“⏹ সামাজিক বিকাশ : বয়ঃসন্ধিক্ষণ
( 11 / 12 বৎসর থেকে 20 বৎসর )
1) এই স্তরে সামাজিক বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সমবয়সি বন্ধুদের প্রভাব বৃদ্ধি। দিনের একটা বড়ো সময়ে কিশোরেরা বন্ধুদের সঙ্গে অবস্থান করে। বন্ধুরা তার আচরণের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। তার আগ্রহ, মনোভাব, মূল্যবোধ সমবয়সী বন্ধুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
2) বয়ঃসন্ধিক্ষণের কিশোরেরা তাদের সামাজিক অবস্থানের প্রতি সচেতন হয়। তারা প্রত্যাশা করে বন্ধুরা তাদের সমর্থন করুক এবং উপযুক্ত মর্যাদা দিক। এর জন্য তারা সমাবেশে বন্ধুদের নিয়ম-নীতি এবং আদর্শ মেনে চলে। সমবয়সী বন্ধুদের সন্তুষ্টির জন্য তারা সব কিছু করতে প্রস্তুত থাকে।
3) এই বয়সে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পায়। পিতা-মাতা বা অভিভাবকের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে এবং সন্তানের উপর কিছু কিছু দায়িত্ব তারা অর্পণ করেন। পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কিশোরদের মতামত বিবেচনা করা হয়। কিশোরেরাও প্রাপ্তবয়স্কদের ভূমিকা পালন করে এবং কিছু দায়িত্ব গ্রহণ করে।
4) এই বয়সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সম্পর্ক স্থাপনে। উভয়ে পরস্পরের মধ্যে আকর্ষণ অনুভব করে। ছেলে ও মেয়েরা সম-পছন্দ, আগ্রহ এবং লক্ষ্যের ভিত্তিতে দল গঠন করে।
5) বন্ধুত্ব স্থাপনে এই বয়সের ছেলে-মেয়েরা নির্বাচনধর্মী হয়। সম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্ব দেখা যায়। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বন্ধুত্ব স্থাপনে প্রবল আগ্রহ দেখা যায়।