“⏹ সামাজিক বিকাশ : উত্তর-বাল্যকাল
(6 বৎসর থেকে 11 বৎসর)
শৈশবে সামাজিকীকরণ গৃহ-পরিবেশের সীমাবদ্ধ থাকে। বাল্য বয়সে বিদ্যালয় প্রবেশ করার ফলে সে বৃহৎ পরিবেশের সম্মুখীন হয় এবং সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রটি ব্যাপকতা লাভ করে। এই স্তরে সামাজিক বিকাশের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল।
1) এই বয়সের সমবয়সি বালকদের মধ্যে দল গড়ে ওঠে এবং গৃহের বাইরে তাদের মধ্যে মেলামেশা, বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই দল (Peer Group) সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
2) এই স্তরে বালক-বালিকাদের মধ্যে প্রচণ্ড উচ্ছাস দেখা যায়, যা সব সময়ে নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলে না।
3) এই বয়সেই অবাধ্যতার ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
4) বয়স্কদের আরোপিত শৃঙ্খলার মান থেকে দলের নিয়ম ও অনুশাসনের প্রতি এরা নিষ্ঠাবান থাকে।
5) বয়ঃসন্ধিক্ষনের কিশোর-কিশোরীদের থেকে এই স্তরের বালক-বালিকারা অধিক অপরাধপ্রবণ হয়।
6) এই স্তরের বালক-বালিকাদের মধ্যে যৌন সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। বালকেরা বালকদের সঙ্গে খেলাধুলা করে, বালিকারা বালিকাদের সঙ্গে খেলাধুলা করে।
7) বালকেরা বালিকাদের থেকে অধিক আক্রমণপ্রবন এবং সংগঠিত হয়।
8) এই স্তরের বালকেরা দলগত ক্রীড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাদের মধ্যে দলগত চেতনার বিকাশ ঘটে। স্বার্থপরতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা হ্রাস পায়। সহযোগিতার মানসিকতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা বহির্মুখী হয়।
9) এটা হল গ্যাং-এর বয়স। এর বৈশিষ্ট্য হলো এরা সমবয়স্ক হয় এবং চিন্তা ও কাজে এরা এক।
গ্যাং এর প্রতি তীব্র আনুগত্য থাকে এবং গ্যাং-এর নিয়ম এরা প্রত্যেকে মেনে চলে।
( যে প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে পাচ্ছো না,
তার জন্য পরের পার্টগুলো পড়ে নাও, তারপর আবার উত্তরগুলি করার চেষ্টা করো। ) “
confident blog liked this participating 😀