শিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যা পরিকল্পনা কার্যক্রম স্থিরীকরণ , ব্যাখ্যাদান , প্রতিসংকেত দান ও মূল্যায়নে সহায়তা করে । আবার সমস্ত শিক্ষণ ও শিখন প্রক্রিয়া যাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় সে হল শিক্ষার্থী । শিক্ষার্থীকে বিষয়ভিত্তিক পাঠক্রমিক জ্ঞান প্রদানের উদ্দেশ্যে শিক্ষণবিজ্ঞান পরিচালিত যাকে সহায়তা করে পাঠ্যবই । শিক্ষার্থীর বুদ্ধি , শিক্ষার স্তর – এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মনোবৈজ্ঞানিক নীতি অনুসরণ করে রচিত পাঠ্যবই যা শিখনপ্রক্রিয়াকে যথাযথ পরিচালনার জন্য শিক্ষণ – বিজ্ঞান কী ধরনের হবে তা স্থির করতে সহায়তা করে । পাঠক্রম কোন্ স্তরের জন্য তা ঠিক হলে নির্দিষ্ট পাঠ্যবই রচিত হয় । এই পাঠ্যবই অনুসারে শিক্ষণ – শিখন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ও শিক্ষার্থীর যথাযথ জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে শিক্ষণবিজ্ঞান ব্যবহার করা হয় । অতএব এদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বর্তমান । এদের সম্পর্ককে নিম্নলিখিত চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা যায়—

Related posts:

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কথা
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী : 2024
চন্দ্রযান-3 : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ ভারত
GENERAL STUDIES : TEST-2
GENERAL STUDIES : 1
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: 8ই সেপ্টেম্বর
'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
তপনের জীবনে তার ছোটো মাসির অবদান আলোচনা করো।
সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝ ?
আলোকরশ্মিগুচ্ছ বলতে কী বোঝায় ? এটি কয়প্রকার ও কী কী ?
একটি সাদা কাগজকে কীভাবে তুমি অস্বচ্ছ অথবা ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যমে পরিণত করবে ?
ঈষৎ স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অস্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বচ্ছ মাধ্যম কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
অপ্রভ বস্তুও কি আলোর উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে?
বিন্দু আলোক - উৎস কীভাবে পাওয়া যেতে পারে ?
বিন্দু আলোক - উৎস ও বিস্তৃত আলোক - উৎস কী ?
অপ্রভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
স্বপ্নভ বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
দিনেরবেলা আমরা ঘরের ভিতর সবকিছু দেখতে পাই , কিন্তু রাত্রিবেলা আলোর অনুপস্থিতিতে কোনো জিনিসই দেখতে পা...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page