💠 কোহেলবার্গের তত্ত্বের তাৎপর্য ( Significance of Kohelberg’s Theory ) :

“💠 কোহেলবার্গের তত্ত্বের তাৎপর্য ( Significance of Kohelberg’s Theory ) :

কোহেলবার্গ তাঁর তত্ত্বে নৈতিক বিকাশের এক নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন । তিনি বলেছেন , নৈতিক বিকাশ প্রাক্ষোভিক বিকাশের ওপর নির্ভরশীল নয় । প্রজ্ঞামূলক বিকাশের ওপর নির্ভরশীল ।

🔷 এখানেই তাঁর অভিনবত্ব । ব্যক্তির বুদ্ধি এবং প্রজ্ঞার বিকাশ নৈতিক বিকাশের পথ সুগম করে । নৈতিকতা ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া সঠিক
নয় ।

🔷 প্রজ্ঞামূলক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক বিকাশ স্বাভাবিকভাবেই ঘটে । পূর্বে মনে করা হত , সামাজিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই ব্যক্তির নীতিবােধের বিকাশ ঘটে । কোহেলবার্গ বলেন , সামাজিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ব্যক্তির প্রজ্ঞার বিকাশ ঘটে , আর এই প্রজ্ঞার বিকাশ ব্যক্তির নৈতিক বিকাশকে সম্ভব করে তােলে ।

⭐️ এই কারণেই ব্যক্তির পরিবেশে পার্থক্য হলেও নৈতিক স্তরগুলি একই থাকে l

💠 কোহেলবার্গের এই তত্ত্ব নৈতিক বিকাশে শিক্ষার ভূমিকাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছে । বর্তমানে নৈতিক বিকাশের জন্য শ্রেণিকক্ষের বাইরে বিভিন্ন সহ – পাঠক্রমিক কার্যের ওপর গুরুত্ব আরােপ করা হয় ।

💠 কোহেলবার্গের মতে , পৃথকভাবে নৈতিক বিকাশ সম্ভব নয় । নৈতিক বিকাশের প্রধান কৌশল হবে শিক্ষার্থীদের প্রজ্ঞামূলক বিকাশকে সুসংহত করা এবং ব্যক্তির যুক্তি ও চিন্তনকে সক্রিয় করে তােলা । এভাবেই নৈতিক বিকাশকে বাস্তব করে ভােলা সম্ভব ।

কোহেলবার্গের তত্ত্বের সমালােচনা ( Criticism of Kohelberg’s Theory )ঃ

কোহেলবার্গের নৈতিক বিকাশ তত্ত্ব সব শিশু এবং সব পরিস্থিতিতে সত্য কিনা এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে । উদাহরণস্বরূপ শিশুদের নৈতিক বিকাশের পার্থক্যের ওপর পিতামাতার ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে । যে সমস্ত পিতামাতা শিশুদের সঙ্গে নৈতিক বিষয়ে আলােচনা করেন তাদের সন্তানদের নৈতিক পরিণমন এবং যেসব পিতামাতা শিশুদের কঠোর শাসনের মধ্যে রাখেন বা শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে শিশুর নৈতিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের থেকে উন্নত স্তরের ।

🔷 কোহেলবার্গের নৈতিক বিকাশ সম্পর্কীয় তত্ত্ব বালকদের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য , কারণ তিনি বালকদের ওপর পরীক্ষা করেন ।

🔷 বালিকাদের তিনি বিবেচনা করেননি । অথচ দেখা গেছে যে , নৈতিক বিকাশে বালক ও বালিকাদের মধ্যে পার্থক্য আছে l”