( iii ) উৎপাদন বা ফলশ্রুতি ( Product ) ঃ গিলফোর্ড বলেছেন যখন কোনাে বিষয়বস্তুর ওপর প্রক্রিয়া কার্যকারী হয় তখন ছয় রকমের ফলশ্রুতি দেখা যায় । এই 6 ধরনের ফলশ্রুতি হল—
( ক ) একক ( Units ) ঃ বিষয়কে কেন্দ্র করে দৃষ্টি , শ্রুতি এবং প্রতীকসহ জ্ঞান অর্জন করার ক্ষমতা এর অন্তর্ভুক্ত ।
( খ ) শ্রেণি ( Class ) : কোনাে শব্দ বা ভাবধারাকে শ্রেণিবদ্ধ করার ক্ষমতা ।
( গ ) সম্পর্ক ( Relations ) : বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে সম্পর্কবিধানের ক্ষমতা এবং ধারণাগত বিষয়বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক আবিষ্কারের ক্ষমতা ।
( ঘ ) ব্যবস্থাপনা ( System ) : বস্তুগত সংগঠন , প্রতীকধর্মী বিষয় সংগঠন , সমাধানের জন্য সমস্যা সংগঠন করার ক্ষমতা এই অংশের অন্তর্ভুক্ত ।
⭐️ যেমন — মাধ্যাকর্ষণ না থাকলে কী হত ?
( ঙ ) পরিবর্তনশীলতা ( Transformations ) : কোনাে বস্তুর রূপান্তর ঘটলে কী অবস্থা হয় , বর্তমানে কোনাে ঘটনার পরিবর্তন ঘটলে কী হবে তা অনুমান করার ক্ষমতা এই অংশের অন্তর্ভুক্ত ।
( চ ) তাৎপর্য বিচার ( Implications )ঃ কোনাে প্রত্যাশার ব্যাপকতা , বর্তমানের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করার ক্ষমতা এই ফলশ্রুতির অন্তর্ভুক্ত ।
💠 বুদ্ধির 3 টি মাত্রাকে উপরিউক্ত ছকের মাধ্যমে ব্যক্ত করা যায় । ঘনকের একদিকে আছে প্রতিক্রিয়ার মাত্রা , অন্যদিকে আছে বিষয়বস্তুর মাত্রা এবং তৃতীয় দিকে আছে ফলশ্রুতি বা উৎপাদনগত মাত্রা । প্রক্রিয়াগত মাত্রার 5 টি শ্রেণি , বিষয়গত মাত্রার 4 টি এবং উৎপাদনগত মাত্রার 6 টি অর্থাৎ মােট 5 x 4 x 6 = 120 টি বুদ্ধির উপাদান আছে ।
🔷 বর্তমান বিষয়বস্তুগত মাত্রার চিত্রগত বিষয়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে — দৃষ্টিগত ও শ্রবণজাত । ফলে বিষয়বস্তু মাত্র 4 টির পরিবর্তে 5 টি শ্রেণি হয়েছে এবং বুদ্ধির মােট উপাদান হয়েছে ( 5 x 5 × 6 = 150 টি ) । গিলফোর্ড উপাদান বিশ্লেষণের সাহায্যে এখনও পর্যন্ত 90 টি বুদ্ধির উপাদান আবিষ্কার করেছেন । অবশিষ্ট উপাদানগুলি আবিষ্কৃত হবে — গিলফোর্ডের ধারণা ।
“